"শিক্ষকরাই হল গিয়ে যত নষ্টের গোড়া...সব বাড়িতে বসে বসে মাইনে পায়..."
অশিক্ষিত পথ-চলতি মানুষের মুখে তা ও মানায় এ কথা। কিন্তু সমাজের উচ্চ শিক্ষিত মানুষ, প্রতিষ্ঠিত লেখক, যখন
রিসার্চের সঙ্গে নিজের কল্পিত ধারণাকে মিশিয়ে দিয়ে সেই সাঙ্ঘাতিক ভ্রান্ত ধারণাকে
চরম সত্য বলে উপলব্ধ করাতে চান, তখন সমাজ ক্রমে তমশাবৃত হতে
থাকে ৷
শিক্ষকদের প্রতি সমাজ কোডিড পরিস্থিতি থেকে খুব হিংসা-প্রবণ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের চাকরির নিরাপত্তার জন্য। কোডিডের
আগেই এই শিক্ষকরা বড়ই করুনার পাত্র ছিলেন - আহা গো! ক' টাকাই
বা মাইনে পায়! জল ও বাতাসের মত ডি- এ সরকারী কর্মচারীদের সাথে সাথে শিক্ষকদেরও
ফান্ডামেন্টাল রাইট ৷ কিন্তু তা থেকে অন্যায় ভাবে বঞ্চিত হলে তা নিয়ে বলতে গেলে
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যখন বলে বসেন " ঘেউ ঘেউ করবেন না" তখন সবাই তাঁর
মতই এই শ্রেণিকে একই রকম চোখে দেখবে সেটাই স্বাভাবিক ৷ ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট
আত্মীয় বন্ধুদের কাছেও প্রোফাইল খুব একটা হাই ছিল না। কিন্তু কোভিড শুরু হতেই
চিত্র গেল পালটে। একেবারে উলট পুরাণ - সব ব্যাটাকে ছেড়ে ল্যাজকাটাকে ধর।
প্রেস মিডিয়া যে ব্যবসা করে - এ আজ অতি সাধারণ মানুষের কাছেও অজানা নয়। কিন্তু সমাজে শিক্ষকদের দায়িত্ব কর্তব্য
নিয়ে বার বার ভুল কিছু ধারণাকে ইনজেক্ট করতে থাকলে তার ফল কিন্তু খুব ভাল হয় না।
একটি প্রবন্ধ আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল গত ২৪ শে আগস্ট ২০২২ তারিখের সম্পাদকের পাতায়। তার
কিছু অংশ বেশ ভুল ধারণায় সম্পৃক্ত৷ আমি প্রতিবাদে চিঠি লিখি ৷ আনন্দবাজার পত্রিকা চিরকালই ভুল
সংশোধনের ব্যাপারে অতি উন্নাসিক ৷ তাঁরা বাংলা ভাষার এত বড় তালেবর যে বানান বিকৃত করে প্যারালাল ভাষা -অভিধান চালান ৷তাই আর ছাপেন নি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দু'- এক জন হলেও জানার প্রয়োজন আছে বোধ করে আমার নিজের মাধ্যমে জানানোর এই ক্ষুদ্র
প্রচেষ্টা... সময় করে পড়ে দেখুন ৷ আর যখন তখন যেখানে
সেখানে শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করা বন্ধ করুন ও কেউ সেরকম করলে রুখে দাঁড়ান ৷
প্রকাশিত প্রবন্ধের কপির লিঙ্ক্: ভবিষ্যত অন্ধকার
আমার লেখা অপ্রকাশিত চিঠি :
মাননীয় সম্পাদক সমীপে –
আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় 24 শে অগাস্ট, 2022 তারিখে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা' শীর্ষক যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, তা নি:সন্দেহে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত স্তরে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে দুর্নিবার কর্মশীতলতা ও শিথিলতা তৈরী হয়েছে তা সত্যই ভয়াবহ৷ এই বিষয়টিকে যুক্তি সম্বলিত তথ্যের উপস্থাপনার মাধ্যমে লেখিকা তাঁর বক্তব্যকে যেভাবে পরিস্ফুট করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন, তা কৃতিত্বের দাবী রাখে এবং এটি তাঁর পাঠকদের মধ্যে এক অবশ্যম্ভাবী সচেতনতার নিশ্চিত দাগ ফেলে যেতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস ৷ আর সেখানেই আশঙ্কা৷
