1990 সাল। আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্র৷ যে স্কুলে পড়তাম সেটি খুব সাধারণ মানের একটি বাংলা মিডিয়াম স্কুল ৷ আর তার ওপর আমি আমি আবার অতি সাধারণ মানের ছাত্র। আমার বাবা-মা আমাকে রকেট সায়েন্টিস্ট হিসেবে প্রাইমারী ক্লাস থেকে দেখতে চান নি। ফলত: ওই স্কুলে স্যারেদের মার্-ধর খেয়েও শৈশব-কৈশোর সবই বেশ দিব্বি কেটেছে। কারণ সেই মার-ধর গাধা-পিটিয়ে মানুষ করার সামিল। তাঁদের নিজেদের সন্তান যদি গাধা হত, আমাদের-ই মত, ফেলে দিতে পারতেন কি? ফলে সে সব মার-ধরের আড়ালে ছিল স্নেহ-মমতা ও গভীর ভালবাসা।
স্কুল ছুটি থাকলে মন খারাপ হয়ে যেত। তখন আমাদের স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল হয় পদব্রজে, না হলে বাসে। আমরা তখন সালকিয়ায় থাকি। আর স্কুল ছিল বেলুড়ে। তাই আমাকে রোজ বাসে করেই স্কুলে যেতে হতো। যেদিন বাস্-ভাড়া দিয়ে ঘুগনি-ফুচ্কা বা চুরণওয়ালার থেকে ছোটকুল খেয়ে ফেলে পয়সা শেষ হয়ে যেত, তখন চার কিলোমিটার পথ হেঁটেই ফিরতে হত।
হাওড়া থেকে বালিখাল পর্যন্ত চলত ৫৪ রুটের বাস। তাতে করেই রোজের যাতায়াত। বালিখাল হচ্ছে হাওড়া জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত দক্ষিণেশ্বরের ঠিক উল্টোদিকে অবস্থিত একটি খাল যা হাওড়া আর হুগলী জেলাকে যোগ করে। ওই খালটি পেরোলেই শুরু হয়ে যায় হুগলি জেলা। ব্রীজ থেকে অপর প্রান্তে হুগলী জেলার দিকে নামলেই রয়েছে বিখ্যাত জেলা স্কুল-- উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। স্কুলটি হুগলীতে হলেও, হাওড়া জেলা থেকে বহু ছাত্র সেখানে পড়তে যেত। ফলে আমার থেকে বড় বা ছোট, মানে দু -এক ক্লাস উঁচু-নিচুতে পড়ে এরকম অনেকেই ওই ৫৪ নম্বর বাসে করে রোজ উত্তরপাড়া স্কুলে যেত।
তখন সরাসরি সরকারি ইস্কুলের ব্যাপারই ছিল আলাদা। যেমন হাওড়া জেলা স্কুল, উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, কলকাতার হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুল, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল, ও আরও অনেক বিদ্যালয় ছিল আমাদের রাজ্যের প্রাঈম ইন্সটিটিউটগুলোর মধ্যে অন্যতম ও এ রাজ্যের গর্ব। ফলে এই স্কুলের ছাত্রদের দেমাক-ও ছিল বেশ। ওরা কোথাও যেন একটা আমাদের মত সাধারণ সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের নিচু চোখে দেখতো। এই নিচু চোখে দেখার মধ্যে একটি বিষয়, যখন স্কুলের রেজাল্ট বের হতো, বেশ প্রকট হত, প্রত্যেকবার। প্রায়ই শুনতাম গর্ব করে তারা বলে,
-- হ্যাঁ তোরা তো অংকে নব্বই একশো কত কিছু পাস! আর আমাদের স্কুলের ফার্স্ট বয় অঙ্কে ১০-১৫-র বেশি তুলতে পারে না।
-- সে কি রে? কেন?
-- জানিস আমাদের অংকের স্যার হচ্ছেন ম্যাথস অলিম্পিয়ডের কোয়েশ্চেন সেটার। -- তবে তো তোদের আরো চিন্তারই কোনো কারণ নেই। তোরাও অঙ্কে দারুণ হবি।
-- আরে দূর! ওনার প্রশ্ন এমনই কঠিন হয় যে তাতে ১০ এর বেশি যে পায়, তাকে লোকে দেবতা-জ্ঞানে পুজো করে। আর ২০-র বেশি যদি কেউ পেয়ে যায়, তখন তার জন্য আবার আলাদা পরীক্ষা...
