Sunday, 28 February 2021

কফি হাউসের আড্ডায় নিখিলেশ (স্যর)

 

নিখিলেশ প্যারিসে

মঈদুল ঢাকাতে

নেই তারা আজ কোনো খবরে

গ্র্যাণ্ডের গিটারিস্ট গোয়ানিজ ডিস্যুজা

ঘুমিয়ে আছে কোনো কবরে

আর্ট কলেজের ছেলে

নিখিলেশ সান্যাল

বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকত…”



কফি হাউস- কলেজ স্ট্রীট

 

শেষ যেদিন কফি হাউসে গেলাম প্রায় দেড় বছর পরে, এই লাইনগুলো মনে পড়ে গেল। হ্যাঁ এটা আলাদা করে বলার কিছু নেই, কারণ যে কোনো বাঙালী, আর কিছু জানুক না জানুক, জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এই গান-টি মান্না দে-র কন্ঠে শুনেছে এবং কফি হাউস জায়গাটি যে একটি বিশ্ববিখ্যাত কালচারাল হাব তা নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রাখেনি। কফি হাউসে গেলে যে ওই গানের লাইন মনে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে নতুন কিছু নেই। তবে কি নতুন তা বলি।

 

আমাদের ঝাউতলার স্মোক হাউসে বছর তিনেক আগে দিগন্ত (রোজ সকালে মীর-এর কাছে অনবদ্য সেনস-অফ-হিউমর নিয়ে হাওড়া থেকে দিগু নামে বহুদিন ধরে পরিচিত ছিল)তার গোল্ড ফ্লেকে টান দিয়ে আমাকে বলল,

-কফি হাউসের নিখিলেশ স্যার কে চেনো?

প্রসঙ্গ, হাওড়ার ট্যালেন্ট গঙ্গা পার না হলে পরিচিতি পায় না। ব্যতিক্রমী নারায়ণ দেবনাথ, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় ও হাতে গোনা কয়েকজন।

-সে আবার কি!! গানে তো ওরকম কত লোকের নাম থাকে। সব-ই তো কাল্পনিক!

-  বললাম তোমাকে। তোমার জন্য খনি। খুঁড়ে বের কর।তোমার ইস্কুলের কাছেই। আর এখান থেকে সাইকেলে পনেরো মিনিট। ক্ষীরোদতলার গলির কাছে। নিখিলেশ স্যার ফিকশন নন। একদম বাস্তব।

 


সময় নষ্ট করলাম না।ফোন নম্বর যোগাড় করে ওনার সময় চাইলাম। দিলেন। ক্ষীরোদতলার কাছে পঞ্চাননতলা রোডের ওপর একটি ফ্ল্যাটে উনি থাকেন। এলাকায় পরিচিত নাম। আমাকে কোনো বেগ পেতে হল না ওনার ফ্ল্যাট খুঁজে পেতে। দরজা খুলতেই এক দুরন্ত মহিলা আমাকে আপ্যায়ণ করে বসালেন। মিসেস নিখিলেশ।বয়স পঁয়ষট্টি হবে। বাংলা বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষিকা। অধ্যক্ষা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। ঘরে ভীষণ একটা বোঁটকা গন্ধ।এতটাই উগ্র সে গন্ধ যে আমার খাপ খাওয়াতে সময় লাগবে, বুঝলাম। মিসেস নিখিলেশ আমার কাচে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ঐ গন্ধের জন্য। বাড়িতে একটি অতি বৃদ্ধ কুকুর আছে। সে এক অদ্ভুত রোগে ভুগছে। অনেক চিকিৎসক দেখানো হয়েছে কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি। সারা গায়ে ঘা। ওষুধ আর ঘা-এর দুর্গন্ধ মিশে এই অদ্ভুত গন্ধের সৃষ্টি।

 

-আমরা মন থেকে এই অসুস্থ কুকুরটিকে ফেলতে পারি নি। এভাবে কাউকে জীবিত অবস্থায় ফেলে দেওয়া যায় না।

 

ওনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে সাহিত্যের আলোচনায়, বর্তমান শিক্ষার পরিস্থিতির কাটা-ছেঁড়ায় এতটাই মশগুল হয়ে গেলাম যে ভুলেই গেলাম যে আমি ওনার সঙ্গে নয়, নিখিলেশ স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।  

সাতটা থেকে প্রায় আটটা, আমি জিজ্ঞেস করলাম,

-স্যার কখন আসবেন?

-ওর কথা আর বোলো নাস্টুডিও-টাকে সাজাচ্ছে আবার। এই বয়সে।কোনো মানে হয়!