এমন সুন্দর তথ্য সম্বলিত সমাজ-সচেতন লেখার মধ্যে শিক্ষকদের সম্পর্কে অংশটুকুর কোনো সাযুজ্য নেই ৷ এগুলি শিক্ষকদের সম্পর্কে লেখিকার মনগড়া কথা যা সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য বা যুক্তির ধার ধারেন নি। শুধুমাত্র নিজের একটি ধারণার কথা চাপিয়ে দিয়েছেন ৷ ফলে বাকি বৃহত্তর অংশের যুক্তির প্রভাবে এই অংশটুকুও পাঠকের কাছে তথ্য ব্যাতিরেকেও সত্য হিসাবে প্রতিভাত হতে পারে - সেই আশঙ্কা থেকেই এই চিঠির উদ্রেক ৷
বাস্তবে প্রবল অতিমারীতে যখন কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট দূরের কথা, কোনো ভাড়ার গাড়িও যে কোনো মূল্যে রাস্তায় নামতে নারাজ, সেই সময়ে বিদ্যালয় শিক্ষার স্বার্থে, শিশুদের স্বার্থে, সরকারী নির্দেশ অনুসারে সমস্ত শিক্ষক পালা করে, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে, জীবন হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জরুরী কাজে নিয়মিত উপস্থিত থেকেছেন ৷ আমি একজন শিক্ষককে চিনি যিনি একদিনে দশহাজার টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে একশো কিলোমিটার দূরের বিদ্যালয়ে নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে নিজের কর্মনিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন ৷ আমার স্থির বিশ্বাস এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে যা আমরা জানিনা এবং সেই সমস্ত শিক্ষকরা প্রচারের আলোয় তাঁদের এই প্রাথমিক কর্তব্য কে আলাদা করে কৃতিত্ব হিসেবে উপস্থাপিত করতে চাননি। লেখিকা চাইলে এই গূঢ় তথ্য অনায়াসে নিজেদের এলাকার সরকারী স্কুল থেকে পেতে পারতেন ৷ সাথে শিক্ষকদের উপস্থিতির দৈনিক রিপোর্ট বিদ্যালয় জেলা পরিদর্শকদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। রোজকার পাঠানো তথ্যের সত্যতা যাচাই এর জন্য আচমকা নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর থেকে এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তর থেকে পৃথকভাবে। লেখিকা বা যে কোনো মানুষ অনায়াসে এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
সুতরাং অতিমারীর সময়ে টানা দু' বছর ধরে কোনো শিক্ষক বাড়িতে বসে বসে বেতন গ্রহণ করেছেন এ কথা সর্বৈব মিথ্যা, অকারণ অপপ্রচার ও অনভিপ্রেত কুৎসা৷ বরং যখন খোদ অডিও ভিস্যুয়াল মিডিয়ার তারকারাও বাড়িতে বসে কাজ করেছেন, শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়েছে, নিয়মিত, সরকারী নির্দেশ মেনে৷
মিডিয়া প্রচার করেছে দু বছর ধরে শিক্ষায়তনগুলি বন্ধ ছিল। অবশ্যই বন্ধ ছিল ৷ বন্ধ ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষকদের জন্য নয়। ওই সময়ে বিদ্যালযে আসার জন্য অগুন্তি শিক্ষক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন ৷ "বিদ্যালয় বন্ধ " আর "বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন বন্ধ " দুই বাক্যাংশের প্রয়োগমূলক অর্থ নিরূপণ করলে আকাশ পাতাল তফাৎ পাওয়া যাবে। সমস্ত অতিমারী - আক্রান্ত সময় জুড়ে "বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন বন্ধ " ছিল; "বিদ্যালয় বন্ধ " ছিল না কখনও - ই |
