মাস্টারদা সূর্য সেন: The Exdetenue: Show Review

 

প্রথমেই বলে রাখি যে নাটক আমি নিয়মিত দেখি বটে কিন্তু এই নাটকটা শুধুমাত্র দেখে দেখতে গিয়েছিলাম একটাই কারণে যে সেটা কল্লোলের লেখা। কল্লোল আমার বাল্যবন্ধু কাম স্কুলফ্রেন্ড। 

 কল্লোল লাহিড়ী একটি অতি পরিচিত নাম, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে। হেন দিক নেই যে ও বিচরণ করে নি। ডকুমেন্টারি, ফিচার ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, কোনোটাই বাকি নেই। সাথে আছে নিরন্তর লেখা। অনবদ্য গল্প লেখক ও ঔপন্যাসিক। একাই একটা ব্র্যান্ড নেম, আর কি! 

সেই কল্লোল লিখেছে নাটক। ভাল তো হবেই জানতাম। কারণ যে ছেলে অনবদ্য স্ক্রীপ্ট লেখে, তার হাত দিয়ে কি ধরণের নাটক বেরোতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

কিন্তু শুধু লিখলেই নাটক, নাটক হয় না। লেখাটা একটা স্ক্রীপ্ট মাত্র। আর সেটা নাটক তখন ই হয়ে ওঠে যখন সেটা মঞ্চস্থ হ‍য়। আর কালোল্লের লেখা এই কঠিন নাটককে বাস্তবে মঞ্চস্থ করেছেন যিনি, তাঁর নাম, অনমিত্র খাঁ। আমার থেকে বয়েসে অনেক জুনিয়র। নাটকের বিশ্লেষণে যাওয়ার আগে বলে রাখি যে নাটক শেষে মনে হল, এক ঝাঁক উড়্ন্ত বাজপাখি অনায়াস উল্লাসে বাংলা থিয়েটারের ব্লু-ব্লাডের মানচিত্র-টা বদলে দিতে চাইছে। 

স্যালুট!!! কমরেড!!!

এবারে সবথেকে কঠিন প্রশ্ন, ভালটা আগে বলব না খারাপটা।  তবে মোটামুটি সব মিলিয়ে যেটা বলা উচিত যে নাটকটা অবশ্যই ভাল। ১০শে ৮ দেওয়াই যায়। কিন্তু তার সঙ্গে যেটা মনে হয়েছে, বার বার, সেটা হচ্ছে দু'ঘণ্টা পঞ্চান্ন মিনিটের  নাটকটিকে দু'ঘণ্টা বা দু'ঘণ্টা পনেরো মিনিটে নামিয়ে আনাই যেত। উচ্চতার দিক থেকে সেকেন্ড হাফটা  ফার্স্ট হাফের সাথে একেবারেই এক্কেবারেই মেলে না।  অকারণে স্ট্রেচড বলে মনে হয়েছে অনেক জায়গাতেই। 

উচ্চতার কথা যখন এলো তখন এই কথা বলে রাখি যে নাটকটা শুরুর প্রথম ১৫-২০ মিনিট ছড়ানো ছেটানো। কেমন যেন চেষ্টা করছে গল্পটা নিজেকে গুছিয়ে তুলতে, কিন্তু কিছুতেই সেই tight knit ব্যাপারটা আসছে না। প্রায় ৪০ মিনিটের মাথায় এসে নাটকটা একটা definite shape and direction পেল। তবে যা দর্শককে একদম শুরু থেকেই সিটের সঙ্গে বেঁধে রাখে তা হল অসাধারণ আলো এবং stage management and presentation। এই ক্ষেত্রগুলো এত neat and clean যে জাস্ট  চোখ ফেরানো যায় না। গল্পটা আস্তে আস্তে একটা বাঁধুনি পায়। সেই বাঁধণ এমন যে দর্শক সম্পূর্ণরূপে ভুলে যায় যে তারা স্টেজে নাটক দেখছে। 