-স্টুডিও-টা কোথায়?

-বেলিলিয়াস লেনের মুখে, পুরোনো বাড়িতে।

- আমি কি তবে ওখানে চলে যাব? একটুখানি তো এখান থেকে!

- তুমি বসো, আমি দেখছি।

মোবাইলে ফোন করলেন।

-কি ব্যাপার তোমার? আর্য-কে যে সময় দিয়েছ গল্প করবে বলে.... তা ও আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবে?

অন্যদিক থেকে কি উত্তর এল তা বুঝলাম না।

-হ্যাঁ তুমি এস। শিগগির।

আমার দিকে ফিরে বললেন,

-চলে এসেছে বলল। আর পাঁচ মিনিট। মনে আছে ওর, তোমাকে যে সময় দিয়েছে। কিন্তু আটকে গিয়েছে।

আমি মনে মনে ভাবলাম, আমার এরকম গুনীজনের স্নেহধন্য হয়ে আটকে থাকতে কোনো আপত্তি নেই। প্রতি পদে শেখার, জানার, ওনাদের কাছ থেকে।

দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন একজন সত্তর পেরোনো সাদা চুল-দাড়িতে ঢাকা শুভ্রকান্তি মানুষ।খুব আস্তে আস্তে কথা বলেন।

-আমার বড্ড দেরী হয়ে গেল, তাই না! কিছু মনে কোরো না ভাই আর্য। আমি কিন্তু দর বাড়াতে ইচ্ছে করে দেরী করিনি।

বলে নিজেই স্মিত হেসে আমার পাশে এসে বসলেন।

-   বল কি জানতে চাও।

-   আমি কিন্তু স্যার নেহাতই গল্প করতে এসেছি। আমি পেশাগত ভাবে ইস্কুল শিক্ষক। আর নিজের শখে কিছু কাগজ-পত্রে লেখালিখি করে থাকি।

-   কেন? টিঊশন পড়াও না?

-   না স্যার। ছোটবেলা থেকে স্বাধীন জীবনের স্বপ্ন দেখেছি। আমার পেশার প্রতি আমি একশ শতাংশ কমিটেড থেকেও টিঊশন না পড়ানোর জন্য, নিজের শখ-সাধ-আহ্লাদ সব বজায় রাখতে পেরেছি। একান্ত পেটের টান না পড়লে টিউশন আমি পড়াব না বলেই স্থির করেছি। নিজেই নিজের রাজা হয়ে দিব্বি চলে তো যাচ্ছে।

-   সাব্বাশ। চালিয়ে যাও।

-   যা জানার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আপনার কাছে ছুটে এলাম, তা হল আপনি-ই কি সেই নিখিলেশ যার কথা আমরা মান্না দে-র কফি হাউসের সেই আড্ডাটা গানে শুনে এসেছি?

-    একেবারেই তাই।

-   আপনি-ই যে তিনি সে বিশ্বাস আপনার হল কি করে? কফিহাউসে তো অনেক নিখিলেশ থাকতে পারে।তাই না।



একটু-ও রেগে না গিয়ে বললেন,

-   তবে শোনো, বলিষাটের দশকের গোড়ার দিক। অরুন বোস, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পি আচার্য এক্ষণ পত্রিকার সম্পাদক, সবাই মিলে আড্ডা হত। আমরা যেখানে বসতাম তার পাশে, দরজা দিয়ে ঢুকেই ডানদিকে দুটি চেয়ারে বসত শক্তি-সুনীলপুলক (বন্দ্যোপাধ্যায়) আর দেবাশিষ ব্যানার্জী ছিল আমাদের দলের বন্ধু।তবে ওরা নিয়মিত আসত না। বিলাল চৌধুরী-ও আমাদের দলের বন্ধু। তা ১৯৬৪ সালে হঠাৎ পুলক-দা এই কফি হাউস গানটা বাঁধল। তখন আমি শহরে নেই। দিল্লি-তে গিয়েছি আনিমেশন শিখতে। আর সেখানেই যত গন্ডগোল।সমাপতন গানের ক্ষেত্রে আর আমার নিজের কাছে ফ্যালাসি। প্যারিস থেকে ডাক পেয়েছিলাম চিঠিতে। সেটা কফি হাউসের আড্ডায় সবাইকে জানিয়েছিলাম।১৯৬৩ সালে পান্নালাল ইন্সটিটুশনে ১৬৭ টাকা মাইনের চাকরিতে যোগদান করি, ৫ টাকা ডি-এ। যা পেতাম তা থেকে বাড়িভাড়া দেওয়ার পর যেটুকু বাঁচত, তা খরচ করতে পারতাম না। কিন্তু তা আমার প্যারিস যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাই আর সেখানে যাওয়া হল না। সেটা আর কফি হাউসের কাউকেই জানানো হয় নি। ভাগ্য সেই সময়ে আমাকে দিল্লি-তে টেনে নিয়ে গেল। কফি হাউসের সবাই ভাবল, আমি বোধ হয় পাহ্রী মানে প্যারিস পাড়ি দিয়েছি।সেই সূত্রে গানটির কয়েকটি ছত্র আমাকে নিয়ে বাঁধা হয়েছিল।


