সকাল বেলা উঠে বাজার যাব, তা বেরিয়েই দেখি, একটা হৈ হৈ কাণ্ড, রৈ রৈ ব্যপার! আমরা যে ফ্ল্যাটে থাকি তার নিচে একটা পায়রার গলা ব্লেড দিয়ে কেটে কে যেন ফেলে দিয়েছে। স্বাভাবিক যে, এরপরে একটা আতঙ্কের পরিবেশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সবাই ভয়ের চোটে গুম মেরে যে যার কাজে চলে গেল বটে কিন্তু মাথা থেকে কিছুতেই ব্যাপারটা গেল না। পায়রার গলা কেটে ফেলে দেওয়া যে সে ব্যাপার নয়। এরকম ঘটনা তো আর স্বাভাবিক নয়, বা মুখোরোচক-ও নয়, যে বেশ তারিয়ে তারিয়ে ঘোঁটবাজি করে উপভোগ করা যাবে। পায়রা তো আর মুরগি বা পাঁঠা নয় যে গলা কেটে তার মাংস ছাড়িয়ে খেয়ে নেবে! রীতিমতো নৃশংস ভাবে প্ল্যান করে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এখানে শুধুমাত্র একটা তুচ্ছ পায়রার প্রাণই গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এর পিছনে লুকিয়ে থাকা যে মনস্তাত্ত্বিক বিকৃতি কাজ করেছে , সেটা। কারণ এই কাজ কোনো সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয় এবং এই ধরনের বিকৃতির অভিঘাত যে কার উপর কখন এসে পড়বে তা দেবা না জানন্তি!
প্রাচীন গ্রীসে শুনেছি এরকম পায়রার গলা কেটে লোকে দেবতাকে উৎসর্গ করতেন এবং সেই স্যাক্রিফাইসে তুষ্ট হয়ে দেবতা সেই ব্যক্তির ইচ্ছা বাস্তবে রূপান্তরিত করতেন। সে সব ইচ্ছা-পূরণের বলিদান রাজা-রাজড়া ও সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। রাজপুরোহিতরা রাজাকে বা অন্য যে কোনো ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকে বলতেন, দেবতার কাছে বলি সমর্পণ করতে, নিজের ইচ্ছাপুরণের উদ্দেশ্যে। তার প্রমাণ হোমার রেখেছেন, ট্রয়ের যুদ্ধের গল্পে -- সেখানে দেখা যায় অ্যাগামেম্নন কিন্তু যুদ্ধ জয়ের উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র পায়রা বলি দিয়ে দেবতার মন পান নি। তিনি ট্রয়ের যুদ্ধ যাত্রাকালে দেব্তা আর্তেমিসের বাহন একটি মৃগকে নিহত করে তাঁর রোষানলে পড়েন। আর্তেমিসের অভিশাপে তিনি প্রায় হারতে বসেছিলেন এবং তাঁর সেনার বিরাট ক্ষয় ঘটে চলেছিল। তখন পুরোহিত এসে অ্যাগামেম্ননকে বলেন যে শুধু পায়রায় কাজ হবে না। কোন মানববলি দেওয়াই হচ্ছে এর একমাত্র সমাধান | দেবতা আর্তেমিস স্বয়ং নাকি দিব্যদৃষ্টিতে পুরোহিতের মাধ্যমে অ্যাগামেম্মনকে আদেশ দিয়েছেন যে যদি অ্যাগমেম্নন তাঁর নিজের কিশোরী কন্যা ঈফিজেনিয়া-কে দেবতার প্রতি বলি উৎসর্গ করেন, তাহলেই একমাত্র ট্রয় যুদ্ধে তাঁর পক্ষের জয় নিশ্চিত। যুদ্ধ জয়ের মোহে অন্ধ অ্যাগামেম্নন তা-ই করেছিলেন। ফুলের মত সরল-নিষ্পাপ কিশোরী কন্যা ঈফিজেনিয়াকে মিথ্যে কথা বলে ডেকে, তাকে ঠকিয়ে, দেবতাকে উৎসর্গ করবেন বলে তার গলার নলি চিরে তাকে হত্যা করেন। পায়রার গলা কাটা দেখে আমার সেদিন বারবার সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল -- যে আমরা অন্ধ মোহের বশে কি সব করে বসি!