-- বলিস কি রে!
-- হ্যাঁ রে যতক্ষণ না তাকে দশের নিকে নামাচ্ছে, ততক্ষণ ওনার মনে শান্তি নেই। এখন এমন অবস্থা যে কেউ আর ভয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দেয় না, যাতে দশের বেশি না ওঠে।
গল্প করে বললাম বটে। কিন্তু এর ভালো-খারাপ, অনেক দিক আছে।
এখন আমি নিজে পেশায় শিক্ষক। অনেক কথা বলতেই পারি। কিন্তু সত্যি বলতে তখনও আমার মনে একটাই কথা ভাসতো। বলতে সাহস পেতাম না -- যে হতে পারে উনি খুবই প্রতিভাবান কিন্তু শিক্ষক হিসেবে উপযুত্ক নন। ছাত্রদের হীন-দুর্বল প্রতিপন্ন করা ওনার মানসিক রোগ। উনি গণিতের শিক্ষক হয়ে যদি ওনার ছাত্রকুল ওনার বিষয়ে পাশ না করে, তা হলে উনি যে যোগ্য শিক্ষক হিসেবে একজন আদ্যন্ত ফেলিওর, তা ওনাকে কে বোঝাবে!
মনে হত, এ কি রকম শিক্ষক যে খুব ভালো মেধাবী ছাত্রদের এই রকম শিক্ষা প্রদানের নীতি নেন সবসময় এটা বোঝানোর জন্য যে -- তুমি কিছুই জানো না, আর তোমার দ্বারা কিছুই হবে না।
যখন 'থ্রি ইডিয়টস' তৈরি হয়েছে তখন সারা ভারতবর্ষের লোক মনে করেছেন যে হ্যাঁ এই ধরনের শিখন পদ্ধতি ঠিক নয়। কিন্তু ওই মনে হওয়া পর্যন্তই। তা সত্ত্বেও শুধু ডাক্তারী ইঞ্জিনিয়ারিং এর চান্স পাওয়ার জন্য কোটা শহরে কি চলছে, তা সবাই দেখছেন, শুনছেন, আর ভাবছেন যে ও সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সারা ভারতে প্রত্যেক বছরে শুধু ৩০ হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে পড়াশোনার চাপে।
যখন কোন বাবা-মা খুব আক্ষেপের সুরে বলে বসেন যে,
-- জানো আমার ছেলে বা মেয়ে অমুক স্কুলে পড়ে। সেখানে কি চাপ, কি বলবো! মাথা তোলার সময় নেই। সারাদিন শুধু পড়া আর পড়া! আমরা তো বিয়েবাড়ি-টিয়েবাড়ি যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছি।
আসলে ওই আক্ষেপের মধ্যে যে প্রচ্ছন্ন গর্বের ফানুস লুকিয়ে আছে তা কি আর বলে বুঝিয়ে দিতে হয়! ঐ চাপ-টা যদি অভিভাবক্-রা চান্, তাহলে স্কুল-ও সৈ মতই চলবে। ছেলে বা মেয়ে কোন স্কুলে পড়ে সেটা এখন একটা স্টেটাস-সিম্বলের মধ্যে পড়ে।
ফলে সরকারী নিয়ম-নীতি মুখ থুবড়ে পড়ে।
সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং যত শিক্ষাবিদ পরে এসেছেন সারা পৃথিবীতে এখন মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ও প্রাথমিক শিক্ষা অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্ট্রেস কমানোর জন্য বইয়ের ব্যাগের ওজন কমাতে বলেছেন।সরকারি বিদ্যালয় সেগুলোর প্রয়োগ করছে, কিন্তু এর ফলে বেস লাইন এত নীচে নেমে গিয়েছে যে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের বাবা-মায়েরা সরকারী স্কুল বিমুখ হয়ে পড়ছে। বেসরকারি স্কুলে ব্যাগের ওজন কমানোর কোনো চিহ্ন্মাত্র নেই।উল্টে বরং ছাত্রদের যে পরিমাণ বইপত্র দেয়া হয় তাতে তাদের ব্যাক-প্যাকও যথেষ্ট নয়; ছোটখাটো স্যূটকেস দিলেই ভালো হয়।