গানের মধ্যে মইদুল ঢাকাতে…’-র মইদুল আর কেউ নন, বিলাল চৌধুরী স্বয়ং। গ্র্যান্ডের গিটারিস্ট গোয়ানিজ ডিস্যুজা সত্যিই একটি খ্রীস্টান গোয়ানিজ ছেলে, নাম মনে পড়ছে না, কারণ ও মাঝে মাঝে আড্ডায় আসত । ট্রিঙ্কাস-এ গিটার বাজাত আসলে। আমার সঙ্গে সময়ের মিল না হওয়ায়, হাতে গোনা কয়েকবার মাত্র সাক্ষাত হয়েছে। ১৯৬৬ সালে আবার ফিরত আসি কলকাতায়। দিল্লির স্প্রিং ডেল স্কুলের পার্মানেন্ট চাকরী, ৩৫০ টাকা মাইনে, সঙ্গে দেড়শো টাকায় ফ্ল্যাট, আটাচড বাথরুম সমেত, আমার কাছে অনেক বেশি পাওয়া। কিন্তু পারলাম না, টিঁকতে। আঁকার রসদ পাচ্ছিলাম বটে, কিন্তু মন ভরছিল না। ওখানেও আর্টিস্টস সোসাইটি ছিল। সুনীল দাস, জে-ডি টাইলার, ধীরাজ চৌধুরী-র মত মানুষরা ছলেন তার সদস্য। সবার কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলাম।



শুধু ছবি এঁকে যে পেট চলে না, তা আমার থেকে বেশি কেউ জানত না, বোধ হয়। কলকাতা তথা পৃথিবীবিখ্যাত স্কুল তখন সাউথ পয়েন্ট স্কুল। ১৯৭০ সালে সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। যে কাজটি প্রথমেই করেছিলাম তা হল, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট বিষয়টিকে ক্লাস এইট অর্থাৎ আপার প্রাইমারী লেভেল পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা।

১৯৭৩ সালে প্রথম ব্যক্তিগত এক্সিবিশন করি। নিমন্ত্রণ পত্র লিখেছিলেন কমলকুমার মজুমদার স্বয়ং। কাজ করে চললাম, থামলাম না।

-এই বয়সে নিজেকে এরকম সুস্থ রেখেছেন কি করে?

-সুস্থ?

আমার পিঠ চাপড়ে বললেন,

-১৯৯৩ সালের ২৪ সে ডিসেম্বর। হার্টে সাত-খানা ব্লক। চারবার বাইপাস, দুবার রিপেয়ার,স্টেন্ট, কিছু বাকি রইল না।

আমি অবাক। এরপর কতটা মনের জোর থাকলে মানুষ কাজ করে যেতে পারেন।জিজ্ঞেস করে ফেললাম, কি করে পারেন!!!


-বোধ হয় ১৯৭১-৭২ এর নকশালদের প্রভাব আমার মনে ছাপ ফেলেছিল, বেশ গভীর ভাবে। পরে বুঝেছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা আমাকে মানসিকভাবে কতটা কঠিন করে দিয়েছে, সৃষ্টির ক্ষিদে কিভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। জীবনের অন্যতম শক্তি যে শিল্প সৃষ্টির মধ্যে নিহিত আছে, তা আমার মনের মধ্যে এতটাই বিশ্বাস গড়ে তুলেছিল, যে তা আজও  আমাকে আমার পথ থেকে বিচ্যুত হতে দেয় নি।

-আপনার শিল্পচেতনাকে কোন ধরণের মধ্যে ফেলবেন?

-আমি অত নাম-ধাম নিয়ে চর্চা করি না। পৃথিবীর সমস্ত শিল্পীর প্রথম চাহিদা হল, সে একটি নিজস্ব কিছু তৈরী করবে। আর সেটাই হবে তার একমাত্র পরিচিতি। সেই ইউনিকনেস সবাই গড়তে পারে না। অন্যান্য শিল্পীদের প্রভাব থেকেই যায়। সবাই কি আর পাবলো পিকাসো, না কি ভ্যান খগ!

