We : The Fallen Angels

I was really shocked to wake up so early in the morning to see on TV that some firemen are risking their lives to rescue some senseless old woman from a high rise building. Black thick smoke was gushing out of the windows of the building and some helpless eyes were looking at it with expectations and helplessness. I thought that it was another Stephen Court story that the Kolkatans have already got seasoned with. But it was even worse. It was a private hospital of much repute in Kolkata. And the casualties were patients in it. How would the penal code define the crime of deliberate violation of the fire prevention measures at a place that promises to give back life to people? I do not know.

All I know is that from the news channels to private hospitals all are catering to their business growth forgetting the social responsibilities they are bestowed with as while reporting the deaths at the hospital, a reporter with his lungs full of air shouts out, “We have been reporting the minutest of the details of this accident from the very beginning and no one can touch the success we have achieved thus.” Are we humans, the cleverest fallen angels?

ওয়াল পেন্টিং

কাদা, নর্দমা, পাঁক, অশ্রাব্য খিস্তি,

মাজার জন্য ডেকচি তে লেগে থাকা ঘুগনি

আর কাটা পাঁউরুটির মাথা,

কয়েক বান্ডিল বিড়ি –

হাইপোডারমিক সিঁড়ি…

নোংরা ফুটপাথে থরথরে কেঁপে ওঠা

গোলাপী দগদগে ঘায়ে

লেপ্টে থাকা বিষ্ঠা আর প্রস্রাব –

পাগলামির হিসাব…

পেস্টিসাইড, পাখা-গামছা, একমুঠো ঘুমের ওষুধ,

না শিরার রক্তে একফোঁটা বুদবু্‌দ

বয়ে নিয়ে চলে হৃদপিন্ডে মৃত্যু সংকেত –

অশরীরি রূপভেদ…

রঙ বাঁধা পড়ে ফ্রেমে,

আর্ট-গ্যালারীতে যন্ত্রণার পসরা বিকোয়,

ড্রইং-রুমের গুমট সাজে রামধনু রং-এ।

স্বাধীনতার গল্প

পূজো এসে গেল, মানে পূজোর ছুটি-ও এসে গেল। নতুন জামা-কাপড় পরে বড়দের সঙ্গে ঠাকুর দেখা, কত্তো রকমের খাবার খাওয়া, বন্দুক নিয়ে টিভি-র সুপার হিরো হয়ে যাওয়া – এত কাজের মধ্যে কি আর আমার গল্প শুনতে ভাল লাগবে? তোমরা পড়াশোনা কর নম্বর পাওয়ার জন্য। আমি কিন্তু লিখি তোমাদের মন ভাল থাকবে বলে। এর সঙ্গে ভাল-খারাপ, পাশ-ফেল এসবের কোন সম্পর্ক নেই।এই সংখ্যা থেকে আমি তোমাদের একটা বিরাট বড় গল্প বলতে শুরু করলাম। এই গল্প আমাদের দেশের সুপার-হিরোদের নিয়ে,যাঁরা আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, উতসর্গ করেছেন নিজেদের প্রাণ। এখন আমরা তো স্বাধীন হয়ে গিয়েছি, তাই ঠিক বুঝব না কাজটা কত কঠিন ছিল। তোমাদের ঐ গল্পের সুপার-হিরোরাও হার মেনে যাবে, এঁদের সত্যিকারের গল্পের কাছে।




তোমরা তো সবাই জান যে, ইংরেজরা আমাদের দেশকে প্রায় দু’শো বছরের ও একটু বেশিদিন শাসন করেছেন বটে, কিন্তু, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শান্তিতে রাজত্ব তাঁরা করতে পারেন নি।



তখন ১৬০০ সাল। ইংল্যান্ডের রানী তখন এলিজ়াবেথ। পৃথিবীর খুব পরাক্রমী, শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে একটা ছিল ইংল্যান্ড। ব্যবসায়ীক পরিধি বাড়ানোর জন্য রাণী নিজে এক বাণিজ্যিক সংস্থাকে প্রাচ্যে ব্যবসা করার অনুমতি দেন। সেই সুবাদে ‘ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি’ নাম হয় তার। ইউরোপে বিরাট তার ব্যবসা, বিশাল তার প্রতিপত্তি।



ভারতে দিল্লির সিংহাসনে তখন আউরঙ্গজ়েবের দাদু জাহাঙ্গীর। সাল ১৬০৮। ততদিনে ইংল্যান্ডের মসনদে রাজা প্রথম জেমস। ব্রিটিশ ঈস্ট ইন্ডিয়া কোঃ তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে আসেন।তাতে খুব একটা কাজ হয় না।কিন্তু কোম্পানি হাল ছাড়ে নি। আবার ১৬১৫ সালে স্যর টমাস রো –কে আবার সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে পাঠায় কোম্পানি।এবার কোম্পানির ভারতে আসার বানিজ্যিক উদ্দেশ্য সফল হয়।



তোমরা শুনলে অবাক হবে যে তখন বঙ্গদেশ বিদেশী দের প্রধান প্রবেশদ্বার ছিল। কোলকাতার খুব কাছ দিয়ে একটা নদী বয়ে গেছে। সরস্বতী তার নাম। তবে এখন যে কোনো সাধারণ সরু খাল-ও তার থেকে চওড়া। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে কোম্পানির বিরাট বিরাট জাহাজ ঐ নদীপথেই যাতায়াত করত।