এই সময়ে আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স- স্বাস্থ্য কর্মীদের দৈনিক তথ্য মিডিয়া প্রচার করে গিয়েছে ৷ কিন্তু শিক্ষকদের সম্পর্কে কোনো প্রচার ছিল না I মিডিয়া ব্যস্ত ছিল অপপ্রচারে যে, স্কুল বন্ধ ৷ স্কুলে সরাসরি ক্লাস রুম ভিত্তিক পঠন-পাঠন বন্ধ ছিল ঠিকই ৷ কিন্তু স্কুলের অফিস? তার পরিচালনা ? স্কুলে ভর্তি ? মিড ডে মিল দেওয়ার সময় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাড়িতে পাঠিয়ে, তার উত্তরপত্র সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করা? সেই সমস্ত পাঠ ও পরীক্ষার হার্ডকপিতে নথিভুক্তি ? এ সব ভূতে এসে করে দিয়ে গেল? গিনেস বুক অফ ওয়র্ল্ড রেকর্ডস এ পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নাম আছে। কারণ, সারা পৃথিবীতে কোনো রাজ্য অধিকৃত একটি বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে না। ২০২০ ও ২০২১ -- পর পর দুই বার মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা যে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হল, সেই সব নম্বর তারা আকাশ থেকে পড়ে পায় নি। তারা নিয়মিত পড়েছে, পরীক্ষা দিয়েছে। সেই পরীক্ষার নিয়মিত ও যথাযথ মূল্যায়ণ হয়েছে ৷ সেই পাওয়া নম্বর বোর্ডে পাঠানো হয়েছে ৷ তার ভিত্তিতে মাধ্যমিক পাশ করেছে ছাত্রছাত্রীরা৷ অন্য সকলের সঙ্গে, ওই প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ারাও যাদের মধ্যে অনেকেই নিম্নবর্ণের, যাদের কথা লেখিকা উল্লেখ করেছেন এই বলে যে তারা শিক্ষকদের সঠিক যত্ন থেকে বঞ্চিত৷
উল্টে এই শিক্ষাক্ষেত্র যেন কখনো থমকে না যায়, সে জন্য সদা জাগ্রত ছিলেন শিক্ষকরা৷ আর এই বিশাল কর্মকাণ্ড নিউ নর্মালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে হয় না ৷ শিক্ষকদের সম্পর্কে জনমানসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে স্কুল বন্ধ মানে শিক্ষকরা বাড়িতে বসে আছেন, কাজকর্ম কিছুই করতে হচ্ছেনা - এই ভ্রম সৃষ্টি করা হয়েছে মাত্র ৷
কেউ সে সব কথা সেদিনও বলেননি, আজও বলেন না৷ বাজারের দোকানীরা যেমনটি জানতেন, মাননীয়া লেখিকাও সে কারণেই তেমনটিই জেনেছেন ৷ শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে লিখতে বসে বেরিয়ে পড়েছে শিক্ষককুলের প্রতি অকারণ ক্ষোভ -- যে, বসে বসে মাইনে পাওয়া কে শিক্ষকরা অভ্যাসে পরিণত করেছেন ৷
তিনি লিখছেন, "শিক্ষকরাও বাড়ি বসে মাইনে পাওয়ার ব্যবস্থায় এতই আহ্লাদিত হলেন যে, মল রেস্তরাঁ পুজো মেলা খুলে গেলেও স্কুল খোলার চেষ্টাই করলেন না।"
ভেবে দেখুন তো, মল রেস্তোরাঁ পুজো মেলা, এমনকি মদের দোকান - এগুলিকে খোলা কার হাতে ছিল? সরকারের হাতে ৷ ঠিক সেরকম ভাবেই স্কুল খোলার দায়িত্বও সরকারের হাতেই ছিল। 'স্কুল খোলা' কথাটির অর্থ যদি শিক্ষার্থীদের ধরে বলা হয়, সে ক্ষেত্রেও লেখিকা এড়িয়ে গিয়েছেন শিক্ষকদের তীব্র প্রতিবাদকে যেখানে মল রেস্তোরাঁ পুজো মেলা মদের দোকান -এগুলিকে খোলার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় খোলার দাবী শিক্ষকমহলের সর্বস্তর থেকে তোলা হয় ৷ বিভিন্ন শিক্ষক মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক রং ছাড়া ডেপুটেশন দেওয়া হয় শিক্ষাদপ্তরগুলিতে যে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাঙ্গন উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক ৷
প্রসঙ্গত: লেখিকা ও পাঠকদের হয়ত মনে আছে যে সেই কঠিন সময়ে একটি বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের মাসিক খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী স্কুল থেকে দেওয়ার সময়ে কিছু অভিভাবক ভুল করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেই সব সামগ্রী নিতে উপস্থিত হন, যা সরকারী বিজ্ঞপ্তির বিরোধী৷ অত্যধিক দাবদাহে সেই ভুল করে চলে আসা শিক্ষার্থীরা যাতে না অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই বিদ্যালয় প্রধান অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সব শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের মধ্যে বসতে অনুমতি দেন ৷ ফলস্বরূপ সেই বিদ্যালয় প্রধানের শাস্তিমূলক ট্রান্সফার হয় ৷ কেউ ভেবে দেখল না যে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা বিদ্যালয় প্রধান বা অন্য কোনো শিক্ষকের হাতে ছিল না। ফলতঃ তারা যখন অনেক দূর থেকে চলেই এসেছে, সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেটা নিশ্চিত করাই ওই বিদ্যালয় প্রধানের ও সহশিক্ষকদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল৷
এই ঘটনাই যথেষ্ট সাক্ষ্ বহন করে যা সেই অভিশপ্ত দুই বছরে কিভাবে শিক্ষকরা নিজেদের প্রাণ ও জীবিকা পণ করে ছাত্রস্বার্থে নিরন্তর নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন ৷ যে গুরুতর অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখানে আনা হয়েছে সেখানে সরকারী শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশগুলিই যথেষ্ট রেফারেন্স হতে পারত এভাবে শিক্ষকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে৷
লেখিকা আরো লিখেছেন যে:
"কিছু
শিক্ষক আজও বিশ্বাস করেন, নিম্নবর্ণের প্রথম প্রজন্মের
পড়ুয়াদের শিক্ষা গ্রহণ করার মানসিক ক্ষমতা নেই। তাদের কাছে অনলাইন শিক্ষা
পৌঁছল কি না, তা নিয়ে কে মাথা ঘামায়?"
উত্তরে জানাই, এ সব মাননীয়া লেখিকার কল্পনাপ্রসূত ৷ প্রত্যেকটি শিক্ষক আজ চিন্তিত যে, যে দেশে পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়ার আশায় অভিভাবকরা বিদ্যালয় প্রধানের কাছে দরবার করে অনুরোধ রাখেন, যে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে তাঁদের সন্তানরা খেতে পাবে না। তাই বিদ্যালয় যেন ছাত্রছাত্রীদের জন্য বন্ধ না হয়, সে দেশে অনলাইন শিক্ষার খরচ কিভাবে কে বহন করবে ? যে দেশে মিড ডে মিলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাথাপিছু সাত টাকা পঁয়তাল্লিশ পয়সার খাবার প্রতিদিন বরাদ্দ হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর বর্ণ বা মানসিক ক্ষমতা নয়, আর্থিক ক্ষমতাই প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি।সেক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষা সত্যিই বাস্তবে এক অবাস্তব সমাধান ৷
যে সমস্ত শিক্ষকরা নিরন্তর বিশাল সংখ্যক পিছিয়ে পড়া প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের জানাই স্যালুট ৷ আর মাননীয় লেখিকাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, কারণ ওনার লেখায় ওইটুকু ত্রুটি না থাকলে, আমি এতটা লেখার সুযোগ পেতাম না ৷ সমাজে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করলে ভবিষ্যৎ কিন্তু সত্যিই অন্ধকার৷ একদিন কিন্তু সমাজের মেরুদণ্ড সোজা রাখাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে, শিক্ষককুলকে এভাবে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করলে ৷ এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই ৷ সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভিতে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য তাই এমন ব্রেকিং নিউজ বানাবেন না যাতে আপনার নিজের বাড়ির শিক্ষাভিজাত পঞ্চমজনু শিক্ষকহীন প্রজন্মের একজন ভাঙাচোরা মানুষ হয়।
ধন্যবাদান্তে,
আর্য চ্যাটাজী
হাওড়া

No comments:
Post a Comment