ফলে একদিকে বেসরকারি ব্যবস্থায় চলছে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার রমরমা আর অন্য দিকে সরকারি স্কুলের দৈন্যদশা। ক্লাস এইট পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দেওয়া হয়েছে। যে পড়ছে, আর যে পড়ছে না, তাদের কোন ফারাকই থাকছে না। ফলে যারা ভালো, তাদের মধ্যে থেকে নিজেদের মেধা ধরে রাখার তাগিদ যাচ্ছে হারিয়ে। তারা আর ভালোবেসে পড়ছে না। তারা দিশা হারাচ্ছে। ভেবে পাচ্ছে না কিভাবে নিজেদের মানকে ধরে রাখতে পারবে। শিক্ষা ব্যবস্থার পুরোটাই যখন শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়াকে তুলে ধরার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে, তখন সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বঞ্চিত হয় মেধা ও মেধার প্রাপ্য উপযুক্ত সম্মান। দেশটি ধীরে ধীরে নিজেকে মেধাহীনতার সাম্রাজ্যের দিকে ঠেলে নিয়ে চলেছে, যাতে অশিক্ষিত রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতার যাদুদণ্ড-টি থাকে।
আজকের নাটক "কাঞ্চনগড়ের কোকিল" আমাদের সেই একই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই নাটকে এক গণিতের শিক্ষক মশাইকে দেখানো হচ্ছে যিনি ছাত্রদের ওই উত্তরপাড়া স্কুলের গণিতের স্যারের মত সবাইকে এক্শো তে দশ-পনেরো দেন আর মনে করেন যে স্কুল আওয়ার এর মধ্যে যতগুলি পিরিয়ড হয় তার মধ্যে সব পিরিয়ডের পাঁচটা পিরিয়ড শুধুমাত্র গণিতের জন্যই থাকা উচিত। বাকি বিষয়গুলো না পড়ালেও চলে। আগেকার দিনে ইংরেজি এবং অংকের শিক্ষকরা বেশিরভাগই এই ধরনের হতেন। তার কারণ এই দুটি বিষয় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কঠিনতম বলে মনে হতো। ইংরেজি এবং অঙ্কের শিক্ষকদের একটি উন্নাসিকতা চিরকাল প্রত্যেক বিদ্যালয় মধ্যে বজায় থাকতো। তাঁরা ভাবতেন যে অন্যান্য বিষয়গুলি যেন কোনো পাঠযোগ্য বিষয়-ই নয়। শুধু ইংরেজি আর অঙ্ক দুটো বিষয়ে পড়লেই তা একজন শিক্ষার্থীর মানুষ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে এই নীতি বা ধারণার সর্বই ভাবে ভুল হওয়া সত্বেও এই ধরনের মানসিকতা থেকে বেশ কিছু শিক্ষক আজ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি। প্রচেত গুপ্ত তাঁর গল্পের মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন| এই হাসির গল্পের সার্থক নাট্যরূপ দিয়েছেন রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী মহাশয়। 'শিল্পীসংঘ' আমাদের সকলের সামনে নাটকটিকে আপাত ভাবে একটি হাস্যরসাত্মক নাটক হিসেবে মেলে ধরলেও নাটকটির মধ্যে রয়েছে গূঢ় বার্তা। শিক্ষা-ব্যবস্থাকে পরিবর্তিত করার চেষ্টায় এক গভীর আবেদন। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই গণিতের শিক্ষক মহাশয় নিজের মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাত্রদের প্রিয় হয়ে উঠছেন। তিনি বুঝতে পারছেন শিক্ষা একটি সামগ্রিক ব্যাপার। সেখানে গণিত ছাড়াও বাকি বিষয়গুলো অধ্যয়নের প্রয়োজন আছে। শিক্ষা গ্রহণ সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলাই শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।