যাক গে, যে কথায় ছিলাম তাতে ফিরে আসি। সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানি তাদের ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয় বাংলার হুগলী ও ওড়িশার বালেশ্বরকে। এছাড়া ইংরেজরা আগ্রা, আমেদাবাদ, সুরাট, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বানিজ্য-কুঠি স্থাপনের অধিকার পায়।



ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি যাঁরা চালাতেন, মানে তার যে বোর্ড অফ ডিরেক্টরস, ভারতে ব্যবসা করতে আসা্র আগে তাঁরা তাঁদের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেন যে কোম্পানি ভারতে শুধুমাত্র ব্যবসা করতেই যাবে; সেখানকার রাজনীতি বা সমাজতন্ত্রে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না। ব্যবসা করতে ঠিক যততুকু প্রয়োজন সেইটুকু কূটনীতির ব্যবহার করা যাবে।



কোম্পানি ব্যবসা করতে এল ভারতে সেই নীতি নিয়ে। ব্যবসাও বেশ ফুলে ফেঁপে উঠল। কিন্তু কোম্পানিতে কর্মরত বিভিন্ন সাহেব আধিকারিক ও কর্মচারী-দের লোভ বাড়তে থাকে। তখন তারা ঐ অনুমোদিত কূটনীতি-কে অস্ত্র করে নিজেদের অত্যধিক লাভের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করেন।



১৬১৫ সালে যখন স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি নিচ্ছেন, তখন কিন্তু পর্তুগীজ-রা ভারতে জাঁকিয়ে ব্যবসা করছে। পশ্চিম ভারতে ইংরেজরা সুরাটে তাদের প্রধান বানিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে। পর্তুগীজদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না রাখলে সেখানে ব্যবসা করাই দায়। তাই ১৬৬১ সালে কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য স্বয়ং ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস পর্তুগীজ রাজকন্যা ক্যাথরিন ব্রাগানজ়া কে বিয়ে করেন। আর বিয়ের যৌতুক হিসেবে পান গোটা বোম্বাই শহর।রাজা দ্বিতীয় চার্লস আর ইংল্যান্ড-এ বসে বোম্বাই নিয়ে কি করবেন! প্রত্যেক বছর ১০ পাউন্ড কর পাওয়ার বিনিময়ে রাজা এই বোম্বাই শহর কোম্পানিকে দিয়ে দেন।



অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানি কোন সুযোগ ছাড়েনি। তারা মাদ্রাজে তৈরী করে এক সুরক্ষিত কুঠি। আউরঙ্গজ়েবের রাজত্বকালের শেষ দিকে শুল্ক দেওয়া নিয়ে ইংরেজ আর মোগলদের যুদ্ধ শুরু হয়। বাংলার শক্ত ঘাঁটি হুগলী ছেড়ে ইংরেজরা চলে যায়। আবার পরে দুই পক্ষের সন্ধি হলে জোব চার্ণক নামে কোম্পানির এক ইংরেজ কর্মচারী হুগলী নদীর তীরে সুতানূটি গ্রামে এক কুঠি তৈরী করেন। ধীরে ধীরে সুতানূটি, গোবিন্দপুর ও কোলকাতা গ্রাম নিয়ে পত্তন হয় কোলকাতা শহরের। এর ও কিছুদিন পরে ১৭০০ শালে তৈরী হয় ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ। পরে যে কোলকাতা শহর ইংরেজদের ভারত শাসনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে, সে তো তোমাদের সকলের জানা।



মোগল সম্রাট অ্নুমতি দিলে কি হবে, এই বিদেশী ব্যবসায়ীদের অনেক ভারতীয় রাজাই কিন্তু পছন্দ করতেন না। বলতে গেলে এঁদের সঙ্গে ইংরেজদের আদায়-কাঁচকলায় ছিল। এঁদের মধ্যে বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ, সুজাউদ্দিন খাঁ, আলিবর্দী খাঁ, হায়দরাবাদের শাসক চিন কিলিজ খাঁ, মহীশুরের রাজা দেবরাজ ও নজ্ঞরাজ, অযোধ্যার শাসক সাদ্দাত খাঁ, আবুল মনসুর খাঁ, মারাঠার শাসক শাহু, বালাজি বিশ্বনাথ, বালাজি বাজিরাও, কর্ণাটকের নবাব দোস্ত আলি ও আরও অনেকের সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্ক খুব খারাপ হয়।



দিল্লীর মসনদে তখন ঢাল-তরোয়াল-বিহীন সম্রাট ফারুকশিয়র। তাঁকে ব্যবহার করে বাংলায় হঠাত্ জারী হয় ‘ফারুকশিয়রের ফরমান’। ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরাট কূটনৈ্তিক জয় হয় বটে, কিন্তু সারা বাংলায় আগুণ জ্বলে ওঠে।

প্রায় ১০০ বছরের কিছু বেশি দিনের গল্প তোমরা শুনে ফেললে তোমরা। বলতে পারো আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুপার হিরোদের যুগ শুরু হল এখান থেকেই।

বিভিন্ন পর্বে আমি পর পর সেই সব বীরগাথা তোমাদের বলব। তোমাদের কেমন লাগছে জানিও কিন্তু।





 
কি কেমন আছ তুমি? পূজো কেমন কাটল, ক’টা ঠাকুর দেখলে, কি কি খেলে, কোথায় কোথায় বেড়াতে গেলে এসব আমাদের লিখে জানাও কিন্তু!!!


