মিশর।ইতিহাসের
পাতা থেকে উঠে আসা এক স্বপ্নের নাম। তার সঙ্গে আবার যদি রহস্যের গন্ধ থাকে তবে তো
mind blowing! তা-ও আবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। বিরাট পোস্টার, অসামান্য হোর্ডিং,
sepia-র ছোঁয়ায় বালি আর মিশরীয় ফারাওদের সোনায় মোড়া বৈভবের অনুষঙ্গ – সব মিলিয়ে এক
আকাশছোঁয়া আশা যে সৃজিত নিশ্চয়ই অসাধারন মাল-মশলা দিয়ে গড়বেন এক আশ্চর্য পিরামিড। Movie buff- দের স্ফিংস। মন্তাজ দিল সেখানে finishing touch.
হায়!!!! কোথায়
কি!!!! পুরো "Touch touch....talcom powder".....ফার্স্ট হাফ টা মোটামুটি একটা জগাখি্চুড়ি। দর্শক কে জগা আর কি খিচুড়ি তাই খুঁজতে
খুঁজতে হয়রান। তবু যখনি ল্যাজা মুড়ো জুড়ে একটা কিছু মনের মধ্যে খাড়া করা যায়, আবার
ঝপাত করে jump cut. আর ক্যামেরার সামনে প্রসেনজিতের যে এখনো অনেক শেখা বাকি তা বারে
বারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেলেন রজত কপুর।
হানি আলকাদির ভূমিকায়
ইন্দ্রনীল বেশ। তবে গল্পে তাঁর মত একজন মসীহা কে দিয়ে যে ছোট ছোট বাড়ির ঠিকে চাকরের
মত কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে, কাকাবাবু-কে বড় করে দেখানোর উদ্দেশ্যে, তা বেশ সস্তা-ই করেছে
চরিত্র-টিকে।
একটা ব্যাপার তবে
মানতেই হয়, অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। দর্শক মিশরকে আর সে দেশের নিজস্ব রহস্য-কে ভাল
না বেসে পারবেন না।কারন কাকাবাবুর গল্পে যে সাসপেন্স তৈরী করা হয়েছে, তা বেশ মেকি,
কারণ সেই অর্থে রহস্য-ই নেই কোনো।মোটিভ বানানোর ওপরে একটা রহস্য-নির্ভর গল্প, এ কেমন
কথা!!!! মোটকথা জমেনি সে ভাবে।
আরও অনেক খুঁত
ছিল, ভুলে গেলাম। যত নষ্টের গোড়া হল ভাল জিনিসগুলো!!! সবসময় খারাপগুলো-কে ভুলিয়েই দেয়।
No comments:
Post a Comment