Friday, 27 September 2013

কি দেখলাম, গুরু!!!!!!


সিনেমার মত’- বটে!!!! সিনেমার থেকেও বেশ খানিকটা এগিয়েই। আমার কাছে চিরকালই সিনেমার থেকে নাটকের গুরুত্ব বেশ বেশিই। আর সিনেমা যখন মর্মস্পর্শী হয় তখন সেটাই আমার কাছে নাটকের এক ভিন্ন চূড়ান্ত রূপ বলেই যেন ধরা দেয়। আর নাটক যখন স্টেজে সিনেমার মত হয়ে ওঠে, তখন তো আর কথাই নেই। আড়াই ঘন্টা চোখ ফেরানো যায় না স্টেজ থেকে।কখনও মনে হয় না, কখন শেষ হবে। ব্রাত্য বসুর ‘সিনেমার মত’ দেখে তার পরের দিন আমি আমার সবথেকে কাছের মানুষনটিকে জানালাম যে তখনও আমি নাটকটির অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারিনি। লিখতে বসে উঠে পড়েছিলাম। আমার ছেলে আমাকে প্রায়-ই বলে নাটক বা সি্নেমার বিশেষ দৃশ্য দেখে সে emotional হয়ে পড়ে।ওর কাছ থেকেই প্রথম শিখেছি, যে কোনো বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হলে এই emotional spell-টুকু সবার আগে কাটিয়ে ওঠা দরকার।উঠলাম কাটিয়ে।বসলাম লিখতে।

দেখতে দেখতেই বেশ কিছু ব্যাপার চোখে পড়ল। বহুবার পিছন ফিরে সংলাপ বলা, যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। হঠাৎ ‘তৃণমূল’ সম্পর্কে একটি বিচ্ছিন্ন সংলাপ, বাদ দিলে বিশেষ কিছু ক্ষতি হত না। বেশ হাততালি পেল বটে সংলাপটি, তবে কেন পেল, আমার গোদা মাথায় পরিষ্কার হল না। আর স্লাইডে সিনেমার ক্লিপিং দিয়ে যে metaphor এর আবহ তৈরী করার কথা ছিল, তার বদলে DELL-এর নোটবুকের হোমস্ক্রিন, বারংবার বেশ অসহ্য। কলকাতার বুকে দেড়শ’- দু’শ টাকার টিকিটের নাটকে এরকম ত্রুটি কোনো যান্ত্রিক গোলোযোগের দোহাই দিয়ে ঢাকা যায় না বোধহয়। হয়ত অল্প বয়স বলেই উদ্ধত নায়কের শ্লীলতাহানীর দৃশ্যে অসহায় মেয়েটি বাড়ির বাইরে যাওয়ার উন্মুক্ত দরজার সামনে দাঁড়িয়েও পালিয়ে না গিয়ে অনেক  দূরে স্টেজের শেষ প্রান্তে bedroom-এ আশ্রয় নিলেন; দৃশ্য অনুযায়ী তাঁকে raped হতেই হত, তাই।

গল্পটা শুরু থেকেই বেশ নাটক নাটক ছিল। ধরা যাচ্ছিল, সময়ে সংলাপ বলার তাগিদ, চোখে পড়ছিল সংলাপের সঙ্গে নিজেদের ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে অতি-অভিনয়ের অঞ্চলে প্রবেশ। তবে বেশ দেরিতে ট্র্যাজিক নায়কের আগমন আর তাঁর সাবলীল অভিনয়, বাকি সবাই-কে আরও সহজ করে তোলে। যত সময় পেরিয়েছে, নাটক আর নাটক থাকেনি। সিনেমার মতই স্বপ্নালু হয়ে উঠেছে নায়কের শানিত প্রতিভাবান অভিনয়শৈলীর ছটায়।

বাকিটা যাঁরা লিখে খান, তাঁদের জন্য ছেড়ে রাখলাম।

 

Saturday, 21 September 2013

সিংহবাহিনী


চোখের পাতায় স্ক্রাবার মেজে ঘষে
কাবার হলো তুলোর মত দিন
জিন্স-টিশার্টে রোদ্দুর ক্যামেরাতে
পাকড়াও চলে ম্যানুয়াল ক্লিকিং

কোলে-কাঁখে আজ ভরে আছে ল্যাপটপ
আমিও আলোর ছায়াপথ মেখে ছবি
ক্যানভাস ছেড়ে আদাড়ে-বাদাড়ে ঘুরে
একা হয়ে ওঠা প্রস্তর এক কবি

সে কোন ভোরেতে কেটেছিল শৈশব
নিজেকে চেনাও তোরই আয়নাতে
ব্যান্ডেজ বাঁধা ক্ষতের গভীরে স্মৃতি
চাঁদের কপালে টিপ তোরই বায়নাতে

আজও আছে পড়ে আমার জংলীয়ানায়
পশুর চোখেতে তোর ছবি নিষ্পাপ
আগুনে গলানো সোনার মুরতি তুই
তোর কঠিনেতে নেই মোর কোনো ছাপ

আমার নরমে তোর কঠিন মন
জানিস আজ আর নেই তার কোনো খোঁজ
তবুও কোথাও আমার সৃষ্টি খোঁজে
ফ্রেমে বাঁধানো সে অনুভূতিটুকু রোজ

শাইলক বসে শানছে বুকেতে ধার
চকচকে চোখ নেমেছে বুকেতে আজ
মুকুটে পালক পরা যে তোকে চেয়ে
তুই হবি দেবী, আমি তোর পশুরাজ

Wednesday, 11 September 2013

আমি ও গোলাপ


স্থির
হরধনুর ছিলায় পড়ে টান
নীড়
ভঙ্গুর হয়ে ভাসে প্রেমের সোপান
রাত
বুকে প্যাঁচা হয়ে অধীর বাসনার
সাত
সমুদ্র নদী তেরো পারাপার
কথা
কত অশ্রু-ভেজা নিঃশব্দ বাসর
ব্যথা
শত হাজার কোটি নিযুত পাথর
লতা
গুল্ম-সাথে মিতালী পাতায়
বিধাতা
ক্লিষ্ট হেসে বিরহের গান গায়
তুমি
গোলাপ-সম পেলব বিভাস
আমি
তোমার মুকুটে খ্রীষ্টের ইতিহাস