চোখ খুলতেই আলো
বুঝলাম না ঠিক
রাত না দিন!
সামনে একটা দরজার মত কিছু,
ফাঁক দিয়ে একফালি আলো।
চোখ মুখ শরীর চাইছিল একটু জল,
অনর্গল।
অনেকটা পথ-
পথে কেন চলতেই হয়?
পথ নিজে কেন চলে না?
পথের কেন শেষ নেই...
শুধুই মিথ্যে শপথ
মেঝেতে হাত
ভর রেখে উঠতে গেলাম
দেখি
না-হজম ওগরানো তরলে পড়ে আমি।
পিচ্ছিলে পিছলে গেলাম
কাল পর্যন্ত এমন হয় নি।
আজই প্রথম--
কেন এত আলো?
ওই দরজা দিয়ে বেরোতেই হবে --
তবেই দেখতে পাব
গংগার ঘাট, পুরোহিত, ফকির, সাদা বস্ত্র, তর্পণ, অন্ধকার।
তুমি নেই।
তাই একাই না হয় দেখি।
তুমি নেই।
তাই দেখা বদলেছে।
তুললাম নিজেকে।
ফস্কালো না এবারে আর
এগিয়ে গেলাম।
আলোয় ভরা দরজার বাইরে
কিছুই ঠাহর হয় না।
এ আলোয় কানা আমি।
এ আলোয় বড্ড তেজ,
জানেন অন্তর্যামী।
চৌকাঠ পেরোতেই আবার গেলাম পড়ে--
কবর খোঁড়াই ছিল।
ঝলসানিতে দেখা যায় নি।
অদৃষ্ট সবই।
তুমি নিশ্চয়ই দেখতে পাবে
একদিন।
কোনোদিন।
সেদিন এসে মাটি চাপা দিয়ে দিও-
চিরতরে,
যেমন করে শেষ চিঠিতে...
বেশিদিন লাগবে না,
তারপর,
অন্ধকারে পচে-গলে যেতে...
লিখো
ভালবাসা বড় ভয়ংকর।
Sunday, 3 December 2017
একটি ভোর...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment