Tuesday, 31 December 2013

দিবাস্বপ্ন


সকাল হলেই কতগুলো পোকা হাঁটে, সারা শরীর বেয়ে ওঠে আর নামে বাজার-দোকান-ট্রাম-বাস-জীবিকা, কোথাও নিস্তার নেইএর মধ্যেও শান্তি ওই দূরে তারাগুলো থেকে আলোকবর্ষ বেয়ে নেমে আসা খানিকটা তাপ যখন মেখে নিই গায়ে, চাঁদকেও মনে হয় বড় কাছের, বড় আপন সাপ যখন ফনা তুলে তেড়ে আসে, তার হিংস্রতার মধ্যেও কোথায় যেন সৌন্দর্য খুঁজে পাইতার হিংস্রতা যে পবিত্র, কোনো লুকোচুরি নেই।স্বপ্ন আমি বড় একটা দেখি না, আবার যে দিন দেখি, দাগ রেখে যায়, গালে, ঘাড়ে, বুকে, পাঁজরায়। আঁচড়ের দাগ। সেরে যায় দু-এক দিনেই।আর যে দেখতে পাওয়া যায় না! মিলিয়ে যায় মোটা-চামড়ার রঙের সাথে।কুকুর,গরু, এরা আবার আজন্ম বর্ণান্ধ। নাকি সব সাদাকালো দেখে।ইসসসসআমিও যদি ওদের মত হতাম, কত সহজ হত আমার দৃষ্টি শুধু সাদা আর কালো। কালো আবার আমার সবথেকে প্রিয় রঙ। আগে সাদাই ছিল, এখন কালো। বেশ কেমন সব রঙ শুষে নেয়! সব রং-ই আছে অথচ নেই।কত রহস্য, রাখ-ঢাক।এইবারে পূজোর সময়ে যখন ঢাকের বাজনা শেষ হল, তার আগে কত সিঁদুর নিয়ে খেলা!আগে কোনোদিন অত লাল আমি দেখি নি, রক্ত ছাড়া। ছুঁলাম লাল, ছোঁয়ালাম। ব্যাসখেলা শেষ! আর শেষের শুরুকালো।

শের-দিল


ঠোকাঠুকি লেগে
রইলাম জেগে
রাত থেকে দিন
বেলুনেতে পিন

আঁশবঁটি খোলা
রাখলাম গলা
পড়ে ছাঁট পাতে
জীবন মুঠোতে

চুপচাপ চোখ
না-কাটা নখ
আঁচড়ায় তিল
কাম-অন ..kill

এস-এম-এস সাজে
কথা কারুকাজে
তিল থেকে তাল
আকাশ-পাতাল

আকাশেতে পাড়ি
মরু বালিয়াড়ি
(সাত) সমুদ্র নদী
হই পার যদি

কথা মাথা ঠোকে
চোয়াল চিবুকে
চিকন মোড়কে
                স্বপ্ন জঞ্জাল

Thursday, 26 December 2013

মেরী খ্রিষ্টমাস


রাত জাগছে কালপেঁচা
আর লক্ষ্মী ছাদের কার্নিশে
সান্টাক্লজ়ের ঝুলির ভেতর
অভিমানি কত কালসিটে

মুখের ভেতর জিভ চলাচল
সাপের মত চিরতে চায়
একরতি রাত ভোর হোক আজ
চোখ খুললেই দেখি তোমায়

এপাশ-ওপাশ সিগারেট ছাই
খবর চাই না আজকে
যেমন আছ তেমনি থেকো
আজ  থেকে সেই কালকে

যন্ত্রনা ফেঁপে শেখ্যপীর
কথার কথা আওড়ায়
শব্দ ভাসে ব্রীজের নিচেতে
কলকাতা থেকে হাওড়ায়

জানলায় ভোর শালিখ দুটো
আড়চোখে রোজ কি দ্যাখে
আলতো করে পাল্লা খুলে
উড়ে পালায় কোন ফাঁকে

পর্দায় রোদ আটকায়
চামড়ায় মোটা সানস্ক্রীন
কফির ধোঁয়ায় নতুন টিভিতে
পুরোনো ছবির লাভ-সিন

শোয়ার আগে কে যেন রোজ
কানের মধ্যে ফুট কাটে
মুরোদ নেই তো জ্বলছ কেন
মাঝরাতে রোজ বুকফাটে