নাটকের শুরুতেই বলা হয়েছিল যে নাটকের শেষে কলাকুশলীদের নাম বলা হবে না। কোন কার্টেন কল নেই। তাই কাদের অভিনয় মন কাড়ল সেটা আলাদা করে বলা কঠিন বৈ কি! মাস্টারদা তো অবশ্যই কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং উনি ভালই করেছেন।  কিন্তু তার বাইরে যাঁদের চরিত্রাভিনয় সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, মানে হল গে, outstanding, তাঁরা হচ্ছেন মাস্টারদার বিরুদ্ধে মোটা পেটুক সাহেবে  চরিত্রে অভিজিৎ সরকার আর নির্মলের চরিত্রে ভাস্কর বণিক। আর খুব স্বল্প হলেও মায়ের চরিত্র ও পিসির চরিত্রও বেশ বলিষ্ঠ। ওইটুকু সুযোগে ওই দুই মহিলা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অভিনয়ের ক্লাসটা। কল্পনা-র চরিত্রে প্রীতিকাও কিছু কম নন। ঠিক তেমনি প্রীতিলতার চরিত্রে অদৃজা বসাক।

কিন্তু সেকেন্ড হাফে নাটককার কেন হঠাৎ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের পিছনে পড়ে গেলেন এবং মাস্টারদার মূল গল্পটা গুরুত্ব হারাতে আরম্ভ করল তা ঠিক মাথায় ঢুকলো না। 

এটা বলা ভারী বিপজ্জনক যে "এটা আমার মাথায় ঢুকল না"। অকপটে এই স্বীকারোক্তির বিনিময়ে ভায়োলেন্ট ট্রিটমেন্ট পেয়ে এসেছি। ইস্কুলে স্যারেরা রেগে যেতেন, মারধর করতেন। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে স্যারেরা উচ্চ মানের টিটকিরি করতেন। এখন যাঁরা ছবি, নাটক তৈরী করছেন, কবিতা লিখছেন, ছবি আঁকছেন বা অন্য কোনো শিল্পকর্ম করছেন, তাঁদের অনেকের কাজ 'ঠিক বুঝলাম না' বললে ট্রোল্ড হব। বুঝি, অনেক খেটে করেন, তারপর 'ভাল্লাগছেনা' বললে রাগ হয়। ফলে, ক্রিটিসিজম নিতে পারেন না।

আমি এরকম অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি যখন বলছি যে "মাথায় ঢুকলো না" তখন উল্টে আমাকেই চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, ট্রোলড হচ্ছি, যে এই এত সহজ জিনিসটা মাথায় ঢুকলো না কেন? আমার বোধহয় থিয়েটার সিনেমা বা অন্য আর্ট ফর্ম নিয়ে কিছু বলা বা লেখাই উচিত নয়। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেশিরভাগ দর্শকই আমার সাথে সহমত পোষণ করেন। শুধু বলতে পারেন না। আমি বিশ্বাস করি যখন কোন নাটকের কোন অংশ আমার মত একজন সাধারন মানুষের বোধগম্য হয় না, তখন ধরে নিতে হবে যে সাধারণ মানুষের কাছে তা বোধগম্য ছিল না। আমি হঠাৎ করে নিজের গাঁটের কড়ি খরচা করে ভাল কিছু দেখতে এসে তাদের নামে অকারণ কুৎসা রটাতে যাব কেন! 

 কিছুদিন আগে ঘটল, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় হেব্বি স্টারকাস্ট করে আধুনিক জুলীয়াস সীজার বানালেন স্টেজে। সবই ক্লাসিক্যাল রাখলেন। আড়াই ঘন্টার ওপর ধরে পুরো জিনিসটাকে গড়ে তুললেন। তারপর সীজারের অকস্মাৎ মার্ডারেই নাটকটি শেষ হয়ে গেল।  সীজারে অ্যান্টনির স্পীচ-ই যদি  না থাকে সে নাটককে সীজার বলে মানবেন ক' জন আমার সন্দেহ আছে। জুলীয়াস সীজার নাটকের প্রাণভোমরা সীজারের মার্ডারের পর, অ্যান্টনির স্পিচে। আমার নাটকটি নিয়ে বক্তব্যে এই সারকথাটা লেখার জন্য কমলেশ্বর বাবুর এক চাটুকার আমাকেই বিদ্যেবুদ্ধিহীন বাবুমশায় বলে দেগে দিলেন। খুব হাসলাম মনে মনে। ভাবলাম এতে আমার, শেক্সপীয়রের, সীজারের বা অ্যান্টনির কিছু যায় আসে না। মূর্খ, পাগল আর মাতালদের সাথে কোনোদিন কথা বাড়াতে নেই! ফলে ওই নাটকটির কথা আর বিশেষ শোনা যায় না। 