তবে এই সমস্যার মূল উদ্ধার করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কারণ যাঁরা এটা করছিলেন তাঁরা মানসিকভাবে এতটাই অসুস্থ যে এইসব ব্যাপারে রাখ-ঢাকের কোন দিক তাঁদের মধ্যে কাজ করে না। মানে মানসিক বিকৃতি অপরাধ প্রবণ ছিল না। অদ্ভুত ভাবে তাঁদের ফ্ল্যাটের সব কাচের জানলা কোন পর্দা নয়, ভিতর থেকে খবরের কাগজ দিয়ে ঢাকা থাকতো। একদম আঠা দিয়ে আটকানো, যাতে কোন আলো সেখানে প্রবেশ না করে। অনেক হস্টেলে আমরা এরকম দেখেছি, কিন্তু সেখানে কাচের বদলে কাগজ। এরকম গল্প কিন্তু বিভিন্ন বিদেশী অ্যাপোক্যালিপ্টিক ছবিতে আমরা পেয়েছি ৷ যেমন শেষ ভাল এরকম সিনেমা দেখেছি-- Bird Box.
বাস্তবে যখন সেই পরিবারটিকে আইডেন্টিফাই করা হলো আর দেখা গেল যে সেখানে এর পিছনে এক দম্পতি, তাঁরা বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা, বয়স, প্রায় সত্তরের কাছাকাছি -- তারাই এই ঘটনাটা ঘটিয়ে চলেছেন, সবাই স্তম্ভিত। তাঁরা যেভাবে এই নৃশংস কাজটা করেছেন তা নিয়ে তাদের কোনো রকম দূরভীসন্ধি বা আক্ষেপ কোনটাই নেই। তাঁরা একেবারেই নির্লিপ্ত।
ওনাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই যেটা হলো সেটা বেশ মজার ব্যাপার। উনি আমাদের মধ্যে আমাদেরই এক বন্ধু কান্তিময়ের স্ত্রী, সুকন্যা-কে বেছে নিয়ে হঠাৎ বললেন,
- এই যে মাগী! তোমার সাহস তো কম নয়, আমি যখন চান করতে গিয়েছিলাম, তখন তুমি আমার বাড়িতে এসে আমার ফ্রিজ থেকে যত ভালো ঢেঁড়স গুলো সব নিয়ে গিয়ে আবার তার বদলে পাকা আর পচা ঢেঁড়স গুলো রেখে দিয়ে চলে গেছো? ভালোই চালাচ্ছো, হ্যাঁ? এভাবেই বাজার দোকান চলে নাকি তোমার বাড়িতে?
সুকন্যা তো অবাক। বাকরুদ্ধ। এরকম ঘটনা যে ঘটতে পারে তার কল্পনার বাইরে। সে একজন স্কুল শিক্ষিকা। শেষে কিনা ঢ্যাঁড়স-চোর! কোনো উচ্চগ্রামে প্রতিবাদ না করে যতটা বিনীত সংযত ভাবে সম্ভব নিজের বিস্ময় প্রকাশ করতে গিয়ে সুকন্যা যা শুনল, তা সত্যিই আমাদের সবার কল্পনার অতীত:
-- আমি আপনার বাড়ি থেকে ঢ্যাঁড়স চুরি করতে যাব কেন, মাসীমা?
-- আরে হ্যাঁ হ্যাঁ জানা আছে....ওসব.... শুধু ঢেঁড়স কেন, উচ্ছে, বেগুন, পটল, মুলো, কিছুই তো বাদ দাও না, বাপু! নিজের পচাগুলো আমাকে গছিয়ে দিয়ে ভালো গুলো রোজ নিয়ে চলে যাও। গতর খরচা করে বাজার করি আমরা, আর তার ফল ভোগ করো তুমি আর তোমার ওই গুষ্টি ৷
-- আপনি এসব কি বলছেন!!!
-- উঃ ... ঢং....কি বলছি ?কেন? তোমার পাশে দাঁড়ানো তোমার ঐ শিবঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করো না....!!!
-- ও কি জানে এসবের?
-- আ হা হা হা গো...ধোয়া তুলসী পাতা!!! ও কি জানে এসবের!!! পিরীত দেখে আর বাঁচি না! শোনো, তুমি যদি চলো ডালে ডালে, তোমার পাশে দাঁড়ানো ওই ডাকাতটা.... ও চলে পাতায় পাতায়...
কান্তিময় অবাক হয়ে জানতে চাইল,
-- কেন মাসীমা, আমি আবার কি করলাম?
-- করোনি? বাব্বা... তোমাকে আমার খুব ভয়...
-- কেন মাসীমা আমাকে ভয় পাওয়ার মত কি এমন কাজ আমি করেছি?
-- আর সাধু সেজ না বাপু!!! তুমি যা করেছো তাতে আমার রাতের ঘুম উড়ে গেছে। তুমি যে কোনদিন আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিতে পারো। উরিব্বাস, ভাবা যায় না! তারপর দিন থেকে আমরা খাব কি, সেই নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
নিরীহ গোবেচারা কান্তিময় বামপন্থী বটে। কিন্তু অত টাও উগ্র নয় যে সে ফিউডালিজমের চক্করে নিরীহ দুজন সত্তরোর্ধ দম্পতিকে শ্রেণিশত্রু বলে চিহ্নিত করে ধনে-প্রাণে সাবাড় করে দেবে। বেশ বিরক্ত হয়ে কান্তিময় বলল,
-- মাসীমা,আপনি বাজে বকা বন্ধ করুন। আপনার মাথায় কিছু গোলমাল হয়েছে। সোডিয়াম পটাশিয়ামের ব্যালেন্সটা একবার চেক করার দরকার। চলুন, ডাক্তার দেখিয়ে আসবেন আমার সাথে। গাড়িটা বের করছি। আর মেসোমশাই কেউ বলুন রেডি হয়ে থাকতে। ওনাকেও একবার দেখিয়ে নেওয়া যাবে, একসঙ্গে।
-- ওলাউটো তোর হয়েছে রে ড্যাকরা! শোনো হে, আমরা কেউই তোমার সাথে যাবো না, আর তোমাকে আমরা বিশ্বাসও করিনা....
-- আরে মাসীমা আমি করলামটা কি সেটা তো বলবেন, যে এটুকু বিশ্বাস-ও করা যাচ্ছে না!
প্রত্যুত্তরে রীতিমতো বাজ পড়লো। এটা যে কেউ করতে পারে এটা আমরা স্বপ্নেও কোনদিন ভাবতে পারিনি।
মাসিমা হঠাৎ আমার দিকে ধীরে এসে চোখ ছোট ছোট করে বললেন,
-- জান ও কি করেছে? আমার তো ভাবলেই শুধু প্রেসার বেড়ে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে!
আমিও অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,
- কি এমন করেছে কান্তিময় যে আপনি এরকম এটা-সেটা ভেবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? যে কস্মিনকালে কোনদিন কারো ক্ষতি করেছে বলে তো আমাদের জানা নেই, সে আপনাদের সাথে কি এমন করল?
- তুমি জানো ও কি করেছে?
- না... জানি না, তাই জন্যই তো জানতে চাইছি...
- আরে ও তো একটা ডাকাত ... ওর সঙ্গে মিশ না, আর বিশ্বাস-ও কোরো না... সব লুঠে নিয়ে চলে যাবে...
- মানে?
- মানে??? মানে আর কি, শোনো তবে.... আমি আর তোমাদের মেশোমশাই যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তখন মাঝরাতে ওই তোমার বন্ধু, আমাদের আলমারির লকার খুলে পাস বই নিয়ে যায়।
- কি নিয়ে যায়?
- ব্যাংকের পাস বই গো!!! তারপর আবার সেই গুলোকে আপডেট করে পরের দিন আমরা ঘুমিয়ে পড়লে যথাস্থানে ফেরত রেখে দেয়।
আমার তলপেটে মোচড় দিচ্ছিল, হাসি চাপতে গিয়ে না, অন্য কিছুর বেগ বশতঃ, ঠাওর করতে পারছিলাম না। ঠিক বিশ্বাস করতে পারলাম না, যা স্বকর্ণে শুনলাম। বুঝতেও পারলাম না যে উনি কি বলতে চাইছেন ৷ তাই আবার জিজ্ঞাসা করলাম।
- মানে আপনি বলছেন যে কান্তিময় আপনাদের আলমারির লকার খুলে ব্যাঙ্কের পাস বই বের করে নিয়ে সেগুলোকে ব্যাঙ্কে গিয়ে আপডেট করে আবার আপনাদের লকারে ফেরত রেখে দেয়।
- ঐ যে...বাহ! এই এতক্ষণে তোমার মাথায় ঢুকেছে দেখছি। একদম ঠিক ধরেছ....
- তাহলে তো কান্তিময় তো ভালো কাজই করছে। আপনারা দুজন বয়স্ক লোক, পাশবই আপডেট করে দেয়, এ তো ভাল কাজ, এর মধ্যে খারাপ কি দেখলেন যে সে জন্য আপনি সেই ভাবে রাতে ঘুমাতে পারছেন না?
- আরে মাথামোটা, এমনি এমনি কি আর আপডেট করে? উদ্দেশ্য আছে.... আমাদের যাবতীয় যা কিছু পুঁজিসম্বল, সব হাতাতে চায়.... আমরা কি ভেবেছো অত বোকা যে ওর ফন্দি-সন্দী বুঝি না?
আমি খুব উৎসুক হয়ে ওনাকে বললাম যে
- আচ্ছা, পাস বইগুলো একবার দেখতে পারি?