তবে আমি কিন্তু একটা কথা জানি – এতো সব কিছুর মধ্যেও কিন্তু তোমার মনে সেই প্রশ্নটা লুকিয়ে আছে – ‘ফারুকশিয়রের ফরমান’-এ কি এমন ছিল যে সারা বাংলায় আগুন জ্বলে উঠল?

আসলে কি জান, মোগল সম্রাট ঔরংজেবের পর কোনো মোগল সম্রাট-ই আর সেই বিশাল সাম্রাজ্যকে সেভাবে বেঁধে রাখতে পারেননি। নামেই তাঁরা সম্রাট ছিলেন।ফারুকশিয়র-ও তাই।তখন বাংলার নবাব ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ। তিনি বাংলার বুকে দাপটের সাথে স্বসাশন চালাতেন। মোগল সম্রাটের অধীনতা শুধু একটা তকমা ছিল।মোগল সম্রাটের নীতির বিরোধিতা করলেও তিনি কখনই তার অবমাননা করেন নি।

‘ফারুকশিয়রের ফরমান’-বেশ জটিল ব্যাপার। তবে তোমাকে তো ব্যাপারটা জানতে হবে!তোমায় বরং চুম্বকে বলিঃ

ফারুকশিয়রের ফরমান অনুসারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

১) মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বিনাশুল্কে বাংলায় বানিজ্য করার অধিকার পায়;

২)কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের পাশাপাশি আরও ৩৮-টি গ্রাম কেনার অনুমতি পায়।

৩)প্রয়োজনে মুর্শিদাবাদের অর্থাৎ বাংলার নবাবের ট্যাঁকশাল ব্যবহার করার অনুমতি পর্যন্ত লাভ করে।

১৭১৭ সালের এই ফর্মান কে ঘিরে বাংলার তখনকার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ এর সংগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধ চরমে ওঠে, কারণ, মুর্শিদের মত প্রতাপশালী নবাবের পক্ষে এই ফর্মান নীরবে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এর জন্যে বিরাট বানিজ্য শুল্ক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। কোম্পানির নিঃশুল্ক বাণিজ্যের ফলে দেশীয় বণিকদের বিরাট ব্যবসা কমে যাবার সম্ভাবনা ছিল। তবে নবাবের পক্ষে এই সনদকে অস্বীকার করা অসম্ভব ছিল, কারন নবাবের যতই ক্ষমতা থাক না কেন, আসলে তিনি ছিলেন দিল্লী-র সম্রাটের অধীনস্থ কর্মচারী। আইনতঃ সম্রাটের আদেশ মানতে তিনি বাধ্য। মুর্শিদ ছিলেন বিচক্ষণ নবাব। তাই তিনি সরাসরি এই সনদের বিরোধীতা না করলেও, পরোক্ষভাবে কোম্পানি যাতে এর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে না পারে, সে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখেন নি।

 
 
 
 

কি বন্ধু কেমন আছ? খুব রঙ খেলেছ তো দোলে? ১৪১৮ সনের নববর্ষ কেমন কাটালে বলো? এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি তোমায় – নববর্ষ কিন্তু ইংরেজী New Year এর মতই গুরুত্বপূর্ণ, হয়তো খানিকটা বেশিই, কারণ আমরা আসলে বাঙ্গালী তো! যতই ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড় না কেন, নিজের ভাষা, মাতৃভাষা কে কোনদিন অবজ্ঞা কোরো না কিন্তু। তুমি কি জান, UNESCO নামে একটা বিশ্বসংস্থা বাংলা ভাষা কে ‘the sweetest language of all the languages in the world’ (বিশ্বের সমস্ত ভাষার মধ্যে সবথেকে মিষ্টি ভাষা) বলে গত বছর ঘোষণা করেছে! যে কোনো ভাষা বেঁচে থাকে তার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে। শুনলে অবাক হবে যে সারা পৃথিবী তে প্রায় হাজার পাঁচেক ভাষা আছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রায় দু’হাজারের বেশি ভাষা শুধু ব্যবহারের অভাবে অবলুপ্ত হয়ে যাবে। মনে রেখো যে আমাদের দেশের মণীষী রা ইংরেজী তে দড় ছিলেন বটে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই, বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা কে অবজ্ঞা করে নয়। মাইকেল মধুসূদন দত্ত-র কথা তো তুমি জানই। ঈংরেজি ভাষার মোহে অন্ধ হয়ে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করলেন। চৌকস ছিলেন ইংরেজীতে। বহু ইংরেজ লেখকও তাঁর কাছে ম্লান। কিন্তু মাতৃভাষা নয় বলে কলকে পেলেন না। নিজের ভুল বুঝতে পেরে লেখা শুরু করলেন মাতৃভাষা বাংলায়।তারপর তাঁকে আর আটকানো যায় নি।