গল্পটিকে আকর্ষক করতে যখন নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে তখন বেশ কিছু জায়গায় নিছক হাস্যরস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে নাটককার আদিরসাত্মক কথাবার্তা রেখেছেন। কোকিল স্যারের ভূমিকায় কমল চট্টোপাধ্যায়ের মত কমেডি-অভিজ্ঞ মানুষের হাতে চরিত্রটি অসামান্য হয়ে উঠেছে। সে সব মোটা দাগের ডায়ালগে অডিটোরিয়াম হাততালিতে ফেটে পড়েছে বটে, কিন্তু একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ আমার সস্তা মনে হয়েছে। সেই শব্দগুলিকে হ্যামার করে যাওয়া আমার কাছে একটু অসভ্যতা বলে মনে হয়েছে, কারণ সেগুলি কোথাও একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের ইমেজ্-কে মানুষের মনে ছোট করে বৈ কি! হাস্যরস ও ভাঁড়ামোর পার্থক্য এখানে বোঝা দরকার। একজন শিক্ষক মহাশয় এই ধরনের ভাঁড়ামোয় নামবেন না, এটাই অভিপ্রেত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি স্পণ্ডোলিসিস্-এর কলার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু উত্তেজনার মুহূর্তগুলিতে তাঁর শারীরিক সাবলীল অভিব্যক্তি এই সন্দেহের উদ্রেক ঘটায় যে, আদৌ ওনার ওই রোগ-টি আছে তো? হয়ত সবার চোখে পড়বে না। কিন্তু আমার চোখে পড়েছে। নাটকের শেষে ছাত্রদলের বয়স বড়ই বেশি। আর কোকিল স্যারের ধোপদুরস্ত জামাকাপড় যেন আরো খানিকটা মালিন্যের দাবি রাখে। আলোক প্রক্ষেপণেও কিছু জায়গা বেশ কাঁচা।
তবে যে গল্পটি নিয়ে নাটকটি বাঁধা হয়েছে, তা সময়োপযোগী। বিশেষত: যারা স্কুল স্তরের ছাত্র-ছাত্রী, তাদেরকে নাটকটি অবশ্যই দেখানো উচিত। আর যাঁরা খুব কড়া শিক্ষক, তাঁদের এবং যে সমস্ত বাবা-মায়েরা নিজের সন্তান-কে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে তাদের বাস্তবের সাগরে অতলে তলিয়ে দেন, তাঁদেরকেও আমার অনুরোধ, একবার "কাঞ্চনগড়ের কোকিল" দেখে আসুন!
পরিশেষে, একজন শিক্ষক হিসেবে বলে যাই যে, কোন জিনিসের মান ধরে রাখার জন্য কিন্তু কাঠিন্যের প্রয়োজন আছে। তবে সেই কাঠিন্য, অত্যাচার নয়, বরং শিক্ষার্থীর মনে তা একটি ডিসিপ্লিন তৈরি করে দেবে, এমন। এমন হবে সেই ডিসিপ্লিন ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিজেরাই তা মানতে ইচ্ছুক ও পারদর্শী হয়ে ওঠে! সেই ডিসিপ্লিন তারা যাতে বয়ে নিয়ে চলতে পারে তার জন্য সার্বিক ভাবে তাদের প্রস্তুত করে দেওয়া হচ্ছে একজন প্রকৃত আধুনিক শিক্ষকের কাজ।
সবশেষে জানাই আমার ভ্রার্তৃপ্রতিম মিলন (মিলন ধাড়া)- Milan Dhara কে ধন্যবাদ। কারণ যেদিন থেকে ওকে পেয়েছি, আমি আর আমার ক্যামেরা নিয়ে নাটক দেখতে যাই না। সব জায়গাতেই ওর সাথে আমার দেখা হয়। ও কিন্তু এক কথায় আমাকে ওদের 'সৃষ্টি বাংলা' চ্যানেলের তোলা ছবি পাঠিয়ে দেয়। সৃষ্টি বাংলার উপর নির্ভর করে আমার 'নাট্য সমালোচনা'-ধর্মী লেখাগুলো সম্পূর্ণতা লাভ করে।
ধন্যবাদ জানাই, অয়ণ-কে, (যাকে লোকে 'সাহেব' বলে চেনে)। তার বার বার নিজের কাজের কোথায় খুঁত আছে তা জানার জন্য আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের মতামত-কে পাত্তা দেওয়ার জন্য।
আর সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই 'শিল্পীসংঘ' Shilpi Sanghaপরিবার ও শঙ্কর-দাকে Shankar Ghosh আমাকে নাটক দেখার জন্য নেমন্তন্ন করার জন্য।
নাটকের নির্দেশক-অভিনেতা কমল-দা কে অনুরোধ, আপনার সৃষ্ট এই প্রডাকশন-টার নামে চারটে কু-কথা একটু 'কুহু' করলাম বলে কিছু মনে করবেন না যেন!

No comments:
Post a Comment