Tuesday, 21 October 2014

খোলসা করে...



গায়ের মধ্যে সাপের খোলস
ব্যাঙের মতও বলতে পারো
ইতস্ততঃ শ্বেতীর দাগে
পাগলামী পোয়া বারো

কথার খেলাপ মাথার খেলাপ
খেলাপ কখন কাঁধের তিল
হৃদমাঝারে খেলাপ যেদিন,
আসমানেতে শকুন-চিল

পিঠের ওপর নির্জন শব
সাঁতরে পার গভীর ঝিল
বাঁ চোখেতে রক্তজবা,
দৃষ্টি হারায় অন্তঃমিল

ছায়ায় মায়ায় মায়ায় ছায়ায়
লুকোচুরির অস্ত্র শানায়
কিলবিলে সব সাপের ফণা
ছোবোল বুকের কোনায় কোনায়

দুলছে শহর দুলছে মন
দুলছে গোলাপ কাঁটা হয়ে
রক্তক্ষরণ ভোরের দিকে
সূর্যালোকে যাবেই সয়ে

নৈঃশব্দ শোলার মত
হালকা হলেও বড্ড ভারী
জ্বলে যখন ছাই হয়ে যায়
শবদেহটুকূ বইতে পারি

পান্তাভাত



মাটির মায়া কাটিয়ে সেদিন
যেদিন আমি পাষাণ হলাম,
তাজমহল ও তৈরী হল,
বাস্তবেতে স্বপ্ন গোলাম।

কারিগরের আঙ্গুল কাটা
আবার তাজের শঙ্কায়
নিজের ক্ষতে মাখছি নুন
পান্তা-পেঁয়াজ-লঙ্কায়…

নিশ্চিহ্ন...



আজ সন্ধ্যে নামার আগে গোলাপী রঙে কেমন চারিদিক ছেয়ে গেল! কনে দেখা আলো তো প্রায়-ই দেখি, কিন্তু গোলাপী? আমার চোখেও সেই কোন দুপুর থেকে ওই গোলাপী রঙ-ই লেগে আছে। অনেকটা ভয়ে, খানিকটা ভালোবাসায়। বারে বারে চোখ ধুয়েও মুছতে পারিনি সে রঙ। শেষে ভাবলাম, এ কি কাজল নাকি, যে ইচ্ছে হল, পরলাম, আবার ইচ্ছে হল, তুলেও দিলাম! তারপর থেকে সেই ছুঁয়েই আছি।

কি-ই বা আর পরব, জামা-প্যান্ট, জুতো ইত্যাদির তো কোনো অভাব নেই। বাড়ন্ত শুধু চাল আর ছুঁয়ে থাকা…ভরসা-কে।

প্রশ্ন উঠবে, ভরসা আবার কে রে! হুঁ হুঁ বাবা, জান তো না! ত্রিবেনী সঙ্গমে তিন নদীর মিলন ক্ষেত্রে গঙ্গা-যমুনা প্রকট। সরস্বতী, অন্তঃসলীলা…বিনুনী-র তিনটে ভাগের যেমন দুটো দেখা যায়, আর একটা না দেখা গেলেও, আসল বাঁধন সেখানেই, ঠিক সে রকম। মায়া, সেখানেই। কাটিয়ে উঠতে পারলেই, মহাপুরষ, অমর, অজেয়। কোনো পাপ-পূন্য আর ছোঁবে না।