যাই হোক, তুমি কিন্তু কখনই নিজের মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা কোরো না। কেউ হাসাহাসি করলে তাদেরকে বোঝাবে তুমি যে সারা পৃথিবীতে পাঁচ হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা কিন্তু মাত্র ছ’ নম্বরে, আর ইংরেজি কিন্তু তিন এ, প্রথমে নয়।ইংরেজি কিন্তু একটা বিশ্বব্যাপি ব্যবহৃত ভাষা বা Global Language হয়েও তিন নম্বরে আর বাংলা সেখানে একটা স্থাণীয় ভাষা বা Local Language হওয়া সত্বেও মাত্র ছয় নম্বরে রয়েছে। বাঙ্গালী হিসেবে গর্ব হচ্ছে না তোমার? আমার ত’ হচ্ছে!

ঠিক এই রকম গর্ব আমার হয় বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার কথা ভাবলে। আওরঙ্গজেব ত ১৭০৭ সালে দেহ রাখলেন। মুঘাল সাম্রাজ্যের বাঁধন ভেঙ্গে পড়ল। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকদের সাথে হাত মিলিয়ে ভারতের নান প্রান্তে চুটিয়ে ব্যবসা করছে আর বাধা এলেই নানান ষড়যন্ত্র করে দখল নিচ্ছে সামন্ত রাজাদের। সৈন্য-সামন্ত, অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ছোটখাটো যুদ্ধও চালিয়েই যাচ্ছে।

তোমাদের ত আগেই বলেছি যে ইংরেজদের ঘাঁটি ছিল কলকাতায়। বাংলার নবাব তখন সিরাজদ্দৌলা। তিনি আবার ইংরেজ বণিকদের ঔদ্ধত্য আর স্বেচ্ছাচারিতা একদম পছন্দ করতেন না। ১৭৫৬ সালে ইংরেজদের শায়েস্তা করার জন্য সিরাজ বিশাল বাহিনী নিয়ে কলকাতা আক্রমণ করেন আর নিমেষে তার দখল নেন।ইংরেজ বণিকদের সে দিন ই শেষ দিন ছিল যদি না মীরজাফর থাকতেন।সিরাজের প্রধান সেনাপতি মিরজাফর ই সেদিন ইংরেজ প্রধাণ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ ও তাঁর অনুচরদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন।শুরু হয় এক নতুন ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। লর্ড ক্লাইভ বোধ হয় নিজেও জানতেন না যে আগামী এক বছরের ষড়যন্ত্র সারা ভারতের ইতিহাস কে দু’শ বছরের জন্য বদলে দিতে চলেছে।

১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ – ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয় আমার। একটা আম বাগানে সামান্য একটা যুদ্ধ, যার নিয়তি নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ-এর অধীনে মাত্র হাজার তিনেক সৈন্য, যাদের মধ্যে আবার মাত্র আটশ’ জন হল ইউরোপীয়। আর লর্ড ক্লাইভ-এর সহযোগী এডমির্যায়ল ওয়াটসন। সিরাজের সৈন্য সে তুলনায় বিশালঃ শুধ্য ঘোড়সওয়ারই ছিল আঠারো হাজার, ছিল পঞ্চাশ হাজার পদাতিক। নবাব সিরাজের হারের কোন কারণ ই নেই; তিনি অতি বড় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন নি যে এই যুদ্ধ তিনি হারতে পারেন।

কি হল তার পর?

পরের সংখ্যায় বলব।তোমরা সবাই ভাল থেকো কিন্তু।

The Making of a Man

Lies are the best truths.
My innocence turned crispy mature through it.
I followed only truth, once;
Poignance followed me.
Now I know how to tell lies.
And am a 'good man'.

Ugliness is a beauty--
It made me a man complete.
I sought only beauty once;
Received gruesome ugliness.
Now I know how to handle beauty with ugliness.
Am a 'better man' than others around.

A mind must speak its heart.
I used to do it instinctively.
Fool I had been
'Til I turned a man.
Now I know how to wind my mind to break hearts.
Am the best, you can think of.

তোমাকে না পাওয়া

তোমার চিবুকের দাগের থেকেও নিবিড়
তোমাকে না পাওয়া।
ঘড়ির কাঁটার ভুলের শাস্তি
তোমাকে না পাওয়া।
সূর্য ঝলসে পুড়িয়ে সন্ধ্যেতে নেমে যায়
তোমাকে না পাওয়া।
বিস্রস্ত চুলের ফাঁকে গভীর  চোখে
তোমাকে না পাওয়া।

আমার হাতের রেখাতে ভাগ্য
তোমাকে না পাওয়া।
আমার বুকের ছোট্ট কোনেতে জেগে থাকা রাত
তোমাকে না পাওয়া।
আমার প্রিয় গানের প্রাণেতে
তোমাকে না পাওয়া।
আমার অযথা কবিতার ক্রমে
তোমাকে না পাওয়া।

বিধাতা প্রেমের মন্ত্র লিখেছে
তোমাকে না পাওয়া।

আমি আর সে

নিঃশব্দতা স্মৃতি বয়ে আনে,

মুখোমুখি আমি আর সে, কত কথা খুঁজে ফিরি,

গালে হাত দিয়ে খুঁজি কত মানে,

সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে -- জীবনানন্দ কোজাগরী।

নৈঃশব্দ কত স্মৃতি গড়ে চলে,

হাতে হাত রেখে আমি আর সে,  কত পট আঁকি বসে,

আঙ্গুলের ফাঁকে সৃজন কথা বলে,

আমার বিশ্বাসে আকাশের তারা পড়ে খসে।

শব্দহীনতা কত স্মৃতি মুছে ফেলে,

আগুন মাটির নিচে কত বীজে নিশ্চিত আগামী;

মৃত্যুর মূর্ছণা ইতিহাস গড়ে চলে,

কত শব্দের ভিড়ে লীন নৈঃশব্দ আর আমি।

প্রজাপতি

একদিন সকালে হঠাৎ সে আমায় বললে
শুঁয়োপোকাটাকে প্রজাপতি করে দিতে পার?
আমি দিশেহারা--
লতায় পাতায় ফুলে জড়িয়ে নিতেই বললে, ছাড়ো।

ধরলাম রঙ মাখানো তুলি,
কাচ ধোয়া অবন ঠাকুর, বেজ, আইচ,
ডানা ভরছে স্বপ্ন ফ্রেস্কো,
সারাদিন, সারারাত ইজ়েল ছেড়ে, ফ্রিজের স্যান্ডউইচ।

প্রজাপতি প্রজাপতি, লালচে সিঁদুর চুলে,
শুঁয়োপোকা ছিলে তুমি কবেই গেছ ভুলে।
ভুলের আমি ভুলের তুমি, ভুলই যেন ঠিক,
গেলাস জুড়ে ভুল জমেছে, জ্বলছে কাবাব শিক।

লিমেরিক

(১)

ব্যাং বাবাজির মাথায় ছাতা, আকাশ ভাঙ্গে ঝড়ে,

পাখির গায়ের পালকগুলো বাদলা হাওয়ায় ওড়ে।

আমার নৌকা ভাসে জলে,

পাড়ায় জল এল না কলে,

বৃষ্টি এমন সৃষ্টিছাড়া, চোখেই ঝরে পড়ে ।।

(২)

কেরোসিনে পোড়ে পোকা, আগুনেতে হাত,

জন্মালে হবে জেনো এঁটো জাত-পাত।

মন-মাঝি বহুদূরে,

গান গাবে ভবঘুরে,

নেই শুধু হৃদয়ের মাথাতেই ছাত ।।

(৩)
ইঁটের চূড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, চিংড়িভাজা পাতে,
ধুঁকছে বুড়ো, জ্বলছে নুড়ো, ভুশণ্ডির-ই মাঠে।
পেটের মনেতে নাই সুখ,
অলিন্দে ফুসফুসে অসুখ,
খাবি খাচ্ছে কবি, ফাটছে মাইন, বিড়ি গোঁজা কানেতে ।।

(৪)
চুপচাপ কথা নয়, চেঁচামেচি জোরে,
দল বেঁধে হাতিরা সব আকাশেতে ওড়ে।
হাঁচি পেলে হেসো না,
মোটে ঝেড়ে কেশো না,
তালপাতা সেজে শুধু উঠো কাকভোরে ।।



Frantic...Munna Bhai -- The Teachers of the New Era

There has been a four-day long training on subject-wise pedagogy for which the focus was mostly set on the new educational theory of 'Constructivism'.

According to the theory of constrictivism the Instructor (we must not call ourselves 'teachers' anymore) must allow the learners (not 'students') to be involved more in their base-line studies and then in peer learning. In a 40 minutes long class the Instructor has only 10 minutes of his show to teach new things to the learnes. Based on that, the learners are induced with the knowledge of the new things those are added to their previous one.

I really wonder that in welcoming this new progressive theory of learning, no one thought of the discipline in the classes. All have taken for granted that through application of this new educational policy, the learners would turn disciplined in one fine morning showing all the due respect to all the teachers when all I can see around myself, as a teacher, that disobedience and indiscipline are running rampant in the educational institutions from the end of the learners and their  guardians with the introduction of no cudgels and only chocolates even when the mistakes are made.

In suppport of that reference to the Bishop's Candle-sticks sounds good and inspiring and many more rare stories are fashioned to induce the spirit in the teachers to work as Munna Bhai, the greatest Gandhian of this new dawn, to offer chocolates and roses with unlimited perseverence even when a learner thinks that cheating is his/her fudamantal rigt in the exam hall and the role of the invigilator is to see that he/she not disturbed in anyway while doing so.

I better call this idea frantic....if not fantastic. The respected Inspectors have long turned puppets in the hands of this system and have been continuously preaching these ideas with the added flavours, indiscriminately with all their personal wits and wisdoms shut.

The Escape

My fanciful wings were dipped

In the dark chocolate to lick it clean.

Things were never so sticky.

I tried to fly high to escape.

 I fell, got hurt.

But pains never felt sweeter.

The bitter sweet.

Dreams were chasing me.

It all ran faster than time, even.

I ran and ran and ran again.

Tried to catch myself,

I failed, got lost.

Panting never felt relieving.