সোনার গোলক গড়িয়ে দিলেই
পাল্টা-পাল্টি হবে কি
উল্টে-পাল্টে যাবে কপাল
প্যাঁচার কোলে লক্ষ্মী

Friday, 20 December 2013

বাসের সিট


বুকের মধ্যে তোমার গন্ধ মিশে
আজ  এখানে ধূমপান বুঝি নিষেধ
শুকনো মুখে চেয়ার খুঁজে ফিরে,
কে আর দেখবে,কফিকাপে আর ভিড়ে!
ফোনের ওপারে চুপিসাড়ে পড়ে শ্বাস
আমার ভাল থাকা তুমিই বারোমাস
কবিতার বই বাসের একলা সিটে
ঘুমিয়ে পড়লে সব বুঝি যাবে মিটে
কথা ভেঙে যখন বেদনার গুটি হয়
নিজের কাছে নিজেকেই লাগে ভয়

Sunday, 1 December 2013

সব চরিত্র কাল্পনিক


সব চরিত্র কাল্পনিক
সিনেমার ভাঁজে ছেঁড়া ছবি
দেবদাস নাকি দার্শনিক!

সব চরিত্র কাল্পনিক
তোমার সন্তান আর তুমি
দুধে-ভাতে বড় আন্তরিক!

সব চরিত্র কাল্পনিক
ফোনের ইথারনেটে
মন ওড়ে প্যান-প্যাসিফিক।

সব চরিত্রই কাল্পনিক
Elevator- সাদা ঠোঁট,  
মদের গন্ধ মেখে নিক

স-ব চরিত্র কাল্পনিক
দশেন্দ্রিয় বেয়ে নেমে আসা স্রোত
গঙ্গাবক্ষ ধুয়ে দিক!

সব চরিত্র কাল্পনিক
আর ঈশ্বরের দোহাই,
সব রক্ত শুষে নিক

সব চরিত্র কাল্পনিক
থাকা-না-থাকার অনন্ত অন্তর
শ্মশান বড়ই বাস্তবিক

কল্পনার এই অস্তিত্ব
আমাকে রাখুক অযান্ত্রিক...
শব-চরিত্রই কাল্পনিক।

 

 

 

 

 

 

 

Tuesday, 29 October 2013

Red Red Wine


Importunate incision with the blemishes--
The fireworks in the sky celebrate
The invasion of the worms in the grains
Of my livid conscience,
Shunned along the trifling margin
Of my real existence in the muck.

I am the dark tragic hero of a post modern
Freudian epic.
Creeping through the pits in my soul
The needles of flaw prick me to scarlet.

I fall from grace to ignominy.
Friend is a fancy
But I, myself  and me.

With the broken pieces of my sliver
I slit my eye-pits for a drop of tear
To soothe my dried path of pilgrimage
To salvation from wrath,
To futily from reveries....

 

Thursday, 24 October 2013

রহস্য-টা কোথায়, পুরোটাই যে মিশর!!!!!!


মিশর।ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এক স্বপ্নের নাম। তার সঙ্গে আবার যদি রহস্যের গন্ধ থাকে তবে তো mind blowing! তা-ও আবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। বিরাট পোস্টার, অসামান্য হোর্ডিং, sepia-র ছোঁয়ায় বালি আর মিশরীয় ফারাওদের সোনায় মোড়া বৈভবের অনুষঙ্গ – সব মিলিয়ে এক আকাশছোঁয়া আশা যে সৃজিত নিশ্চয়ই অসাধারন মাল-মশলা দিয়ে গড়বেন এক আশ্চর্য পিরামিড।  Movie buff- দের স্ফিংস। মন্তাজ দিল সেখানে  finishing touch.

হায়!!!! কোথায় কি!!!! পুরো "Touch touch....talcom powder".....ফার্স্ট হাফ টা মোটামুটি একটা জগাখি্চুড়ি। দর্শক কে জগা আর কি খিচুড়ি তাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। তবু যখনি ল্যাজা মুড়ো জুড়ে একটা কিছু মনের মধ্যে খাড়া করা যায়, আবার ঝপাত করে jump cut. আর ক্যামেরার সামনে প্রসেনজিতের যে এখনো অনেক শেখা বাকি তা বারে বারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেলেন রজত কপুর।

