ঠিক করেছিলাম বেশ
কিছুদিন আর বাংলা সিনেমা দেখব না।লোভে পড়ে অনেক আশা নিয়ে দেখতে গিয়ে বারে বারে আশাহত
হয়ে ফিরে আসার কোনো মানে হয় না। তার থেকে বাবা Main Tera Hero- মার্কা হিন্দি সিনেমা
দেখি, কোনো আশা তো নেই!
কিন্তু পারলাম
না। কৌশিক গাঙ্গুলীর রসায়ণ ডাক পাঠাল।সেই e-TV বাঙলায় তাঁর টেলিফিল্ম রাত জেগে দেখে
দেখে যৌবনের প্রথম আর মধ্যভাগ কেটেছে। অমোঘ টানে দেখতে গেলাম ‘অপুর পাঁচালী’। ‘শব্দ’
মিস করেছিলাম। ভয় হল, হাওড়া শহরে হিন্দি সিনেমার প্রবল ঢেউ-এ এক সপ্তাহের মধ্যেই না
ভেসে যায় দিনে দুটো মাত্র শো।যেতেই হল।
প্রথম দৃশ্য থেকেই
serious documentary-র ছাপ। সত্যজিৎ রায়ের তোলা ‘পথের পাঁচালীর’ ‘অপু’-র সঙ্গে ‘অপু’
চরিত্রে অভিনেতা সুবীর ব্যানার্জীর বাস্তব জীবন-কে সাদাকালোয় বেঁধে, তাঁর বর্তমান জীবন-কে
রঙীনে ফেলে যে timeline-এর সুচারু ভাগ করা হয়েছে, তা দেখে বিস্মিত হলাম। অবশ্যি বোধাদিত্য-র
অসামান্য বোধ ছাড়া এই মাপের editing সম্ভব ছিল না।
আর অবাক হলাম দর্শকদের
ফিসফিসে মন্তব্য শুনে।World’s most famous child actor অপুর 'পথের পাঁচা্লী' দর্শক কতটা
frame to frame মনে রেখেছেন তা আশেপাশের ভুলভাল বিজ্ঞ মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার।
আর আমার কাছে পরিষ্কার
কেন সত্যজিৎ সত্যজিৎ।কৌশিক গাঙ্গুলী অসাধারণ পরিচালক। তবে হেরে গেলেন এখানে। ইচ্ছে
করেই যেন। সত্যজিতের তোলা পথের পাঁচালীতে অপুর জীবনের milestone shots আর বাস্তবে সুবীর
ব্যানার্জীর জীবনের resembling shots-এর contrast ইচ্ছাকৃতভাবে পাশাপাশি রেখে। রঙীন
অংশে যা রয়েছে তা না থাকলে ছবিটা পুরোমাত্রায় একটা documentary-ই হত।
সিনেমাটা দেখে
বেরিয়ে একটাই অনুভূতি হল – আবার যদি আজই ‘পথের পাঁচালী’-টা একবার বড় পর্দায় দেখতে পারতাম…!!!!!
আর আক্ষেপ?...আসল সুবীর বাঁড়ুজ্জে-কে দেখাই হল না...একবার-ও...
আর আক্ষেপ?...আসল সুবীর বাঁড়ুজ্জে-কে দেখাই হল না...একবার-ও...

No comments:
Post a Comment