- হ্যাঁ নিশ্চয়ই, দাঁড়াও দেখাচ্ছি....
মিনিট দুয়েক পরে উৎসাহী জনতাকে উসকে দিয়ে দুটো পাশ-বই এল। এক্কেবারে তলার দিকের বাসি লুচির সাথে সেই দুটোর বিশেষ কোনো পার্থক্য আছে বলে আমার মনে হলো না। চারিদিকে উৎসুক দর্শক, আমারই বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, তারা ঝুঁকে হুমড়ি খেয়ে পড়্ল, দেখার জন্য। মনে মনে হয়তো অনেকে নিরীহ গোবেচারা তালপাতার সেপাই কান্তিময়কে একজন দুর্ধর্ষ চম্বলের ডাকাত হিসেবে কল্পনা করতে আরম্ভ করেছে। পাশ বই যখন আমার হাতে এলো তখন আমায় ঘিরে প্রায় চোদ্দ-পনেরোটা মাথা ৷ পুরানো ভঙ্গুর পান্ডুলিপি যেভাবে খোলে আমি অতি সাবধানে সেই পাশ-বই দুটির শেষ ছাপানো পাতা পর্যন্ত গিয়ে দেখলাম যে তাতে ব্যালেন্স পড়ে আছে একটিতে দুহাজার তিপ্পান্ন টাকা আর এ আরেকটিতে এগারো হাজার টাকা সাতাশ পয়সা।
আমি তখন বাধ্য হয়েই বৃদ্ধাকে বললাম যে
-- মাসীমা আপনি অত চিন্তা করবেন না। আপনাদের পাশ-বইয়ে এরকম কিছু নেই যা নিয়ে আমার বন্ধুটি বা তার স্ত্রী খুব বড়লোক হয়ে উঠবে ৷
- কেন? কত টাকা আছে দেখছো?
আমি যখন ওনাকে আমার দেখা টাকার অংক গুলো বললাম তখন উনি বললেন,
- এত বড় ধেড়ে একজন লোক একটা পাশ বই পর্যন্ত পড়তে পারে না। ওরে ওগুলো হাজার নয় ওগুলো লক্ষ। একটা নাকি কুড়ি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আর একটা এগারো লক্ষ সাতাশ হাজার টাকা ৷
আমরা আর বিশেষ কথা বাড়ালাম না। বুঝলাম সবাই, উনি খুবই অসুস্থ। তাই জন্য কোনক্রমে কাটিয়ে চলে এলাম। মন টা বেশ খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু কিছু করার নেই। একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম সবাই। যিনি এরকম ডেল্যুশনে ভুগছেন, সেখানে পাড়ার শিশুরা যারা নিত্য সকাল-বিকেল খেলাধুলা করে, তারা নিরাপদ নয়। বৃদ্ধ্-দম্পতির চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করা হল। ছোটদের বাবা-মায়েরা যেন তাদের উপর নজর রাখেন, কারণ কে বলতে পারে যে ওই সমস্ত শিশুদের কোনদিন না ওই ভদ্রলোক-ভদ্রমহিলা তাঁদের মোহাচ্ছন্ন কল্পনার জগতে পায়রা বলে ভেবে বসেন।
ওনাদের প্রবাসী সন্তান-সন্ততিদের খবরও দেয়া হল। তাঁরা সমস্যার গুরুত্ব বুঝে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের বাবা-মাকে এখান থেকে স্থানান্তরিত করেন এবং সেই ফ্ল্যাট অনতিবিলম্বে বিক্রি করে দেন।
সবাই বেশ হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেও গলাকাটা পায়রার স্মৃতি আমাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়। আর মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি যে আমাদের প্রিয় কান্তিময় সলমন খানের মত চেহারা নিয়ে অ্যাকিলেস-কে দ্বন্দ্বযুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। অ্যাকিলেস ভয়ে সিঁটিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। ঠিক তখন কান্তিময় ওর মুখে থাকা জ্বলন্ত বিড়ি-টা দিয়ে একটা চ্কোলেট বোম ধরিয়ে সোজা অ্যাকিলেসের গোড়ালি লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দিতেই
সেটা ফেটে বেরিয়ে আসছে লাস্যময়ী এক নারী। ধোঁয়া কেটে বেরিয়ে আসতে সেই অপ্সরা-রূপিনী দৃশ্যমানা হলেন -- কান্তিময়ের স্ত্রী সুকন্যা, হাতে একটা ঢ্যাঁড়স।
***A survey revelas that alomost one in every three hundred persons are suffering from SCHIZOPHRENIA, globally. It is about 0.32% of the total global population.

No comments:
Post a Comment