 আশাকরি সেই পরিস্থিতি এখানে হবে না কারণ এই নাটকটি নিয়ে কুৎসার কোন প্রশ্ন নেই। যা বলছি, একজন সাধারণ দর্শকের চোখ দিয়ে দেখা অভিজ্ঞতার কথা মাত্র। কে কিভাবে নেবেন, তা অবশ্যই ব্যক্তিগত, আমার মতামতের মতই। 

নাটকটি ফার্স্ট হাফে যে উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছালো তারপরে কিন্তু সেই ব্যাপারটাই ধরে রাখতে পারল না। ভেঙে পড়তে লাগল ভিতটা। দর্শকদের একটা চরম প্রত্যাশার জায়গায় পৌঁছে দিল প্রথমার্ধে ওই কালীপুজোর সিন। কিন্তু সারা নাটক জুড়ে আর সেরকম হল না। যুদ্ধের দৃশ্য, তেরঙ্গা তোলার দৃশ্য, শেষে সবাই যখন মঞ্চ জুড়ে দাঁড়ালেন, সে সব বড় নিখুঁত, এবং রক্তে স্রোত তোলে। কিন্তু কালীপুজোর মত আর হয় না। অনেকদিন চোখে লেগে থাকবে ওই দৃশ্যটি।

তবে এটা অনস্বীকার্য যে throughout অপূর্ব আলো, অপূর্ব মঞ্চ সজ্জা, অপূর্ব করিওগ্রাফি!!  

শুভঙ্কর দে-র কাছ থেকে পুরো নাটক ধরে আলোর যে ব্যাপ্তি শিখলাম তা বহুদিন ধরে মনে রাখব। আমাদের স্টেজে এই ধরনের আলোর কাজ কিন্তু বেশ rare।  

নাম করতেই হয় দীপাঞ্জন দে আর সৌভিক চক্রবর্তীর অসাধারণ মঞ্চ সজ্জার জন্য। প্রপসের ব্যবহার নাটকের একটি দৃশ্য চলাকালীন দৃশ্যান্তরে যাওয়ার অনবদ্য প্রস্তুতি দৃষ্টান্তস্বরূপ। 

 যদিও গল্পটা মাস্টারদার ও চট্টগ্রাম উত্থান এবং জালালাবাদের মর্মন্তুদ কাহিনী নিয়ে,  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রসঙ্গে ওভাবে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় নাটকটি মধ্য গগনে খানিকটা দিশাহীন হয়ে পড়ে। আবার ছন্দে ফেরে । কিন্তু ততক্ষনে দর্শকের ঘোর কেটে গেছে। যাই হোক না একেবারেই বলছি না ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক বা একদম হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।  শুধু বার বার মনে হয়েছে প্রসঙ্গটি আরো মেদহীন এবং টান টান করা যেত। মূল ধারা থেকে এতটা detour, if not diversion, - এ চলে যাওয়া কিন্তু নাটকটার প্রতি ঠিক জাস্টিস হল না। 

 মাস্টারদার গল্প বলতে গেলে কমপ্লিট গল্প।  নাটক বলতে গেলে কিছু খামতি থেকেই গেল, কয়েকটি দিক থেকে। 

রাখলাম সম্পূর্ণ কাস্টলিস্ট আর ব্যাকস্টেজে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের নাম:

