আগের দিনের মরুভূমির স্মৃতি এতই প্রবল যে আমাদের পরের দিন সেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে উঠতে বেশ দেরী হয়ে গেল। অরিন্দম চৈতালীদের রাধুনী রত্নাকর সেদিন চিকেনের যে দক্ষিণ ভারতীয় পদটি রান্না করেছিল, সে অতি উপাদেয়। আমরা পেট ভরে ব্রাঞ্চ করে বেরিয়ে পড়লাম।
দুবাই- এ আর কিছু থাকুক না থাকুক, শপিং মলের কোনো অভাব নেই। তার মধ্যে একটি মল বেশ অন্য রকমের। নাম হল 'ঈবন বতুতা' মল। 'ঈবন বতুতা' হলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রাক-আধুনিক যুগে পৃথিবীর বুকে সবথেকে বেশি দুরত্ব ভ্রমণ করেছিলেন। ঈবন বতুতার কথা সেই কবে ছোটবেলায় ইতিহাসের পাতায় পড়েছিলাম ৷ তারপর কোনোদিন কোনো প্রয়োজন বা আগ্রহ হয় নি পৃথিবীর চিরকালের এই সবচেয়ে বেশি ভ্রমণকারী গ্লোব ট্রটারের সম্পর্কে জানতে ৷ এই মলটির নাম ও থীমের সজ্জা মনের মধ্যে সেই ইচ্ছেকে জাগিয়ে তুলল ৷
এনার পুরো নাম হল, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ঈবন বতুতা (২৪ ফেব্রুয়ারি ১৩০৪– ১৩৬৪/৬৫)। তিনি ছিলেন একজন মাগরেবী অভিযাত্রী এবং পণ্ডিত। ১৩২৫ থেকে ১৩৫৪ সাল পর্যন্ত ত্রিশ বছরের সময়কালে ঈবন বতুতা উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, আইবেরিয়ান উপদ্বীপ এবং পশ্চিম আফ্রিকা সফর করেন। তার জীবনের শেষের দিকে, তিনি তার ভ্রমণের একটি বিবরণও লিখেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল "A Gift to People Who Contemplate the Wonders of Cities and the Marvels of Travelling"। কিন্তু সাধারণভাবে এটি "The Rihla" নামে পরিচিত। আচ্ছ কেন বলুন তো, ঈবন বতুতা প্রাক-আধুনিক ইতিহাসে চিরকালের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ অভিযাত্রীর স্থান পেয়েছেন? কারণ - যে কোনো অভিযাত্রীর চেয়ে তিনি বেশি ভ্রমণ করেছেন, সর্বসাকুল্যে মোট প্রায় ১১৭,০০০ কিমি (৭৩,০০০মাইল)। মানে, তিনি ঝেং হে-র প্রায় ৫০,০০০ কিমি (৩১০০০ মাইল) এবং মার্কো পোলোর ২৪০০০ কিমি (১৫০০০ মাইল) ভ্রমণ ছাড়িয়ে গেছেন।
আন্দালুসিয়া কোর্ট,
চায়না কোর্ট,
মিশর কোর্ট,
ইন্ডিয়া কোর্ট,
পারস্য কোর্ট
এবং
তিউনিসিয়া কোর্ট।
আর সব ক'টা কোর্ট ওই একবেলায় ঘুরতে গিয়ে আমাদের দশাও ওই ঈবন বতুতার মত। তা যাই হোক, আমাদের ওখানে সেরকম কিছু করার ছিল না। ঘুরে ঘুরেই কেটে গেল। সময় কাটানোর উদ্দেশ্য একটাই -- সন্ধ্যে ছ'টা বাজিয়ে দেওয়া কারণ সেদিনের আইটিনারারী (কথাটা 'আইটেনারী' নয়)তে অরিন্দম-চৈতালী ঠিক করেছিল যে Dhow Cruise-এ যাওয়া হবে। Dhow Cruise মানে পাতি বাংলায় নৌকা ভ্রমণ৷ দুবাই মারিনা মলের গায়ে যে ক্রিকটা আছে তার পাশ থেকে Dhow Cruise এর যাত্রা শুরু হয়। ওদের ভাষায় 'ঢাও' মানে হল 'পাল তোলা নৌকা'। কিন্তু যুগের সঙ্গে সঙ্গে সে নৌকা ভ্রমণের ধরণও বদলে গেছে৷ এখন যে সব নৌকায় চড়ে Cruise-এ যাওয়া হয় সে সব এলাহী কান্ড, প্রলাহী ব্যাপার ৷
টাইম কিল করার জন্য যখন আমরা ঈবন বতুতা মলে ঘুরছিলাম তখন চোখে পড়ল একটি বাদ্যযন্ত্রের দোকান ৷ আমার আর বুমের জামাকাপড় ইত্যাদি প্রভৃতি -- মানে একটা শপিং মলে সাধারণতঃ যা সব পাওয়া যায় -- সে সবে খুব যে কোনো আগ্রহ আছে তা নয় ৷ ফলে এই দোকানটিতে আমরা ঠেক মারলাম। বুম দিব্বি একটা গিটার নিয়ে বসে পড়ল ৷
সেখানে যা লেভেলের কালেকশন তাতে চোখ জুড়িয়ে যায় ৷ মন ভরে যায়। কিন্তু সে সব কেনা আমাদের নাগালের বাইরে ৷ বুম প্রাণ ভরে গীটার বাজিয়ে আশ মিটিয়ে নিল ৷ তারপর আমাকে ডেকে বলল একটা গান গাইতে৷ আমিও লোভ সামলাতে না পেরে রুপম ইসলামের গান ধরলাম। গান শেষ হলে চক্ষুলজ্জার খাতিরে বুম ওর ইলেকট্রিক গীটারের জন্য এক সেট স্ট্রিং কিনল। বেরোনোর সময়ে চোখে পড়ল Guns n' Roses এর Slash এর Gibson Lespol গীটার।
ঐ আপাত নিরীহ যন্ত্রটা ওই ব্যক্তিটির হাতে পড়্লে কি হয় তা ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে গেল, November Rain এর ভিডিও-র মরুভূমির মাঝ্খানে চার্চের পাশের সেই দৃশ্য। আমি আর বুম আলোচনা করতে করতে সেই স্যুক (Souk) বা দোকান থেকে বেরোলাম। গল্প করতে করতে আমরা একটা ব্যাটম্যান পার্ক এর সামনে এসে দাঁড়ালাম। সেখানে ব্যাটম্যানের নানান কস্টিউমস রাখা যা পরে শিশু কিশোরদের স্বপ্নকে বেশ খুঁচিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সে সবই ভাড়ায় ৷ ক্রয়যোগ্য নয়। সেখান থেকে একটু এগোতেই পড়লাম এক তুখোড় পারফিউম সেলসম্যানের খপ্পরে ৷ আমাদের তিনি আরবের বিখ্যাত সুগন্ধী বিক্রি করেই ছাড়বেন। ইংরেজি ভাল জানেন না। ভাঙা হিন্দিতেই যে ভাবে অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত ভাবে আমাদের চেপে ধরলেন তাতে আমাদের যঃ পলায়তি সঃ জীবতি অবস্থা ৷ অনেক কষ্টে তাঁর খপ্পর থেকে বেঁচে আমরা সবাই চললাম দুবাই মারিনা মলের উদ্দেশ্যে ৷
দুবাই এর হাই প্রোফাইল মলগুলোর মধ্যে মারিনা মল অন্যতম। আধুনিক স্থাপত্য ও প্রযুক্তির উন্নতির এক একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ওখান্কার প্রত্যেকটি শপিং মল ৷ এর সাথে রয়েছে ওখানকার মানুষের সিভিক সেন্স ও পরিচ্ছন্নতা ৷ লক্ষ্যনীয় এই যে আপামর জনসাধারণ উচ্চশিক্ষিত না হয়েও কিভাবে যৌথ সামাজিক জীবনের প্রাথমিক রীতিনীতিগুলো সর্বান্তঃকরণে মেনে চলে৷ আইন প্রনয়ণ করে, তা চাপিয়ে দিয়ে জন জীবনের শৃঙ্খলা আনা যায় না। ওটা সমাজ আর পরিবেশ ছেলেবেলা থেকে তৈরী করে দেয় ৷ তাই যেখানে সেখানে থুতু ফেলা, খাবার খেয়ে প্যাকেট ফেলে দেওয়া, গাড়ির জানলা দিয়ে ঝড়তি পড়তি জিনিস ফেলতে ফেলতে যাওয়া, রাস্তার ধারে যেখানে জায়গা পেলে নেমে একটু ছোটবাইরে করে ফেলা - এসব নেই। সত্যিই, দেখে শুনে মনের মধ্যে অনেকবার কথাটা এসেছে - গনতন্ত্রের চেয়ে বরং রাজতন্ত্রই ভাল ৷
নাঃ আলোচনার মোড় ঘুরে যাচ্ছে। মারিনা মলে ফিরে যাই। মারিনা মলের গায়ে যে ক্রিক টা আছে তার দুপাশেই অসাধারণ ব্যান্ড স্ট্যাণ্ড ৷ বসে সময় কাটানোর অঢেল জায়গা ৷ আর টলটলে কালো জলের ওপর ভেসে রয়েছে অসংখ্য ঢাও, মানে অত্যাধুনিক ছোট জাহাজ এবং ইয়ট। আমরা মারিনা মলে ছবি টবি তুলে হাঁটতে থাকলাম মারিনা ওয়্ক-ওয়ে ধরে, খুঁজে বের করতে হবে যে আমরা যে Dhow Cruise এ যাব, তার জন্য নির্ধারিত জাহাজ কোনটি ! তার আগে বলে রাখি যে দুবাই মারিনা ব্যাপারটা আসলে কি: দুবাই মেরিনা (আরবি ভাষায়, মার্সা দুবাই) হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাইয়ের একটি জেলা। এটি একটি কৃত্রিম খাল-শহর যা পারস্য উপসাগরের উপকূলরেখার তিন কিলোমিটার (দু’ মাইল) বরাবর নির্মিত। ২০১৮ সালের হিসাবে, এর জনসংখ্যা ৫৫,০৩২ জন। উন্নয়ন সম্পূর্ণ হলে আবাসিক টাওয়ার এবং ভিলা মিলিয়ে মোট ১২০,০০০ জনেরও বেশি লোকের বাসযোগ্য হবে এই অঞ্চলটা। এটি ইন্টারচেঞ্জ ৫-এ, মানে, জেবেল আলী বন্দর এবং দুবাই ইন্টারনেট সিটি, দুবাই মিডিয়া সিটি এবং দুবাইয়ের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ঘেরা এলাকার মধ্যে অবস্থিত।
এ প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। দুবাই মেরিনা আসলে ভ্যাঙ্কুভার, বিসি, কানাডার ফলস ক্রিক বরাবর কনকর্ড প্যাসিফিক প্লেস -- এসব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। কিন্তু দুবাই মারিনার কাজ শেষ হলে ওটাই পৃথিবীর বৃহত্তম মারিনায় পরিণত হবে। মনুষ্য-নির্মিত মেরিনা তৈরি করার জন্য ডেভেলপাররা পারস্য উপসাগরের জল দুবাই মেরিনার সাইটে নিয়ে আসে; একটি নতুন ওয়াটারফ্রন্ট তৈরি করে। আশ্চর্যজনক ভাবে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই কেন্দ্রীয় জলপথের পুরোটাই মরুভূমি থেকে খনন করা। সাইটের মোট জমির ১২% এরও বেশি কেন্দ্রীয় পাবলিক স্পেসে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই এলাকার বেশিরভাগ অংশ মেরিনা জলভূমি, তবে এটিতে প্রায় আট কিমি ল্যান্ডস্কেপ ও পাবলিক ওয়াকওয়েও রয়েছে। অবাক হতে হয় যে, মেরিনা সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট এবং সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট ফার্ম Emaar Properties দ্বারা তৈরি এবং এটির ডিজাইন করেছে HOK কানাডা। সমাপ্তির পরে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট মেরিনা বলে দাবি করা হয়। এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট মেরিনা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিনা দেল রে। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হল, খোলা সমুদ্রের কাছাকাছি থাকার কারণে সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী (বিশেষ করে তিমি এবং হাঙ্গর) মেরিনায় প্রবেশের অনেক ঘটনা ঘটেছে।
(তথ্য ঋণ: চৈতালী-অরিন্দম ও উইকিপিডিয়া)
Dhow Cruise যাওয়ার জন্য মারিনা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শেষে আমাদের জন্য নির্ধারিত একটি স্কার্লেট রেড বিশাল নৌকা খুঁজে পাওয়া গেল। ই-পাশ স্ক্যান করে আমরা ছ'জনে ঢুকলাম নৌকার পেটের মধ্যে। এ নৌকা তো আর নৌকা নয় - ছোটখাটো একটা জাহাজ বলা চলে। প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিশাল ডাইনিং হল৷ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত৷ আর তার ছাদে ওপেন ডাইনিং স্পেস। আমরা নিচেই বসলাম৷ এখানেও ডিনার সহযোগে গান-বাদ্যি আর পারস্য উপসাগর ছুঁয়ে আবার ফিরৎ আসা৷ মোটামুটি আড়াই থেকে তিন ঘন্টার ব্যাপার৷ আমরা নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই ঢুকেছিলাম কারণ সিট এর কোনো অ্যালোকেশন নেই। যে আগে আসবে সে আগে পাবে - এই ভিত্তিতে৷ মাঝামাঝি দুটো বিশাল জানলার পাশে গিয়ে বসলাম সবাই ৷
