আমাদের বাড়িতে বেশ কিছু পুরোনো বাংলা পুঁথি ছিল ৷ বাবা সাধারণ সালকের ইস্কুলের মাস্টার মশাই হলেও তাঁর জ্ঞানের পরিধি উপলব্ধি করতে হলে সেই পুঁথিগুলো নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে তা উদ্ধার করে একটি বই ছাপতে উদ্যোগী হয়েছেন ৷ " এবং মুশায়েরা" এই বই টি প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। দ্বিতীয় প্রুফ রিডিং চলছে ৷ প্রকাশক একান্ত অনুরোধ করেছেন আর কিছু যোগ না করতে, কারণ বিষয় এমন জটিল , আর তার content ও যে কম্পোজার এডিট করতে চান না।বাবার বর্তমান বয়স ৮৮ | বয়সের ভারে ন্যুব্জ... একমাত্র আশা জীবিত অবস্থায় ওনার লেখা বইটির প্রকাশটুকু দেখে যাওয়া...
বাবার পক্ষ থেকে আলাদা করে ধন্যবাদ শ্রী কমল ঘোষ মণ্ডল মহাশয়-কে যাঁর সাহায্য ছাড়া এই কাজ হয়ে ওঠা অসম্ভব ছিল।
আর বাকি থাকে আশীষ কাকুর কথা (বাবার ছাত্র ও লেখক শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়) যিনি প্রথম বুঝ্তে পারেন যে বাবা-কে দিয়ে কাজটা না করিয়ে নিলে, এটা চিরতরে অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
শেষকথা
বাক্যের পরিশেষে নিবেদনঃ
অনুমান করি যে বাংলা বাক্যের বিচিত্র ব্যবহারে মূল সংস্কৃত গ্রন্থের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা আছে স্মৃতি নিবন্ধের এই অনুবাদ, ভাবানুবাদ, কোথাও বা আক্ষরিক অনুবাদের। অনুবাদ প্রায়শই মূলের সংস্কৃতের অনুরণন৷ ভাষান্তর বা অনুবাদে তা হওয়াই স্বাভাবিক যেহেতু সংস্কৃত ও বাংলার বংশ কুলজি এক, যদিও সংস্কৃতে পদ বসাবার রীতি সুনির্দ্দিষ্ট নয়, তুলনায় বাংলায় তা নির্দ্দিষ্ট অনেকখানি। 'স্মৃতিকল্পদ্রুম -এর মূল সংস্কৃত পুঁথি থাকলে তা আমাদের অজানা। এই স্মৃতি নিবন্ধ প্রায়শ্চিত্ত ইত্যাদি বিষয়ে নানা প্রাচীন স্মৃতিগ্রন্থের বক্তব্য বা মতের একটি সংকলনও হতে পারে (নানা স্মৃতিকারের মতের উল্লেখ, 'পূর্বপক্ষ ' 'উত্তরপক্ষ ' রীতিতে তাদের স্থাপন আমরা লক্ষ করেছি আগেই)। আমরা রঘুনন্দনের 'মলিম্লুচতত্ত্ব'-এর পুঁথি এবং প্রায়শ্চিত, অশৌচ, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে দু'তিনটি অন্য পুঁথির কিছু কিছু অংশ পাঠ করতে গিয়ে দেখি যে বক্তব্যে মিল থাকায় সেখানেও সংস্কৃত নানা বাক্যের গঠন, বড়ো বা ছোট বা ভাঙ্গা ক্ষুদ্র বাক্যের ব্যবহার আমাদের আলোচ্য 'স্মৃতিকল্পদ্রুম'-এর বাংলা বাক্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, বক্তব্যের উপস্থাপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া। কিন্তু আমাদের আলোচ্য রাধাবল্লভের 'স্মৃতিকল্পদ্রুম" নিবন্ধের বাংলা ভাষার প্রকৃতিকে আড়ষ্ট বা ছায়াবৃত করতে পারেনি। বরং ভাষান্তর পেয়ে বাংলা গদ্যে তা সমৃদ্ধি, বৈচিত্র্য ও স্ফুর্তি এনেছে।



No comments:
Post a Comment