MASTERDA: THE EXDETENUES

CAST

Pritilata Waddedar : Adrija Basak

Surya Sen : Tathagata Chaudhuri

J. R. Johnson : Avijit Sarkar

Trevor Morsehead : Swapnadip Adhikary

Ananta Lal Singh : Sanny Barik

Ganesh Ghosh : Spandan Saha

Ambika Chakraborty : Jahar Das

Nirmal Sen : Bhaskar Banik

Ananda Prasad Gupta : Samriddha Srimani

Lokenath Bal : Adhiraj Ghosh Dastidar

Tegra Bal         : Spandan Muhuri

Kalpana Dutta : Pritika Das

Subodh Roy : Debrup Dutta Bhowmick

Himangshu Sen : Rudrajyoti Ghosh

Swadesh Roy : Soumyadip Daw

Balaram         : Soujatya Dutta

Monorama Devi : Indrani Ghosh Nath

Tukun : Shinjini Debnath

Alexander Barnett : Satrajit Sarkar 

Benjamin Ferrera : Souradeep Banerjee

Katherine Ferrera : Dishari Mukherjee

Pulin Ghosh/Simmons : Abinash Roy

Ardhendu Dastidar : Richik Nath

Motilal Kanungo : Aditya Banerjee

Sukhendu Das/Wasim : Samriddha Ganguly

Naresh Rai/Guide : Sounav Dutta

Wilkinson/Old Ganesh Ghosh : Prabir Das

Melissa Wilkinson : Swaragiti Modak

Evelyn Wilkinson : Gitasree Chakraborty

Old Subodh Roy : Asish Kumar Khan

Santi Ghosh : Gitanjali Mondal

Prabhash Bal/Officer with Barnett : Deep Kundu

Tripura Sen/Trilochon : Sayantan Ghosh

Madhusudan Dutta : Riddhiman Biswas

Jatindranath Das : Bishnu Bose

Aagami         : Arnab Saha

Sentry : Jeet Mondal, Subhadeep Mazumder

Others : Trisha Chowdhury, Ishita Debnath, Sampa Muhuri

Boy who bears the Union Jack : Ankan Saha

CREDITS

Direction         : Anamitra Khan

Dramaturge : Kallol Lahiri 

Light Design : Subhankar Dey

Music : Amit Chatterjee

Background Score : Srijeet Raha

Lyrics : Rabindranath Tagore, Kazi Nazrul Islam, Debaloy Bhattacharya & Arnab Choudhury

Costume Design : Anjali Rajbanshi

Make-up         : Sheikh Israfil

Stagecraft : Dipanjan Dey & Saumik Chakraborty

Props & Requisition : Pradip Patra & Moni Bhadra Sahu

Choreography : Jahar Das & Anasua Goswami

Music Operator : Bandan Mishra

 

 

Alluring Almaty: Episode 2

 

Beshbarmek

The alarm on the mobile rang. 

It was 9 am in the morning. I woke up as a fresh warrior after the long dream of Alexander looking over the land of India. 

After the fresh-up concluded with a fresh shower in the cosy bath tub, I started to boil the eggs. Indrani started to butter the toasted pieces of bread.  We had managed to get some stuff like packaged drinking water, fruit juice, butter, sliced bread, iced tea, potato chips and some snacks from the store on the ground floor of the residential complex, last night. This obviously saves not only money, time, too. Because going out for just a breakfast will cost us at least an hour and a half. And things would not be in our hand early in the morning. So, this was better, at least that we had our own choices and we could bulldoze on time too. After having a healthy English Breakfast, we went off to the famous park of the city Panfilov Park. 

Temperature was near 15 degrees. The sun was a little blur.  Wind was low. Still, since we were out for the entire day, we did take ample protection to shield the cold. The cold was dry and chilling. 

The city roads near the locality where we had boarded was moderately busy. The public transport was more than sufficient and cheap enough. Mostly buses of different routes join together the different corners of the city. Calling Cabs are pocket friendly too, compared to Indian standards. Here one will need 'Yandex go' app to book a cab. 

The whole world started to appear strange when we started interacting with people to know little things. Thanks to Google Translate and the local SIM availed free from and activated at the airport!! We had a tough time to realize that Panfilov Park was located bang opposite to the road of our temporary residence. To realize that we walked half a kilometer and entered it from a different gate. 

Panfilov Park has its own history and pride. We were stunned by the visual beauty of the place which had started taking its attire of the season of fall -- the background of the spotless blue firmament was an apt backdrop to highlight the sunlit basics of the pale green, yellow, brown and red. The play of the peep-through sunlight managing to extend its rays to the ground make the entire place look like a stage.

There is a stage and auditorium. We could see many people clad in dramatic make up outside it. They were up to some classic presentation, we could guess that. 

Then we reached an art gallery where some beautiful paintings were hanging with their promises under the highlight against all darkness around to win some spectator who will have some time to appreciate them, at least, if not the painter. 

