মাকড়সার রস গায়ে মাখলে কি
নিয়ন আলো পিছলে
শৈশবের হ্যারিকেন হয়ে যায়?
শেষবারে ধিক্কার শুনেছিলাম।
বাদামভাজার খোসা ভেলপুরী হয়ে
গঙ্গার ঘাটে পার্কার কলম বেয়ে
মিথ্যে শব্দের মসি।
মহালয়ায় অবগাহন স্নানের তর্পনের কুশীতে
ঘেঁটে যাওয়া তিলের কাজলে আয়নার দাগ--
প্রতিবিম্বে তাজমহল।
শ্বেতপাথরের বিমূর্ত নিভৃত জঠরে
ভবিষ্যতের হত্যা-
চাদরের দাগে ফুটে ওঠে শ্রাঊড।
ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে,
ধর্মযুদ্ধের মত।
এখন ড্রাকুলা বা ভ্যাম্পায়ার।
যা কিছু সুন্দর, গলার ধমনী খুঁজি।
ঊষ্ণ রক্তের স্বাদ বড় মধুর --
কয়েদখানার দেয়ালের গায়ে জমা
কষা নোনতা হলুদ পেচ্ছাপের মত --
তেষ্টার জিভে, অমৃত!
আকাশবানী কলকাতা,
-- আগে পুরুষ হও!
বিক্ষিপ্ত নেশায়,
আগুনের হল্কায় সেঁকে নাও
অন্তরের বার্বি কিউ।
ক্ষাত্রধর্মে কোটি কোটি বদলার মাঝে
ব্রাহ্মনের মান্ধাতার একটি মাত্র ক্ষমা!
দর কষাকষি হোক,"ক'য়ের পিঠে ক'য় নয়?
বেয়ারা! বেয়ারা!
ব্যালেন্সশীট পাত!!
শুয়োরের মাংস রাখ!
কাঁটা যেন গোলাপের হয়! লাল!"
হাতে ধরা পেন্সিলের বদলে
সুদর্শন চক্র --
পৈতের ন'পাকে
সাইকেলের ফাটা চাকায়
জেগে থাকা শিরদাঁড়া।
তাই শকটে সওয়ার।
থার্ড গিয়ারে ত্রিশূল হয়ে নিঃশব্দে ফিশন,
গতির বিষ্ফোরণ!
কেঁপে উঠল ডি-এন-এ।
জন্ম-জন্মান্তরের বিশ্বাস,
একটাই--
তিরিশ ওয়াট বালবের নিচে
লেখণীর অনাবৃত দাঁত!
সুরাচ্ছন্ন পাণ্ডুলিপিতে তোমরা সবাই
আর অভিশাপ দিও না,
মৃত্যুর অভিশাপে মানুষ
আজকাল বড্ড বেশি বাঁচে--
ভয় হয়,
শেষে অমর না হয়ে যাই!
facebook link of publication:
No comments:
Post a Comment