বেশ কিছু ভাল বাংলা ছবি দেখে উঠতেই পারলাম না গত দুই মাসে। আমার একসময়ের অত্যন্ত পরিচিতজন অনিন্দ্য-দা (অনিন্দ্য ব্যানার্জী) 'চ্যাপলিন' তুলেছে অনেকদিন হয়ে গেল, তাই দেখা হয়ে ওঠে নি। শেষে মিউজ়িক ওয়ার্ল্ড থেকে ভিসিডি কিনে এনে দেখতে হোল। মাল্টিপ্লেক্সের জমানায় নাকি বাংলা সিনেমা করে খাচ্ছে, কই 'ল্যাপটপ' তো কত মাল্টিপ্লেক্সে ঠিকঠাক করে শো-ই পেল না! তবু কপাল ভাল বলতে হবে 'তিন ইয়ারি কথা'-র যে একযুগ সেন্সর বোর্ড-এ আটকে থাকার পর যখন মুক্তি পেল, পুরো ছপ্পড় ফাড় কে।
বেশ লাগল ছবিটা! এই রকম গরমে আইনক্স-এ সপ্তাহের মাঝখানে জনা তিরিশ দর্শক মানে তো বেশ ভালই কাটছে বলতে হয়, তা ও আবার রিলিজ় হওয়ার দুই সপ্তাহ পরে।
নীল, মানে সুজন মুখার্জী অসাধারণ অভিনয় করেছেন, শুরু থেকে শেষ।বাকিরা স্বমহিমায় প্রতিভাত।
তবে কোথায় যেন আমরা, যারা নেহাতই মুখে বড় জোর লোহার চামচ নিয়ে বড় হয়েছি, তাদের বড়ো হওয়ার সঙ্গে মিলে মিশে যায় গল্পের ধারা। তাদের ব্যর্থ প্রেমের স্বপ্ন, তাদের পার্থিব চাহিদা, আর সব কিছু ছাপিয়ে এক আশ্চর্য অতুলনীয় মানবিক মূল্যবোধ, যার কোনো বিকল্প হয় না।
যাঁরা বয়স্ক, কানে গঙ্গাজল দিয়ে যাবেন, বা ফিরে এসে দিয়ে নেবেন, কারন বড়দের বাংলা ছবি কিন্তু সেই শরৎচন্দ্রীয় 'হারামজাদা' ছেড়ে আরও জীবনমুখি হয়ে উঠেছে...!
একটা কথা না লিখে পারছি না, কোথায় যেন 'দিল চাহতা হ্যায়'-এর সঙ্গে একই সুতোতে গাঁথা।
No comments:
Post a Comment