The sigh sweet.

রবীন্দ্র বিদূষণ

 আমাদের স্কুলের স্বল্প ও সীমিত পরিসরে রবীন্দ্র-চর্চা করতে হবে দীর্ঘ্য এক সপ্তাহব্যাপী - নিদেন দিলেন রাজ্য সরকার। সারা বছরের মধ্যে যেন এই সপ্তাহে বিশেষ ভাবে রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনে নিয়ে আসেন এক অপূর্ব চেতনা। না, এই নিয়ে কোনো রাজনৈতিক ব্যবচ্ছেদ এখানে উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য এই যে এক অকারণ আড়ম্বড়ে হঠাৎ এক মহাজাগতিক কবিচেতনা কে এক তুচ্ছ জাগতিক মাত্রায়  পর্যবসিত করা।

বিশ্ব নারী দিবস সম্পর্কে শোভা দে এক মজার উক্তি করেছিলেনঃ "শুনে মনে হয় যে বছরের ৩৬৪ দিন হল ছেলেদের, আর কৃপা করে এক দিন মেয়েদের দেওয়া হয়েছে।" কবিগুরু-ও মনে হয় অনেকটা  সেই স্রোতে ভাসবেন, এবার।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখা ‘Tradition’ নামে এক প্রবন্ধে বলেছন যে, যদি কোনো tradition কে ভেঙ্গে কোনো নতুন tradition গড়তে হয়, তবে পুরোনো সেই tradition কে নতুন-এর থেকেও বেশি করে জানতে হবে, তবে না বিক্ষেপ লব্ধ হবে। তাই রবীন্দ্রনাথ-কে সমালোচনা করতে গেলে তাঁকে জানতে হবে চিনতেও হবে।

আমি যে রবীন্দ্রনাথ খুব পড়েছি, তাঁকে খুব জেনেছি, এমন কথা বলতে পারি না। তবে তাঁর লেখার যে পরিমাণ ও পরিসর, তা আমার কাছে এক জন ব্যাক্তির বলে অসম্ভব ঠেকে। স্কুলের স্টাফ-রুমে যখন আলোচনার ঝড় বইতে থাকে, আমি বরং একটু সিঁটিয়েই থাকি। তবে বহুচর্চিত এই ঈশ্বর-সম ব্যক্তি সম্পর্কে একটা কথা আমি নিজে নিজেই ভেবে নিয়েছি যে, তাঁর প্রতিভা স্ফুরিত হয়েছিল, একটা প্রাথমিক কারনে -- কোনোদিন কোনোভাবে অর্থচিন্তা তাঁকে করতে হয় নি।গতকাল পড়ে জানলাম, কবি নজরুলও তাই ভেবেছিলেন। নজরুল লিখছেনঃ

“ওঁর আমাদের উদ্দেশ্য করে আজকালকার লেখাগুলোর সুর শুনে মনে হয়, আমাদের অভিশপ্ত জীবনের দারিদ্র্য নিয়েও তিনি যেন বিদ্রূপ করতে শুরু করেছেন। আমাদের এই দুঃখ কে কৃত্রিম বলে সন্দেহ করার প্রচুর ঐশ্বর্য তাঁর আছে জানি। ...তাঁর কাছে নিবেদন তিনি যত ইচ্ছে বাণ নিক্ষেপ করুন তা হয়তো সইবে, কিন্তু আমাদের একান্ত আপনার এই দারিদ্র্য যন্ত্রনাকে উপহাস করে আর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে না দেন”। (নজরুল/ আত্মশক্তি)

চারিদিকে তাঁর সার্ধশতবৎসর উপলক্ষ্যে এত অর্থসমাগম, এত ছুটি, এ সব কেন? এই আশায় বুক বেঁধে যে লাস্ট বেঞ্চের ছেলেটা বা মেয়েটাও জানুক, যে ওই দাড়িওয়ালা বুড়ো লোকটা কোনো ঠাকুর নন, রক্ত-মাংসের এক ঐশ্বরিক প্রতিভূ।

“ধায় যেন মোর সকল ভালবাসা

প্রভু, তোমার পানে...”

অঞ্জনের রঞ্জনা...

পেলিং থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ই অঞ্জন দত্ত-র সঙ্গে দেখা। সদলবলে ফিরছেন কোথাও থেকে। পকেটে লেখা সেই বিখ্যাত গানের লাইনঃ "রঞ্জনা আমি আর আসব না।" আমার বাড়ির অন্যান্যরা ওঁকে দেখে বেশ উৎসাহী হয়ে পড়লেও, আমার কিন্তু কোন বিকার নেই। স্টার এ রা আমার কাছে প্রফেসানালস্। আমি শিক্ষকতা করে উপার্জন করি, ওঁরা স্টারডমশিপ্ বেচে। যার যে রকম উপার্জ্জনের পদ্ধতি। এতে অত হাদেক্লাপনার কি আছে কে জানে! তবে তাঁরা যে গুণের জন্য 'স্টার', সেটাকে শ্রদ্ধা না করে পারি না।সেজন্যেই তো কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত এঁরা আমার মনে অনেক আশা জাগান। খুব আহত হয়েছিলাম, ব্যোমকেশ রিলিজ হওয়ার পর। যাই হোক। সেই অঞ্জন দত্ত যখন আমার পিছনে এসে বোর্ডিং পাস নিতে দাঁড়ালেন, জিজ্ঞেস না করে পারলাম না, "কি ব্যাপার, এদিকে?" বললেন, "একটা সিডি রিলিজ ছিল, দার্জিলিং-এ"। বুকে সাঁটানো ব্যাজ টা দেখিয়ে বললাম, "এটাই কি তার নাম?" এক গাল হেসে বললেন, "না না, এটা আমার একটা ছবি, শুটিং শেষ। জুন-জুলাই নাগাদ রিলিজ হবে।"

