Thursday, 26 July 2012

কালপেঁচা




কালপেঁচা নাকি দুর্ভাগ্য বয়ে আনে!

আমার সত্ত্বার সংকটে সে-ই কিন্তু

রোজ একটা একটা করে খড়কুটো দিয়ে

আমার নিশ্চিন্ত পরম আশ্রয় দিয়েছে গড়ে।

খোঁজও নিইনি কোনোদিন,

তার গা থেকে ক’টা পালক খসল,

বা রাতজাগা চোখে নিজের একাকীত্ব

তাকেই শিকার করল কিনা।

তবু আমি নাকি ‘নিরাশাবাদী’।

এই তো কেমন ভেঙ্গে দিই সব নতুন ক’রে গড়ার আশায়-

তার পালকের নরম ওমে আমার বুভুক্ষার নিবৃত্তি হয়।

আবার আমি সমাহিত হই সাদা লক্ষীপেঁচা হয়ে।

তবু কেন বলে?

Thursday, 12 July 2012

শেষকৃত্য


সন্ধ্যাবেলায় জানালায় বসে দিগন্তরেখার ভ্রম।

মন-কে বললাম, তোর প্রিয় তিনটে শব্দ খোঁজ –

বিষ

সাপ

ছোবল।

শরদিন্দুর রহস্য গল্প

না কি জেমস জয়েসের ‘ইউলিসেস’;

আবার ফ্রয়েডীয় স্বপ্নও হতে পারে।



স্মার্ট ফোনে যখন আঙ্গুলের ডগায় সৃষ্টির ধ্বংসলীলা নিয়ে

খেলাঘর গড়ি, আমার নিশ্চিন্ত অবকাশে,

তখন নিজেকে মনে হয় পাড়ার জিমখানায় হারকিউলেস।



সর্বনাশ পদ্মনাভ হয়ে অনন্ত শয্যায়।



আমি নাকি নাস্তিক!

নিজের বিশ্বাসকে ঈশ্বর মেনে চলা

ধর্মভীরূ কীট।

আমার ধর্ম এখনো জানি না।

শুধু জানি, অন্যেরা জানে –

আমার অকালমৃত্যুতে চিতায় জ্বালাবে আমাকে।

আবরণ


নিরন্তর শূন্যতায় শুধু তাকিয়ে বসে থাকা।

শুঁয়োপোকা দর্পে হেঁটে যায় পাঁজরের ওপর দিয়ে,

খুঁজে নেয় পচা-গলা শরীরে প্রবেশের পথ –

প্রজাপতি হবে কবে রঙ্গীন ডানা মেলে –

কত্ত দিনের স্বপ্ন।

চারিদিক নিমোক ঢেকে যায়।