আগের দিনের ডেজার্ট সাফারির মত আনলিমিটেড জল ও সফট ড্রিঙ্ক | হার্ড ড্রিঙ্ক ওপরের তলায় আর তার জন্য আলাদা করে পয়সা দিতে হয় ৷ আমরা নানা রকম জুস আর এরিয়েটেড ড্রিঙ্ক নিয়ে গল্প করতে করতে জানলা দিয়ে দেখি আমাদের ঢাও পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানমেড ক্রিক ছাড়িয়ে মূল সমুদ্রে এসে পড়েছে।
ততক্ষণে বুফে টেবিলে খাবার সাজানো হয়ে গেছে। আমরা এরকম শুভকাজে বিলম্বে দেরী না করে সোজা খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম ৷ হতে পারে এর আগের দিনও ডেজার্ট ক্যাম্পে বুফে ডিনারই ছিল বটে, তবে মেনু কিন্তু একেবারেই আলাদা ৷
এখানে অনেক রকমের সালাড, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ্, আরবী খাবারের সঙ্গে বিরিয়ানীও ছিল। আর মিষ্টিমুখেও নানান পদ আর সবশেষে, ফল ৷ মিষ্টিমুখের আগে মেইন কোর্স প্রায় শেষের দিকে যখন, খবর পেলাম ওপরের তলায় বেলি ডান্স শুরু হয়েছে ৷ আমি ভিড় ঠেলে চক্রব্যুহের কেন্দ্রে দৃষ্টিপাত করে সুন্দরী নারীর নাচ যে দেখব, সে সুযোগ পেলাম না, এত ভীড়্! ৷
ব্যর্থ মনোরথে আশপাশের ছবি তুললাম কিছু মোবাইলে | আলো যেখানে কম, সেখানে যে কোনো ক্যামেরা ফেল ৷ ছবি তুললাম বটে, কিন্তু ঠিক মনোমত হল না। শাহরুখের 'পাঠান' ছবিতে একটি দৃশ্যে জন আব্রাহাম যে বিল্ডিং এর মাঝখানে থাকা চৌকো ফাঁক দিয়ে হেলিকপ্টারে করে গলে পালিয়েছিলেন - সেই বিল্ডিংএর ছবি তুললাম।
আর এক দিকে দুবাই আই জায়ান্ট হুইলের গায়ে খেলা করছে রঙীন আলো৷ ফুটে উঠছে বিজ্ঞাপনের লেখা ৷ সন্ধের পর আলো জ্বললে সব শহরের মতই এই শহরের রূপও বদলে যায় ৷ অনেক সাজানো জোনাকি নিয়ে এক অপূর্ব স্কাইলাইন দেখলাম ৷
Dhow টি তখন পারস্য উপসাগরের তীর বরাবর বড় বড় ঢেউয়ের দোলায় এমনই দুলছিল যে মাঝেমধ্যেই দাঁড়ানোর ব্যালেন্স হারিয়ে যাচ্ছিল। ওপরের তলায় এমনিতেই ততক্ষণে অনেকেই ব্যালেন্স হারিয়ে নিজেদের মত করে বেলি ডান্সে ব্যস্ত ৷ আমরা নিচে নেমে এলাম। সবে প্লেট ভর্তি করে খাবার এনে মিষ্টিমুখের সুখ অনুভব করতে যাব, আমাদের এক্কেবারে সামনেই শুরু হল আগের দিনের মত এক যুবকের whirlpool ডান্স আর তারপর এক যুবতীর বেলি ডান্স | সেদিন যাঁরা নাচলেন তাঁরা গত দিনের থেকে আরও বেশি পারদর্শী, বিশেষ করে বেলি ডান্সার মহিলা ৷ এখানে না বলে পারছি না যে, If this is an art-form of seduction, from the perspectives of Arabic ethnicity and traditional culture, I must say, she has mastered it.
সেদিন রাতে স্বপ্ন দেখলাম: আমি দেবরাজ ইন্দ্র, সামনে লাস্যময়ী অপ্সরার নৃত্য, আর স্বর্ণপাত্রে আমার সেবনের জন্য রাখা আছে চমরী গাই এর দুধে রান্না করা ব্রহ্মকমলের রেণুর পায়েস ...!
(চলবে)













No comments:
Post a Comment