- হ্যাঁ,আপনার ছবি দেখে আমার মনে হয়েছে, পিকাসো-খগ-যামিনী রায়ের এক অদ্ভুত মিশেল।


- আধুনিক অঙ্কন-শিল্প এনাদের ছাড়া অসম্পূর্ণ।

- আপনাকে কোথাও একটা জ্যামিতি টানে।

- দ্য ভিঞ্চি-র অব্জেক্টিভ সাবজেক্ট জিওমেট্রি এক চিরন্তন সত্য যাকে উপেক্ষা করার কোনো জায়গাই নেই। পিকাসো সেটিকে নিজের মত দুমড়ে মুচড়ে যা করেছেন, তা পরম জ্যামিতি।

-সঙ্গে ইম্প্রেশনিসম

-একদম ই ঠিক বলেছ।

- আমাকে আপনার কালেকশনে যে পিকাসোর বই আছে পড়তে দেবেন?

- এ সব বই আর পাওয়া যায় না। তোমাকে এসে, এখানে বসে পড়তে হবে।

- আমি রাজি। আপনার আঁকা ছবির কপি পেতে পারি?

- ওঠ দেখি।


উঠলাম। খাটের নিচ থেকে বেরোলো এক বিশাল ট্রাঙ্ক। তা থেকে বেরোল একটি লিগাল মাপের সাইজের বাদামী খাম।

-   এই নাও তোমার জন্য। খুলে দেখ।

খুলে দেখলাম নিখিলেশ স্যারের আঁকা সেরা ছবিগুলোর একটি অনবদ্য সংগ্রহ, পোস্টার ফর্মে।

পায়ে হাত দিয়ে ওনাকে প্রণাম না করে পারলাম না।

 

-   বল, আর কোনো প্রশ্ন আছে তোমার?

-   হ্যাঁ, শেষ কবে কফি হাউসে গিয়েছেন?

-   শুনেছি রেনোভেশন হয়েছে।তার আগে শেষ গিয়েছিলাম।

-   কেমন লাগল? একা একাই কফি খেলাম। ব্ল্যাক কফি। কফি ঊইথ ক্রীম খাওয়া বারণ। সব একই রকম আছে। আড্ডা-টা নেই

-   কেউ চিনল আপনাকে?

-   খুব পুরোনো দু-জন বেয়ারা।


-   কেমন লাগল?

-   এই যে গেলাম, বেশ মজা হয়েছে মনে মনে যে যুবক বৃদ্ধ হয়েছে

-   কফি হাউস, সেই গান, আপনার নিখিলেশ দাস থেকে নিখিলেশ সান্যাল হয়ে ওঠা, এই নিয়ে এক কথায় কিছু বলতে চাইবেন?

-   কিছুতেই কিছু হয় না/ বাঁধাগুড়ির ময়ণা কামাক্ষা (চট্টোপাধ্যায়)-র লেখা দুলাইন। তুমি বুঝে নিও, নিজের মত করে।

 

এখন যখন ফেসবুকে দেখি কফিহাউসের নিউটাউনে কি বাড়-বাড়ন্ত, অনলাইনে সিট বুক করতে হয়, মনে হয় শিল্প যেন তার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবছে, কফি হাউস দৌড়চ্ছে, ইন্টেলেকচ্যুয়াল ছাপ বা ব্র্যান্ড-ইমেজ বেচে, আমি শিল্প নামক বস্তুটি ভিক্ষা মাগিয়া ফিরি, দাদা আমাকে বাঁচাতে দুটো পয়সা দিবে গো!

 


গত দুবছর ধরে নিখিলেশ স্যার শয্যাশায়ী। তাঁর কাজ থেমে গিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল নটার সময়ে এই অবস্থাতে আমাকে সময় দিয়েছেন।

 

ধন্য আমি ধন্য হে, পাগল তোমার জন্য যে…”

(আবার ধার করতে হল, পুলক-কাকুর লেখা গানের লাইন। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়  হাওড়ার সালকিয়া নিবাসী ছিলেন। ছিলেন আমার বাবার অন্তরঙ্গ বন্ধু। প্রতিবছর পূজোর সময়ে তিনি মুম্বাই থেকে শ্রী রাম ঢ্যাং রোডের পৈত্রিক রাজবাড়িতে আসতেন। আমি বাবার সঙ্গে যেতাম। সেই সূত্রে তিনি আমার কাকু।)

 

 

 

 

x

No comments: