Friday, 27 October 2023

দুদ্ধর্ষ দুবাই: নবম পর্ব

২৮ শে অগাস্ট, ২০২৩ - সেই যে '(চলবে)' বলে লিখে ফেটে গিয়েছিলাম (না ভুল টাইপিং নয়, ঠিকই পড়েছেন আর আমিও ঠিকই লিখেছি কারণ এটাই 'কেটে পড়া' র আধুনিক চলতি বাংলা) তারপর পুরো 'তোমার দেখা নাই রে/তোমার দেখা নাই' ৷ আসলে পুজোর বাজারে অপ্সরার নিজের হাতে চমরী গাইয়ের দুধ দিয়ে রান্না করা ব্রহ্মকমলের রেণুর পায়েসের সে-ই স্বপ্নের রেশ কাটতে মাস দুয়েক লেগে গেল। ইতিমধ্যে ঘটনার ঘনঘটায় সে স্বপ্নের ব্যাঘাত ঘটেছে বটে, কিন্তু আবার সেই স্বপ্নে ফিরে যাওয়া যাচ্ছিল ৷ আজ সে স্বপ্নের অবসান ঘটল। 


যাই হোক তার পরে যা ঘটেছিল দুবাই-এর মাটিতে, তা ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন নয় - বাস্তবে দেখা।  কিন্তু এক্কেবারে স্বপ্নের মত। 

অরিন্দমের অফিসে ছুটি চলছিল পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে ৷ সেই উপলক্ষ্য কে লক্ষ্য করে চৈতালী - অরিন্দম প্ল্যান করেছিল যে বড়সড় সময় ধরে যা কিছু দেখার তা ওর ছুটির মধ্যে শেষ করতে হবে। না হলে ওদের গাড়ি পাওয়া যাবে না। ওখানে তো আর আমি ড্রাইভ করতে পারব না। আর ভাড়ার গাড়ির যা রেট তা আকাশচুম্বী। 

বড়সড় বলতে যা দেখার ছিল তা হল দুবাই গ্র্যান্ড মস্ক আর দুবাই প্যালেস ৷ দুটোই টিকিট কেটে দেখতে হয়। অনলাইনে বুক করা যায় ৷ কিন্তু সমস্যা হল, আগে গ্র্যান্ড মস্ক দেখে তারপর প্যালেসে যাওয়ার টাইমলাইন মেলানো ৷ প্যালেসে প্রবেশের শেষ সময় ওখানকার লোকাল টাইমে সাড়ে চারটে ৷ মস্ক থেকে প্যালেস পৌঁছাতে তো খানিকটা সময় লাগবেই ৷ কিন্তু এই দুটো আলাদা দু'দিনে করলে অন্য প্ল্যান চৌপাট! ঠিক হল আমরা বাড়িতে ব্রাঞ্চ (এর মানে আশা করি এখন সবাই জানে) সেরে তাড়াতাড়ি বেরোবো। দুগ্গা দুগ্গা বলে দুটো টিকিটই কেটে ফেলা হল, একই দিনে। 


চিকেনের দক্ষিণ-ভারতীয় ঝোল-ভাত খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। পৌঁছালাম গ্র্যান্ড মস্ক-এ।  সেখানে পৌঁছেই আমরা প্রবেশ করার পথে অনেকটা ঘুরে যখন মেইন এন্ট্রান্সে পৌঁছালাম সেখানে স্বভাবতই বেশ কড়া চেকিং। আমাদের বেল্ট-ঘড়ি-পার্স ইত্যাদি সমস্ত কিছুই ঠিক যেরকম ভাবে এয়ারপোর্টে চেক করা হয় সেরকম ভাবে চেক করা হল। তারপর হঠাৎ দেখা গেল যে ইন্দ্রানীকে আটকে দেওয়া হয়েছে।  তার কারণ কি, না ওখানে ঢোকার যে ড্রেস কোড তা ইন্দ্রানী ফলো করেনি -- চিকনের যে সালোয়ার কামিজ পরে এসেছিল সেটা নাকি সেমি-ট্রান্সপারেন্ট এবং তার হাতাটা  নাকি ছোট (থ্রি-কোয়ার্টার ছিল, ওদের নিয়মানুসারে সেটা ফুল স্লিভস হতে হবে) ফলে একটি গোটা আবায়া, যাকে আমরা বোরখা বলি তাই কিনে পরে ইন্দ্রানীকে  ঢুকতে হবে। কোথায় পাব দোকান!! জানা গেল বাইরেই নাকি পাওয়া যায়। চৈতালি-ইন্দ্রানী দৌড় লাগালো ।এমনিতেই সেদিন সময়ের অভাব তারপর আবার এইসব! আমরা মিনিট দশেক অপেক্ষা করলাম তারপর ইন্দ্রানী একটি বোরখা পরিহিত অবস্থায় আমাদের সামনে উপস্থিত হল। ছোটু-বুম দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ল। ইন্দ্রানীর নামকরণ হল 'যাদু'। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত গ্র্যান্ড মস্কে আমরা প্রবেশ করলাম ।


প্রবেশ করার সাথে সাথে যে দৃশ্য আমরা দেখলাম তা সত্যি নয়নাভিরাম এবং অদৃষ্টপূর্ব। এরকম আগে কোনদিন দেখিনি। একটা মসজিদ যে এত সুন্দর হতে পারে আমার কোন ধারণা ছিল না। প্রবেশ করার সাথে সাথে আমাদের সঙ্গে একজন গাইড দেওয়া হলো।  মহিলা। বয়স চব্বিশ পঁচিশের বেশি নয়। তাঁর সাথে আমরা ঘুরতে থাকলাম। যেখানে সেখানে দাঁড়াতে থাকলাম আর উপভোগ করতে থাকলাম দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর, যার পরতে পরতে শুধু স্বপ্ন। এ দৃশ্য ভাষায় ব্যক্ত করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কয়েকটি ছবি রাখলাম। কিন্তু এই ছবি যেহেতু একটি ফ্রেমে বন্দী অবস্থায় রয়েছে তা থেকে এই স্থানটির সামগ্রিক বিশালত্ব ও মাহাত্ম্ বোঝা অসম্ভব। ঘুরতে ঘুরতে যখন একেবারে মসজিদের অভ্যন্তরের কেন্দ্রে,মানে গর্ভগৃহে, পৌঁছালাম, জানলাম যে পুরো মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে মোট ১৯৯৮ টি পিলারের ওপরে আর যে মেঝেতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটা পৃথিবীর বৃহত্তম সিঙ্গেল-পিস কার্পেট। আর মাথার ওপরে ঝুলছে এক বিশাল ঝাড়্লন্ঠন। ভেবে পাচ্ছিলাম না যে মাথার উপরের দিকে দেখব না পায়ের দিকে।


এখানে উল্লেখ্য যে, যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আমরা এই অংশটিতে পৌঁছেছি এখানে সবাই পৌঁছাতে পারে না। শুধুমাত্র যাঁরা গাইড পান তাঁরাই এই অংশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। কোন গাইড ছাড়া এই অংশে প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধু বাইরে থেকে দেখে চলে যেতে হয়। যাই হোক, আমরা গাইডের মুখে শুনছিলাম মস্ক সম্পর্কে নানান তথ্য। আর প্রতি পদে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। আমাদের সাথে ছিলেন এক গ্রীক ভদ্রলোক। তিনি এই স্থানটির টানে তৃতীয়বার এখানে এসেছেন। ১৯৯৮ সালে এই গ্র্যান্ড মস্কের উদ্বোধন হয় -- এইটা জানার পর ওই গ্রীক ভদ্রলোক একটি সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছিলেন যে ১৯৯৮ সাল এবং ১৯৯৮ টি স্তম্ভ কি কোনোভাবে সিম্বলিক্যালি কানেকটেড কি না! গাইড মেয়েটির কাছে এর কোন সদুত্তর ছিল না। তবে তিনি অপ্রতিরোধ্য। তাঁকে যখনই কিছু প্রশ্ন করা হয় মিষ্টি করে বলেন "দ্যাত ইজ এ গুড কোয়েশ্চেন!" এবং সর্বান্ত:করণে চেষ্টা করেন যাতে প্রশ্নকর্তাকে উত্তর দিয়ে তুষ্ট করা যায়। এক্ষেত্রেও তাই-ই ঘটলো। তুষ্ট করার চেষ্টা করলেন বটে। কিন্তু আমরা কেউই সন্তুষ্ট হলাম না।

গ্র্যান্ড মস্কের গ্র্যান্ড কার্পেটের উপর দাঁড়িয়ে গ্র্যান্ড ঝাড়বাতি -- তার ছবি যখন তুলছি ততক্ষণে অরিন্দম তাড়া লাগাতে শুরু করেছে 

-- চল চল না হলে ওদিকে মিস হয়ে যাবে। 

আমি যেই বেরোতে যাচ্ছি দেখি ও নিজেই দু-পা পিছিয়ে গিয়ে ঢুকে পড়ে আবার ছবি তুলতে আরম্ভ করছে। আমাদের কারোরই ওখান থেকে যাবার কিছুমাত্র ইচ্ছে নেই, তখন। কিন্তু যেতেই হবে। তাও মন মানছে না।  সুবিধার যেটা হলো সেটা হলো আমাদের সাথে যে গাইড মেয়েটি ছিলেন তিনি হঠাৎ বললেন যে তাঁর একটু তাড়া আছে। আমরা যেন একটু তাড়াতাড়ি শেষ করে তাঁর সাথেই বেরিয়ে আসি। এই কথাটা বেশ কাজ দিল। আমরা তাঁর পিছনে পিছনে বেরিয়ে এলাম। কিন্তু ছবি তোলার কোন বিরাম নেই। ওই হাঁটতে হাঁটতেই তুলতে থাকলাম।  কারণ এ তো একটা লাইফ টাইম এক্সপেরিয়েন্স! যতটা লেন্স বন্দি করে রাখা যায়, আর কি।  কারণ সময়ের নিরিখে একদিন আসবে যখন আরও অনেক দৃশ্য এই দৃশ্যকে ঝাপসা করে দেবে। তখন যখন এই অ্যালবাম খুলবো আবার ঝাপসা হওয়া দৃশ্য মনের আঙ্গিনায় স্পষ্ট হয়ে উঠবে।


কোন রকমে জুতো পরে সবাই পড়ি-মরি করে দৌড়ালাম গাড়ির দিকে।  ঘড়ির কাঁটায় চারটে বাজতে দশ। গ্র্যান্ড মস্ক থেকে পৌঁছাতে হবে প্যালেসে। সময় লাগবে কুড়ি মিনিট তারপর গাড়ি পার্কিং করে হেঁটে পৌঁছাতে হবে প্রবেশদ্বারে। আমাদের কাছে কোন আইডিয়া নেই যে গাড়ির পার্কিং থেকে প্রবেশদ্বার কতটা।  এখানে অনেক জায়গা আছে যেখানে পার্কিং থেকে লক্ষ্য স্থলে পৌঁছাতে হলে দশ মিনিটও হাঁটতে হতে পারে।আমরা ধরে নিলাম দশ মিনিট হাঁটতে হবে। সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে সবাই একটা মিলিটারি কায়দায় তৈরি থাকলাম। আর এর সাথে ভরসা রইল দুবাইয়ের রাস্তার প্রতি কারণ এখানে কোন ট্রাফিক জ্যাম এখনো পর্যন্ত দেখিনি আর গাড়ির স্পিড লিমিট আশির নিচে তো নয়ই!


রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা নিয়ে আমরা পৌছালাম গ্র্যান্ড প্যালেসের পার্কিং-এ। সেখানে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। প্রবেশদ্বার পার্কিং থেকে দেখা যাচ্ছে। বেশি দূর নয়। আর লোকজন তখনো প্রবেশ করছে। জানলাম ওটাই শেষ লট। তবে প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করলেই যে প্যালেস পর্যন্ত পৌঁছানো যায় তা নয়। প্রবেশ দ্বার থেকে প্যালেসের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। সুতরাং যাবতীয় চেকিং এর পরে আমরা একটি বাসে উঠলাম। সেটি আমাদের পৌঁছে দেবে প্যালেসের সদর দরজায়। এখানে বলে রাখা ভালো যে জিনিসপত্র চেকিং এর সময় যদি কারো কাছে কোন ফটোগ্রাফি স্ট্যান্ড থাকে তাহলে সিকিওরিটি স্টাফরা সেটা নিয়ে নেবেন।ফিরত যাবার সময় সেটা আবার রিসেপশন থেকে কালেক্ট করে নিতে হবে। কোনো রকম ফটোগ্রাফি স্ট্যান্ড নিয়ে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। কেন তা বুঝতে পারলাম না ৷ আমার ব্যাগে অরিন্দমের গো প্রো ক্যামেরাটা ছিল সেটা অবশ্য স্ট্যান্ডের সাথেই লাগানো ছিল। সেটা কিন্তু নিল না ৷

প্যালেস জীবনে অনেক দেখেছি। তবে এরকমটা দেখিনি। আবার যেন একটা স্বপ্নের স্বর্গ রাজ্য! কি করে তৈরি করেছে কে জানে!!!!! আবার ভাষা হারিয়ে ফেললাম। প্যালেসটা ঠিক কি রকম তা ভাষায় অবর্ণনীয়৷ তবে অরিন্দমের ভাবনা থেকে খানিকটা ধারনা করা যেতে পারে : মহাভারতে ময় দানবের হাতে তৈরী পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ৷ এবার বোধহয় খানিকটা বোঝাতে পেরেছি ৷ 

প্যালেসের সেন্ট্রাল জায়গাটাতে এসে যখন দাঁড়ালাম, নিজেকে একটা  পিঁপড়ে মনে হচ্ছিল।  তারপর আমরা হানা দিলাম প্যালেসের আনাচে কানাচে। সেখানকার মিউজিয়াম, সেখানকার লাইব্রেরী, সেখানকার কনফারেন্স হল, সেখানকার ডাইনিং হল, আরো অনেক কিছু। বাসে করে আসার সময় ভয়েস ওভারে আমরা প্যালেস সম্পর্কে যে ব্রিফটা পেয়েছিলাম,  তা অনুযায়ী এটাই দুবাইয়ের ওয়ার্কিং প্যালেস। এখানেই রাজারাজড়ারা যাবতীয় মিটিং কনফারেন্স ইত্যাদি করে থাকেন । এটা শুধু দেখার জায়গা নয় কাজেরও জায়গা। কাজের জায়গা কারো যে এরকম হতে পারে এই সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না।


আমরা সেখানে যা ঘুরলাম তাতে সময় শেষ হয়ে গেল। সিকিউরিটি এসে বলল, 

-- এবার আপনাদের বেরোতে হবে। 

ঠিক সেই সময় আমি দাঁড়িয়ে একটি বাদ্যযন্ত্র যার নাম রবাব, তা দেখছিলাম ৷ রবাব যন্ত্রটি যে কি, তা আমার ধারণার বাইরে ছিল এবং শব্দটি প্রথম শুনেছিলাম ছোটবেলায় কাজী নজরুলের একটি গানে। 

এই প্রথম চাক্ষুষ হলো, তাও একদম সত্যিকারের আরবি যন্ত্র। মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। সেই সময় চটক ভাঙলো সিকিউরিটির ডাকে,

-ই য়োর টাইম ইজ আপ! প্লিজ্....

আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেরিয়ে এলাম।  বাইরে তখন সন্ধ্যার অন্ধকার আর ভীষণ খিদে পেয়েছে। আমরা একটা করে রোল খেলাম।  

না এখনই শেষ নয়। এর পরে আছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না ব্যাপারটাতে -- কি আর হবে, নানা রকম রঙিন লাইট জ্বলবে আর তার পিছনে থাকবে একটা ভয়েস ওভার। এর বেশি আর কি!!!!

সবাই হেঁটে গিয়ে একটা গ্যালারিতে বসলাম একদম পিছনের দিকে ৷ যেরকম যাই হোক না কেন ছবি তো তুলতে হবে। গো প্রোটাকে স্ট্যান্ডের ওপর সেট করে রাখলাম যাতে পুরোটা ধরা যায়। ভাবছিলাম কেউ না এসে কিছু বলে। তা দেখলাম বিশেষ কেউ কিছু গা করল না। শুরু হলো লাইট এন্ড সাউন্ড শো।


যা হলো তা অবিশ্বাস্য ৷  লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো যে এরকম হতে পারে আমার ধারণার বাইরে ছিল। পুরো প্যালেস টা হয়ে গেল একটা জায়ান্ট স্ক্রিন। তার ওপর পড়তে লাগলো আলো, তার উপর খেলতে লাগলো ঢেউ। প্রতিফলিত হতে লাগলো কিভাবে দুবাই শহর গড়ে উঠেছে, কিভাবে সেই প্যালেসের প্ল্যান করা হয়েছে, তার ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং থেকে আরম্ভ করে তার সামগ্রিক রূপ পাওয়া পর্যন্ত ইতিহাসের বর্ণনা তুলে ধরা হলো সেই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-তে। আর যে ভাবে তুলে ধরা হল, তা অকল্পনীয়। আমরা মুগ্ধ্।


মুগ্ধতাকে বেশি টানতে নেই। তাতে মুগ্ধতার গভীরতা নষ্ট হয়। তাই ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে গেল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। আর মনের মধ্যে এখনো গেঁথে আছে সেই দৃশ্য যেখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড দিয়ে একটা গোটা প্যালেসের গায়ে তার প্রত্যেকটা অংশকে যেভাবে ভার্চুয়ালি ডিস্ম্যান্টেল করে আবার সেখানে সেটাকে সেগুলোকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। মনে পড়ে যায়, নজরুলের লেখা সে ই লাইন:

"খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে/ বিরাট শিশু, আনমনে"

সাথে রবীন্দ্রনাথ,

"বিস্ময়ে, তাই জাগে, জাগে আমার প্রাণ..." 

এবার বাসে উঠে ফিরে যাওয়ার পালা লাইনে দাঁড়িয়ে যখন পিছন দিকে ঘুরে তাকালাম ৷ তখনো বিরাট সেই প্রাসাদের গায়ে খেলে চলেছে নীল সমুদ্রের ঢেউ...

একটা স্বপ্ন আর একটা স্বপ্নের বদলে...

যদি এটা ঘুম হয় তাহলে এই ঘুম যেন না ভাঙ্গে, এই ঘোর যেন না কাটে...

(চলবে)

Link to Episode 8

No comments: