দেখতে দেখতেই বেশ কিছু ব্যাপার চোখে পড়ল। বহুবার পিছন ফিরে
সংলাপ বলা, যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। হঠাৎ ‘তৃণমূল’ সম্পর্কে একটি বিচ্ছিন্ন সংলাপ,
বাদ দিলে বিশেষ কিছু ক্ষতি হত না। বেশ হাততালি পেল বটে সংলাপটি, তবে কেন পেল, আমার
গোদা মাথায় পরিষ্কার হল না। আর স্লাইডে সিনেমার ক্লিপিং দিয়ে যে metaphor এর আবহ তৈরী
করার কথা ছিল, তার বদলে DELL-এর নোটবুকের হোমস্ক্রিন, বারংবার বেশ অসহ্য। কলকাতার বুকে
দেড়শ’- দু’শ টাকার টিকিটের নাটকে এরকম ত্রুটি কোনো যান্ত্রিক গোলোযোগের দোহাই দিয়ে
ঢাকা যায় না বোধহয়। হয়ত অল্প বয়স বলেই উদ্ধত নায়কের শ্লীলতাহানীর দৃশ্যে অসহায় মেয়েটি
বাড়ির বাইরে যাওয়ার উন্মুক্ত দরজার সামনে দাঁড়িয়েও পালিয়ে না গিয়ে অনেক দূরে স্টেজের শেষ প্রান্তে bedroom-এ আশ্রয় নিলেন;
দৃশ্য অনুযায়ী তাঁকে raped হতেই হত, তাই।
গল্পটা শুরু থেকেই বেশ নাটক নাটক ছিল। ধরা যাচ্ছিল, সময়ে
সংলাপ বলার তাগিদ, চোখে পড়ছিল সংলাপের সঙ্গে নিজেদের ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে অতি-অভিনয়ের
অঞ্চলে প্রবেশ। তবে বেশ দেরিতে ট্র্যাজিক নায়কের আগমন আর তাঁর সাবলীল অভিনয়, বাকি সবাই-কে
আরও সহজ করে তোলে। যত সময় পেরিয়েছে, নাটক আর নাটক থাকেনি। সিনেমার মতই স্বপ্নালু হয়ে
উঠেছে নায়কের শানিত প্রতিভাবান অভিনয়শৈলীর ছটায়।
বাকিটা যাঁরা লিখে খান, তাঁদের জন্য ছেড়ে রাখলাম।
No comments:
Post a Comment