হানি আলকাদির ভূমিকায় ইন্দ্রনীল বেশ। তবে গল্পে তাঁর মত একজন মসীহা কে দিয়ে যে ছোট ছোট বাড়ির ঠিকে চাকরের মত কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে, কাকাবাবু-কে বড় করে দেখানোর উদ্দেশ্যে, তা বেশ সস্তা-ই করেছে চরিত্র-টিকে।

একটা ব্যাপার তবে মানতেই হয়, অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। দর্শক মিশরকে আর সে দেশের নিজস্ব রহস্য-কে ভাল না বেসে পারবেন না।কারন কাকাবাবুর গল্পে যে সাসপেন্স তৈরী করা হয়েছে, তা বেশ মেকি, কারণ সেই অর্থে রহস্য-ই নেই কোনো।মোটিভ বানানোর ওপরে একটা রহস্য-নির্ভর গল্প, এ কেমন কথা!!!! মোটকথা জমেনি সে ভাবে।

আরও অনেক খুঁত ছিল, ভুলে গেলাম। যত নষ্টের গোড়া হল ভাল জিনিসগুলো!!! সবসময় খারাপগুলো-কে ভুলিয়েই দেয়।

 

Tuesday, 8 October 2013

Macbeth by Swapnosandhani


Unforgotten tragedies are best remembered and enjoyed perhaps. Every individual wants to be poignant somewhere somehow. Happiness is boring and monotonous. It makes a man fearful and aimless because he has nothing more to achieve and that monotony of life makes an individual frustrated. He loses hope and cannot really think beyond as all his ambitions are gone with his completion of the circle of goals he ever dreamt of completing.

And beyond every completion of ambition, apart from individual will power, a catalytic force always works as an intense undercurrent that makes the self-esteem of the individual stronger. Even if the man rises to fall he does it with an unparalleled confidence and dignity that none can defy and it works in him like a force that is even more powerful than the sun is. And that cuts the honest hero out of him and the show of it worth countless tears.

Macbeth and Lady Macbeth – a brace made for each other; they complete each other. With a full house audience to cry with this classical tragedy of William Shakespeare, where the tragic flaw of the hero was his ambition to be the most powerful man on throne imbedded into him through occult forces, the translated play by ‘Swapnosandhani’ was just perfect. Kaushik sen and his better half had been outstanding on stage as Macbeth and Lady Macbeth. I have a feeling as an audience that Swapnosandhani always focuses on some surprising elements or gimmicks with its stand-alone stage sets that the quality of acting becomes the second priority and all the flaws are quite shrouded by the light-stage-set-and-action beyond the expectation of the audience. The never-seen before things attract the audience so much that they forget to empathize with Macbeth or Lady Macbeth. All they expect is how would the known facts be represented on stage…what is the novel technique adopted.

In making things new and more relevant through sense translation of the play, the character that faces the heaviest of the blows is the one of Lady Macbeth. She, as an actor is sometimes even far better than Macbeth. However, she loses her dignity when there are almost straight hints that it was through the sensuousness that she grinds into Macbeth the seed of ambition and to achieve that no matter what he needs to do.

Needless to say that things are thematically well driven and concluded though the denoument draws a little closer to  contemporary political outlook in West Bengal as it talks about whoever is on the throne, is to be feared and tyranny grips in him. This unexpected twist gets applaud from the audience.

 

 

Friday, 27 September 2013

কি দেখলাম, গুরু!!!!!!


সিনেমার মত’- বটে!!!! সিনেমার থেকেও বেশ খানিকটা এগিয়েই। আমার কাছে চিরকালই সিনেমার থেকে নাটকের গুরুত্ব বেশ বেশিই। আর সিনেমা যখন মর্মস্পর্শী হয় তখন সেটাই আমার কাছে নাটকের এক ভিন্ন চূড়ান্ত রূপ বলেই যেন ধরা দেয়। আর নাটক যখন স্টেজে সিনেমার মত হয়ে ওঠে, তখন তো আর কথাই নেই। আড়াই ঘন্টা চোখ ফেরানো যায় না স্টেজ থেকে।কখনও মনে হয় না, কখন শেষ হবে। ব্রাত্য বসুর ‘সিনেমার মত’ দেখে তার পরের দিন আমি আমার সবথেকে কাছের মানুষনটিকে জানালাম যে তখনও আমি নাটকটির অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারিনি। লিখতে বসে উঠে পড়েছিলাম। আমার ছেলে আমাকে প্রায়-ই বলে নাটক বা সি্নেমার বিশেষ দৃশ্য দেখে সে emotional হয়ে পড়ে।ওর কাছ থেকেই প্রথম শিখেছি, যে কোনো বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হলে এই emotional spell-টুকু সবার আগে কাটিয়ে ওঠা দরকার।উঠলাম কাটিয়ে।বসলাম লিখতে।