"Madly বাঙ্গালী" নিয়েও আমি খুব আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু কোথায় যেন তাল কেটে গিয়েছিল ছবিটার। সকলের অসাধারণ অভিনয় ও ধরে রাখতে পারেনি ছবির প্রবাহকে।

পিকাসো-র গীটার

আজ কিন্তু পুরো পয়সা উসুল। পাবলো পিকাসো বারে বারে ঘুরে ফিরে এসেছে মাথায়, অঞ্জনের রঞ্জনা দেখতে গিয়ে। সেই power, passion, eccentricity, womanizing, addiction, nose for the right talent and art, infinite creativity, honesty only to the art form- just সব, সবকিছু নিয়ে এক অসাধারন চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন অঞ্জন।অবলীলায় মিশিয়েছেন বাঙ্গালীকে সঙ্গীতের মহাজাগতিকতার সঙ্গে। স্বীকার করেছেন কবীর সুমনের কাছে হারঃ "তোমার মত গান লিখতে পারলাম কই!" সুমন ও নিজের জীবনের মোক্ষ কোথায় তা পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন।

বাংলা গানের দিন বদলের দিনে যে দুজন কে ধরে বাঁক নিয়েছিল শ্রোতাদের কান, তাঁরা যে সত্যি সবার ঊর্ধে শিল্পী, তাঁদের আর কোনো জাত নেই,  তার প্রমাণ সেলুলয়েডেও বলিষ্ঠ ভাবে রেখে গেলেন।

অঞ্জন কে সেদিন ধন্যবাদ জানানো হয় নি। আজ জানালাম।

"তুমি বৃষ্টি ভিজো না, ঠান্ডা লেগে যাবে......"

অবশেষে বর্ষা এল। এমন করে এল যে বাইরে বেরোন দায়। ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে আর যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ইলশেগুঁড়ি। এমন হাওয়া যে বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে পড়ার আগেই উড়ে যায়।তবে ইলিশ এর দাম মোটেও কমেনি।যা কমেছে তা হল বাজারে ভিড়।আমার গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে অনেকের অনেক বক্তব্য আছে। তবে এরকম বৃষ্টি-বাদলার দিনে ঘর বন্দী হয়ে থাকতে মন্দ লাগে না। শহরের বুকে এই ত ক'টা দিন ব্যাঙের গোঁঙানি শোনা যায়।


আমার ছেলে ত আর জলে কাগজের নৌকো ভাসাবে না, ওদের বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগে, জ্বর আসে, test দিতে পারে না, বাব-মা কে তার জন্য অফিস কামাই করে মহামান্য প্রিন্সিপ্যাল-এর সঙ্গে দেখা করতে যেতে হয়। শৈশব তো আর ফিরে আসবে না! Base কাঁচা হলে তো কোনো future নেই।


তাই ওকে বলি, বৃষ্টি না ভিজে একটা essay লেখ দেখি, কেমন পার! আর সেটা যেন, তোমার হিজিবিজি কল্পনা না হয়, তাহলে আর তোমার ক্লাসে সবার থেকে এগিয়ে থাকা হবে না...

Mastering the Teachers

I really have been watching that the teachers in West Bengal have long stemmed their expectation of living up to their dignity. Call them with whatever name you want to, and they have the sacred forgiveness earned through their education in the literal sense. The question comes almost everyday that within so few hours they have less work and are overpaid. However the teachers have never stopped anyone entering into the same profession. Sitting in a cubicle, with air-conditioning machines turned on, enslaved by the bosses, there are so called learned intellectuals, who have perhaps, never ever in their lives have made a single illiterate child learn his first alphabet and preferred to idle away their leisure hours in beer pub, suddenly become socially conscious when they come across the pay-packets and the holidays that the teachers in schools enjoy.

Those who do not know, I would like to mention that that the teachers have got the Saturdays working while in the private sector almost all the parallel designators enjoy leaves on Saturdays. In a whole year, the teachers in West Bengal have 65 days of leave (including the vacations and all the public holidays) while those working with the private sector, especially in the Information Technology industry, enjoy 52 days of holidays that the Saturdays in a year conjure up. Added are almost 25 days of public holidays. The same applies on the State and the Central Government employees.

Now let us come to the question of being overpaid. In United Kingdom (for those who salivate at the Civilization in the West) teaching and nursing (not medical practitioners as doctors) are graded the most dignified profession, as these directly relate to the service of mankind and thus the professionals are paid that the dignity in the job deserves. Undoubtedly, less the dignity, the government has made arrangements, all over India, so that the teachers are not deprived of their deserving honourarium. 

