চুপ ছিল কথা সব, ভরে রাখা খামে
কলতলা ভেসে লাল শিরা দিয়ে নামে--
ছাতে ছিল বড়ি, মা'র কাপড়ের ভাঁজে,
শুকতোর কাঁচকলা, মনে পড়ে না যে!
দমে ছিল ঘড়ি এক, উল্টোনো হাত
চশমার ফ্রেমে হাঁকলেই কুপোকাত!
চুল ছিল পাখিবাসা, বিলি মাথা কেটে
ভাই শুধু মাপত সে লম্বা না বেঁটে।
নখ ছিল তীক্ষ্ণ, ঢাকা নেল পালিশে
গল্পের রাতগুলো একটাই বালিশে।
ও-ও ছিল খুব ভাল, আঙুলের ফাঁকেতেঃ
মধুচাঁদ উড়ে গেল ক্রাবি আর ফুকেতে।
আর ছিল পোলাপান, ধ্যান-জ্ঞান সব সে,
মোগলাই চেটে খেত ইলিশেতে সরষে।
বান আসে হড়পা, বালিবাঁধ টপকে!!
খোলা বেল্ট কোমরের, ঘাড় ধরে মটকে।
নগ্নতা শিহরিত, যন্ত্রণা যোনিতে
জিমখানা প্যাক ভাঁজে, কন্ডোমে শনিতে।
ঘাম দিয়ে রোজ কষে এ দেহের মাংস,
ভাবিনি তো কোনোদিন কালা হবে কংস!
শুষে নেয় ব্যথা সব শীতাতপ যন্ত্র,
আজ আর মাফ কর, ফুরিয়েছে মন্ত্র!
ভাঙা কাচ আয়নার,বড় তার লজ্জা!
কেটেছে শিরায় ধার, পেতে ফুলসজ্জা।
মন চল বাঁচি গে! -- বলেছিল শেষবার,
ক্লান্তির উত্তরঃ বার বার নয় আর।
কথা সব নটে গাছে যাবে দেখ মুড়িয়ে,
ভালবাসা বড় ভাল, গেল প্রাণ জুড়িয়ে!
No comments:
Post a Comment