মহাকাব্য

কত শত নিরাকার থেকে আকার গড়া হয়,

আকার শেষে মেশে নিরাকারে।
আমার অন্তরের ক্ষতের মোহে উড়ে আসা কীট
জমাট রক্তকে গলিয়ে সৃষ্টি করে অশ্রু –
বর্ণহীন, গন্ধহীন লবণাক্ত শত-হাজার-কোটি অশ্রুবিন্দু।
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ঝরে পড়ে কখন উদ্বায়ী হয়ে যায়!
আকার বিলীন হয় নিরাকারে।

 তোমার চোখের আকাশে আমি এক দৃশ্য মাত্র,

আমি জানি।
আঁখিপল্লবের ওঠানামায় সেই মায়া অব্যয় হয়ে রয়ে যায়,
এক মহাকাব্যের মত।

Silence

Silence.
A vintage wine.
Silence.
The past left behind.
Silence.
A pause between cries.
Silence.
The love that never dies.

Silence.
The desert sand.
Silence.
Ape to man.
Silence.
Rebel scores.
Silence.
Stranger to sea shore.

Silence.
The light speed.
Silence.
The stars  indeed.
Silence.
Between inhale exhale.
Silence.
In a warm sea shell.

Silence.
The night’s sleep.
Silence.
Your mark is deep.
Silence.
The mind it woos.
Silence
Is that is you.

শব্দকল্পদ্রুম

শব্দকল্প ভিড় করে আসে,

অনায়াসে --
লেলিহান বাস্তব বিকৃত উল্লাসে।

 

জান্তব যান্ত্রিকতায় মস্তিস্ক প্রক্ষালন,
অকারন --
স্নায়ুসূত্রে উত্তেজনার দূরস্ত নিয়ন্ত্রন।

 

নিরন্তর সংবেদন নেই কোনও অবকাশ,
প্রকাশ --
সিগারেটের ধোঁয়ায় জমে থাকে দীর্ঘশ্বাস।

 

সকালের দূষণ মেখে রোদ্দুর ওঠে যদি,
নিরবধি --
গঙ্গাজলস্পর্শে মন্ত্র আসনশুদ্ধি।

 

স্বপ্নকল্প আসে ভিড় করে,
করজোড়ে --
আত্মসত্ত্বা বিক্রিত হয় চৌরাস্তার মোড়ে।

The Fireflies...

Quite a bit of time was lost

In the coldness, along the frost.
Trickling water dripped to freeze
Lost are the flowers in the breeze.

Quite a bit of me is lost,

In the maze of life I crost.
Bleeding heart pounds too slow
Waiting for the gush ‘n blow.

Quite a bit of time shall be
Lost in the dreams of you and me.
Fireflies will fly and lit,
The sun it dreams to outwit.

কালপেঁচা

কালপেঁচা নাকি দুর্ভাগ্য বয়ে আনে!

আমার সত্ত্বার সংকটে সে-ই কিন্তু

রোজ একটা একটা করে খড়কুটো দিয়ে

আমার নিশ্চিন্ত পরম আশ্রয় দিয়েছে গড়ে।

খোঁজও নিইনি কোনোদিন,

তার গা থেকে ক’টা পালক খসল,

বা রাতজাগা চোখে নিজের একাকীত্ব

তাকেই শিকার করল কিনা।

তবু আমি নাকি ‘নিরাশাবাদী’।

এই তো কেমন ভেঙ্গে দিই সব নতুন ক’রে গড়ার আশায়-

তার পালকের নরম ওমে আমার বুভুক্ষার নিবৃত্তি হয়।

আবার আমি সমাহিত হই সাদা লক্ষীপেঁচা হয়ে।

তবু কেন বলে?

শেষকৃত্য

সন্ধ্যাবেলায় জানালায় বসে দিগন্তরেখার ভ্রম।

মন-কে বললাম, তোর প্রিয় তিনটে শব্দ খোঁজ –

বিষ

সাপ

ছোবল।

শরদিন্দুর রহস্য গল্প

না কি জেমস জয়েসের ‘ইউলিসেস’;

আবার ফ্রয়েডীয় স্বপ্নও হতে পারে।

স্মার্ট ফোনে যখন আঙ্গুলের ডগায় সৃষ্টির ধ্বংসলীলা নিয়ে

খেলাঘর গড়ি, আমার নিশ্চিন্ত অবকাশে,

তখন নিজেকে মনে হয় পাড়ার জিমখানায় হারকিউলেস।

সর্বনাশ পদ্মনাভ হয়ে অনন্ত শয্যায়।

আমি নাকি নাস্তিক!

নিজের বিশ্বাসকে ঈশ্বর মেনে চলা

ধর্মভীরূ কীট।

আমার ধর্ম এখনো জানি না।

শুধু জানি, অন্যেরা জানে –

আমার অকালমৃত্যুতে চিতায় জ্বালাবে আমাকে।

আবরণ

নিরন্তর শূন্যতায় শুধু তাকিয়ে বসে থাকা।

শুঁয়োপোকা দর্পে হেঁটে যায় পাঁজরের ওপর দিয়ে,

খুঁজে নেয় পচা-গলা শরীরে প্রবেশের পথ –

প্রজাপতি হবে কবে রঙ্গীন ডানা মেলে –

কত্ত দিনের স্বপ্ন।

চারিদিক নিমোক ঢেকে যায়।

The Warrior Prince Loses Shows



The Poster

 Who Framed Roger Rabbit, The Lion King, Aladdin, Finding Nemo and now Arnab Chaudhuri's Arjun: The Warrior Prince in Hindi....have nothing to regret as the realm of animation is proceeding towards an unprecedented perfection.


As I had been waiting for this animation to get released, it would be worth saying that my imagination has been justly fed to the brim, comapred to my last week's experience when I had accompanied  my son to another animation, Chhota Bheem and the Curse of Damyaan. The latter was only a good quality time-spend with my family and the story ends there without registering anything in my mind. I never sat cross fingered awaiting the next move in the storyline while as I watched Arjun, despite knowing the story in detail, every single moment was larger than life and kept me eagerly waiting for the next moment.

I knew that Arjun is going to be something special as the poster of the movie itself speaks of the heightend imgination that is capable of creating a visual trance that befits the epic in our minds.

All the halls in the city have withdrawn the shows of Arjun the second week onwards while Chhota Bheem runs almost a parallel show compared the freshly released Rowdy Rathode, from the perspective of the number of  shows. Thanks to the dawn of value education of merchedised blanket promotion in the minds of the children and their parents giving into that!!!!

Lets not blame the superficial parts of Arjun, that it did not have accessories to be sold for the children; instead, I prefer to call it the 'reality bites', for not doing enough business. Even better if I only see the brighter side of it, that it desrves as an art-work. Someday, if not the audience, the history of Indian Animation would remember this movie as a landmark with perfection the characters and the sets are fashioned and implemented, the way the dialogues are woven, the way the characters surpass and change the graphical figures and faces as imagined by us after reading the epic. And not to say the way the story has been told.....

As my intense interest in the movie drove me to read the reviews on it, and the points given by the various critics which never flowed beyond 3.5/05, I wonder that either the class of the critics is to underrate a perfect animation like this, or they are growing utopian. On the contrary when some drab hindi/english/bengali movies fetch the same rankings in their minds, the question really comes, as I hear, does, above art, the way you market the art matter? And apart from some TV promos, I agree if anything the movie lacks is its marketing.

Go and watch it, if you are lucky enough to get a chance in the midst of the 'rowdiness' of the upcoming movies. Even if you don't like a movie, try once and find out that what you see are more than you could have imagined. I think when its ends at the right time, quite abruptly, you shall wish for more.

শুরু আর শেষ

চুপকথা টেলিফোন


দীর্ঘশ্বাসে মিশে গেল বাস্তবের কত না চাওয়া শব্দ!!!