Strangely enough,, In West Bengal, the well placed educated people, cannot stand the changed deserving status of the teachers, here. The teachers are to be called MASTERMOSHAI forevermore; they should be ever clad in ragged clothes and put on torn chappals, but know and teach ever better than the God himself.

If they manage to live better, try every means to pull them down to the real status of living hand-to-mouth. My dear friends and those who cherish a perpetual grudge against the teachers, I cannot change your learned outlook to the teachers, because as your purses are thicker than them and so with the virtue of your daily enslaving mark of glitz of corporatization you earn the fundamental right of becoming jealous of the teachers. But think hard, if you had the knowledge and ability to TEACH one single child on earth would you have chosen to be enslaved thus?

Do remember, the things you have learnt in your life are only through the teachers at your first school. So, please do not sulk, they deserve it.

Vintage

Memories

I still can smell the raw paints on the walls of my favourite hiding, a cupboard, of the house we lived for eight long years at Belur, a kilometer away from Belurmath itself. In it I used to spin all my dreams, cry, laugh and frown at my parents who did all the things they wanted to and restricted me from doing all the things I wanted.

I really don't know if the first rhyme, I had written on my own on the walls of it, is still there or not. I had foolishly imagined, after my first return from Konark, Orissa, that someday my creations would be discovered thus. So to lessen the burden of the archeologists I had written my own name there too.

Memory still lingers in my mind of my first sight of the deep blue sea at Puri, and how scared I was when the sand passed from under my feet with the waves dying down back to the sea. I felt like Sita, in The Ramayana, being gorged down to Mother Earth.

If a human being treasures something in him, it is his memories and only memories. Bigger memories with greater and wider significance are called History. To an individual his own history, however big or small, makes a man of him when he grows up.

I have grown up with memories, good, bad and ugly and references to them still help me finding the right ways at the complicated cross-roads.

Kheya

Everyday, all, baked with the scorching heat of the summer sun, look forward for a relieving Kalboishaki at the end the day to be entailed by at least a temporary relief. Last Sunday, though was, a different story for all the residents of Lakeview Cooperative housing society Ltd as an annual cultural programme was organized. No one wanted to be a spoil sport to see the children of Lakeview to take the stage by storm, instead of Kalboishakhi.

And everyone lived far above our expectation making our jaws dropping. Catastrophically we remained open mouth, too, with wonder that how could be the sound system so poor in quality!

Hats off to all the performers who never let their own efforts fall to give their best out despite such inconvenience.

 

শুকনো লঙ্কা

মিঠুন চক্রবর্তী-কে আবার দেখলাম। মোহিত হলাম।

রবিঠাকুর, তোমায় প্রণাম

আজ আমরা যেখানে থাকি সেই লেক ভিউ এ আমাদের স্বপ্ন দিয়ে বোনা 'কাঁথাস্টিচ' এক অনবদ্য অনুষ্ঠানের আয়োজম করেছে। ঘরোয়া জলসা-ও বলতে পার।আজকাল তো এসবের বালাই নেই বললেই চলে, তবু আমরা চেষ্টা করছি ব্যাপারটা যাতে মরে না যায়।

Sikkim : The Laughing Stock

Can you ever imagine sitting here in Kolkata that you are stiff-jawed obedient to the traffic rules when there is no traffic police? People will laugh at you, if you are one.

I had been to Sikkim recently and even the most uneducated driver obeys the traffic rules there. They do not blow the horn unnecessarily as a precautionary measure because one, the chances of accidents are less because even when the road is empty, they stick to the left instead of the middle and, finally it was rather queer for me to know from a driver, who has never been to school, perhaps,and supposedly knows even less than my seven-year old son, that blowing horns indiscriminately causes noise pollution, and apart from rules being very strict at Sikkim, all the drivers maintain that, even when there is no chance of Police catching them.

We, the Kolkatans, are to laugh at such a joke and cuddle that how fool the people at Sikkim are.

Pelling : Somewhere Close to Heaven

Black and White

Two simple colours of life: black and white; one has to know one to learn another,; one reflects all the colours and the other absorbs all.....recently am really absorbed in these two antithetical but apparently simple mystic colours.....all lights and shades are strangely defined by these two basics.

When life gets saturated with colours it chooses to take resort to the sources : either the reflective vibrant way or a very absorbed introversion. It is never a coloulessness of things, but a sublimity that only salvation matches.

The Fluid State of Education

On my way to school today, my co-passenger in a public bus was a tipsy man. He revealed in an unintended, almost soliloquized conversation with me that he has a daughter and a son and they are studying in class XII and IX respectively. He said that during his days at school, he had to go to school and thus, though he did not really want to, did learn something. But he is at a fix now as his children managed to get promoted to the next classes without attending the school regularly and learning nothing. He said though he was tipsy and talking things of no importance, he knows that the things he had once learnt at school is still earning him his bread. his question seemed to me a pertinent one as he is still wondering like many of the guardians -- has the education system in our state been drunk?

LIVIN' LA VIDA LOCA

Livin' La Vida Loca: Living a crazy life. Seal writes, "You can never ever survive unless/ you are a little crazy". True. But we must not lose our balance to follow the trance of the call to be CRAZY. S