দেখতে দেখতেই বেশ কিছু ব্যাপার চোখে পড়ল। বহুবার পিছন ফিরে সংলাপ বলা, যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। হঠাৎ ‘তৃণমূল’ সম্পর্কে একটি বিচ্ছিন্ন সংলাপ, বাদ দিলে বিশেষ কিছু ক্ষতি হত না। বেশ হাততালি পেল বটে সংলাপটি, তবে কেন পেল, আমার গোদা মাথায় পরিষ্কার হল না। আর স্লাইডে সিনেমার ক্লিপিং দিয়ে যে metaphor এর আবহ তৈরী করার কথা ছিল, তার বদলে DELL-এর নোটবুকের হোমস্ক্রিন, বারংবার বেশ অসহ্য। কলকাতার বুকে দেড়শ’- দু’শ টাকার টিকিটের নাটকে এরকম ত্রুটি কোনো যান্ত্রিক গোলোযোগের দোহাই দিয়ে ঢাকা যায় না বোধহয়। হয়ত অল্প বয়স বলেই উদ্ধত নায়কের শ্লীলতাহানীর দৃশ্যে অসহায় মেয়েটি বাড়ির বাইরে যাওয়ার উন্মুক্ত দরজার সামনে দাঁড়িয়েও পালিয়ে না গিয়ে অনেক  দূরে স্টেজের শেষ প্রান্তে bedroom-এ আশ্রয় নিলেন; দৃশ্য অনুযায়ী তাঁকে raped হতেই হত, তাই।

গল্পটা শুরু থেকেই বেশ নাটক নাটক ছিল। ধরা যাচ্ছিল, সময়ে সংলাপ বলার তাগিদ, চোখে পড়ছিল সংলাপের সঙ্গে নিজেদের ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে অতি-অভিনয়ের অঞ্চলে প্রবেশ। তবে বেশ দেরিতে ট্র্যাজিক নায়কের আগমন আর তাঁর সাবলীল অভিনয়, বাকি সবাই-কে আরও সহজ করে তোলে। যত সময় পেরিয়েছে, নাটক আর নাটক থাকেনি। সিনেমার মতই স্বপ্নালু হয়ে উঠেছে নায়কের শানিত প্রতিভাবান অভিনয়শৈলীর ছটায়।

বাকিটা যাঁরা লিখে খান, তাঁদের জন্য ছেড়ে রাখলাম।

 

Saturday, 21 September 2013

সিংহবাহিনী


চোখের পাতায় স্ক্রাবার মেজে ঘষে
কাবার হলো তুলোর মত দিন
জিন্স-টিশার্টে রোদ্দুর ক্যামেরাতে
পাকড়াও চলে ম্যানুয়াল ক্লিকিং

কোলে-কাঁখে আজ ভরে আছে ল্যাপটপ
আমিও আলোর ছায়াপথ মেখে ছবি
ক্যানভাস ছেড়ে আদাড়ে-বাদাড়ে ঘুরে
একা হয়ে ওঠা প্রস্তর এক কবি

সে কোন ভোরেতে কেটেছিল শৈশব
নিজেকে চেনাও তোরই আয়নাতে
ব্যান্ডেজ বাঁধা ক্ষতের গভীরে স্মৃতি
চাঁদের কপালে টিপ তোরই বায়নাতে

আজও আছে পড়ে আমার জংলীয়ানায়
পশুর চোখেতে তোর ছবি নিষ্পাপ
আগুনে গলানো সোনার মুরতি তুই
তোর কঠিনেতে নেই মোর কোনো ছাপ

আমার নরমে তোর কঠিন মন
জানিস আজ আর নেই তার কোনো খোঁজ
তবুও কোথাও আমার সৃষ্টি খোঁজে
ফ্রেমে বাঁধানো সে অনুভূতিটুকু রোজ

শাইলক বসে শানছে বুকেতে ধার
চকচকে চোখ নেমেছে বুকেতে আজ
মুকুটে পালক পরা যে তোকে চেয়ে
তুই হবি দেবী, আমি তোর পশুরাজ