যতটুকু কথা ছিল শোনার পর

গ্রীষ্মের দুপুরে শিরদাঁড়ায় বরফ স্রোত-

আমার অস্তিত্ব-সংকট।

হৃদয়-নিংড়ানো সব মিথ্যের নির্যাসে

পিচ্ছিল হয়ে গলার কাছে হৎপিন্ড।

ঊর্ধশ্বাসে শ্বাসরূদ্ধ।



আমি আবার এক অদ্ভুত জীব-

না পারি কাঁদতে, না কথার কাটাকুটি,

চুপ করে শুধু শুনি-

সময় সবটুকু জানে।



সারাদুপুরের সবটুকু স্বপ্ন শুধু শ্মশানের-

চুল্লিতে নিজের জ্বলে শেষ হওয়ার অপেক্ষা।

না পোড়া নাভিটুকু ছাই আর হাড় থেকে খুঁজে

পরম যত্নে ভাসাব গঙ্গায়ঃ

আমার অস্তিত্বের শেষ চিহ্ন,

তোমাকে ভালোবাসা।



শেষ শুরুর মত একবারই হয়।

এ পথ গেছে বেঁকে...

বেশ কিছু ভাল বাংলা ছবি দেখে উঠতেই পারলাম না গত দুই মাসে। আমার একসময়ের অত্যন্ত পরিচিতজন অনিন্দ্য-দা (অনিন্দ্য ব্যানার্জী) 'চ্যাপলিন' তুলেছে অনেকদিন হয়ে গেল, তাই দেখা হয়ে ওঠে নি। শেষে মিউজ়িক ওয়ার্ল্ড থেকে ভিসিডি কিনে এনে দেখতে হোল। মাল্টিপ্লেক্সের জমানায় নাকি বাংলা সিনেমা করে খাচ্ছে, কই 'ল্যাপটপ' তো কত মাল্টিপ্লেক্সে ঠিকঠাক করে  শো-ই পেল না! তবু কপাল ভাল বলতে হবে 'তিন ইয়ারি কথা'-র যে একযুগ সেন্সর বোর্ড-এ আটকে থাকার পর যখন মুক্তি পেল, পুরো ছপ্পড় ফাড় কে।

বেশ লাগল ছবিটা! এই রকম গরমে আইনক্স-এ সপ্তাহের মাঝখানে জনা তিরিশ দর্শক মানে তো বেশ ভালই কাটছে বলতে হয়, তা ও আবার রিলিজ় হওয়ার দুই সপ্তাহ পরে।

নীল, মানে সুজন মুখার্জী অসাধারণ অভিনয় করেছেন, শুরু থেকে শেষ।বাকিরা স্বমহিমায় প্রতিভাত।

তবে কোথায় যেন আমরা, যারা নেহাতই মুখে বড় জোর লোহার চামচ নিয়ে বড় হয়েছি, তাদের বড়ো হওয়ার সঙ্গে মিলে মিশে যায় গল্পের ধারা। তাদের ব্যর্থ প্রেমের স্বপ্ন, তাদের পার্থিব চাহিদা, আর সব কিছু ছাপিয়ে এক আশ্চর্য অতুলনীয় মানবিক মূল্যবোধ, যার কোনো বিকল্প হয় না।

যাঁরা বয়স্ক, কানে গঙ্গাজল দিয়ে যাবেন, বা ফিরে এসে দিয়ে নেবেন, কারন বড়দের বাংলা ছবি কিন্তু সেই শরৎচন্দ্রীয় 'হারামজাদা' ছেড়ে আরও জীবনমুখি হয়ে উঠেছে...!

 

একটা কথা না লিখে পারছি না, কোথায় যেন 'দিল চাহতা হ্যায়'-এর সঙ্গে একই সুতোতে গাঁথা।



Kaleidoscope

Kaleidoscope:
The innuendoes of colours and designs.
I wonder how
The broken pieces arrange themselves
In strange varied symmetry
With perfection.

Science calls it the trick of 'reflection'.

An inward journey I took Into the arch-mirror of myself.
Reflected.
Found the scatterred pieces
Disarrayed into a chaotic perpetual resonance.
In the debries of me
The only part I found shining intact was
Loneliness.

মাঝের ঘরের কোণ

বেশ মনে পড়ে এখনও


মাঝের ঘরের কোনটা-

পাশেই ছিল জানালা, পশ্চিম খোলা।

ইস্কুল থেকে ফিরে সবাই তখন ঘুমোতো।

খুলত আমার প্যান্ডোরার বাক্স;

অপুও এরকমই ছিল।



বিকেল পাঁচটার আগে বেরোনো বারণ।

মনে হয় সূর্যটাকে ঠেলে নামিয়ে দিই

পশ্চিম দিগন্তের আরো কাছে।

জানো, তখন দেখতে পেতাম

খেলার মাঠটার ঠিক আমাদের মত হাত, পা, মুখ, চোখ

স--ব আছে;

ডাকত যে আমাকে হাতছানি দিয়ে,

চোখে লেগে থাকত আকুল মিনতি!



এখন আর পাই না দেখতে সে সব।

চোখ সরগরম বাজার আর রাজনীতির শেয়ারে।

না হলে ফেসবুকে।

মন মাপে, কত কিছু মাপে, লাভ-ক্ষতি।

সিগা্রেটের ধোঁয়ায় সংক্ষিপ্ত হয় আয়ুরেখা,

ঠিক যেমন করে ধীরে ধীরে ফ্ল্যাটবাড়িগুলো গ্রাস করেছে

মাঠের সীমানাটাকে।



প্রজন্ম নিয়মে জৈবিক হয়।

হ্যারি পটারের যাদুদণ্ড গ্রাস করে অপুকেও।

মাঝের ঘরের কোনের কি যায়-আসে, তাতে?

কখনও

‘তুরুপ’ – কে দিলাম...




কখনও কখনও একটা মেঘ

আমার ছাদের ওপর এসে দাঁড়ায়

আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে



কখনও কখনও উড়ো পাখি

আমার কার্নিশে এসে বসে

আর পালক হাওয়ায় ওড়ে



কখনও কখনও একটা ঢেউ

আমার বালুকাবেলায় ধেয়ে আসে,

নৈঃশব্দ ভেঙ্গে পড়ে



আমি

আমার ছবি আঁকি, আঁকিবুকি, বালুচরে

এঁকে চলি, অলিগলি, মনের ভরদুপুরে।



কখনও কখনও শুকতারা

স্খলিত অবাঞ্ছিত ছায়াপথ ধরে

দিগন্ত উদিত উত্তরে



কখনও কখনও একটা ভ্রূণ

কৃষ্ণসার মৃগনাভী সুবাসিত

আর শিকার ধূসর প্রান্তরে



কখনও কখনও দৃষ্টিকোণ

চেয়ে থাকে অপলক আমার ছায়ায়

আর হাসিতে ফেটে পড়ে



আমি

লিখি আর কাটি, কাটাকুটি, ছু-মন্তরে

কেটে চলি, লাশ খালি, মহল অন্তরে…

সুপ্রভাত

সেদিন ও রোদ্দুর উঠেছিল,

আকাশ ভর্তি আবীরঃ

কি যেন বলে ইংরেজী-তে?...

হ্যাঁ, স্কাই-রাইটিং…

লিখল “সুপ্রভাত”।

ঠিক যেমন করে বিজ্ঞান যোগাযোগ আজ এসএমএস-এ,

রোদ্দুর এসে আবীর মাখালো আমাকে।

জান! তার আগেরদিন আমি সারারাত জেগে,

তোমার প্রজাপতি-প্রাণ তখন আমার ফুলেতে বসে।

তোমাকে বলব কি না ভাবতে ভাবতে ভোর।

তোমার মাখানো আবীরে পেলাম উত্তর।

ক্লোরোফিল কণা তুমি, শিকড়ে তোমার টান।

তোমার শ্বাসবায়ুর সুবাস, ধূপকাঠি মোর প্রাণ।