Out of the cove now we confronted the historical monuments which showed clear marks of dedication, patriotism, chivalry and martyrdom. Those are clearly stated in the Vlog attached -- when, how and why this park was named "Panfilov Park". 

After exploring the tanks used in the first and second world war, we came out of the park. started to walk down the city roads and streets to reach Arbat Street for finding a decent place to have our lunch. The map was showing that Arbat Street was just 10 minute walk from Panfilov Park. 

After we reached Arbat Street our only lookout was for a decent restaurant. Since Indrani is an ardent researcher of different travel locations over internet, she suggested that Degirmen is a very good option. 

There we had the fortune to enjoy a full meal and it was so late a lunch. We had our first experience of tasting horse meat. Yes! No wonder that 'Beshbarmek', a complete platter full of boiled wide noodles (an inch square and thin), vegetables and horse meat. The platter is soupy and must be taken hot. The large plate of Beshbarmek at Degirmen is sufficient for three. 

After lunch we headed for Green Bazar to have a feel of the ambience of the place. The green bazar is quite like a big super market. A close association may be drawn to our Kolkata New Market. Actually, the place is a conglomeration of both Chandni Chowk and New Market. For the first time we could see some poor old people are selling things outside the main market. 

Dry fruits and dried fruits are very famous in Almaty. Like-wise Tashkent tea and Moroccan tea are available  there at reasonable price. Another speciality of Almaty is big apples which are available in Green Bazar. 

FYI Green Bazar keeps its SHUTTERS DOWN ON MONDAYS. 

We grabbed some stuff as samples to taste and confirm the real reason of they being so very famous. We tried them afterwards and all of the myths proved to be true. 

The last part of the day's travel needed to have an end with a dinner. We went back again to Arbat Street to see the night-life there. People throng around the place in the evening till night. There are joints to have coffee, snacks and meals along the road. Sophisticated garment shops overlook Arbat Street. Young singers with monotony of their tunes keep on buzzing around the place incessantly. A crowd of passing people stop in front of them. Rarely, some put a formidable coin in the music-instrument box. 

After being bored to the songs in Kazakh languages We went in to Degirmen again to have our dinner. 

Paying the cheque when we were again on the street to walk back to our apartment, the mercury was drastically falling. We needed to put our hands in the pockets of our puffed jackets as the cold had started to prick any open space on skin. 

We fell asleep early because the next two days will be the most exquisite days of our trip with the Viator in Almaty and we needed to catch the bus as early as 8 in the next morning.

….Continued

---

 Click here for the Vlog:Almaty:Episode 2

Alluring Almaty: Episode 1

The episode will run really dry without any written narrative packed with the vlog. 

It is sheer negligence or saturation, I presume, of my own mind affected by daily preoccupations to survive that had driven my creative abilities to the Horse Latitudes where there was no wind to blow out a narrative with the decent flow of the desired words to share with all the pictures in my mind, apart from the stills and movies shot from the location where we had been to spend a week of the festive vacation in Bengal

It would be very irresponsible of me if I miss to mention that before leaving India to reach Almaty,

*one must install  

1. Google translate

2. Yandex go

3. 2GIS maps.

For Google translate, to use it even offline the necessary action to be taken is that, 

**one must download the Russian and Kazakh languages. 

Remember that they are even poorer in understanding English language than any common person in India. 

If you know either Kazakh or Russian language, then I must say a potential opportunity is awaiting you in Almaty.

The flight of Air Astana took off from Delhi. All I could see through the window the pallor of smog looming large on the city. The level of air pollution can easily be gauged from above. I have heard that the children are happy with their long holidays in the city, and parents, exasperated, however the breathing-system-oriented diseases and the effects of polluting elements are heavy on the nervous system of the children. I could realize that Zen Alpha in the capital city is under a real threat from an unseen monster. 

As the flight was smoothly cutting through the throng of cloud, without facing any turbulence, I turned busy exploring the screen in front of me. However, I was distracted badly by the exotic sight through the tiny window of the airplane. Air Astana provides its valued customers with a nice little hamper that may prove useful to any traveller at any point of time. My son was occupying the window seat making no use of the best advantage -- the view through it. He was more interested in the movie in front of him. I coaxed him a swap to which he agreed, finally. And as I my tiny phone was extending its abilities to its farthest stretch with its commonplace lens provided, the hostess served us the lunch. The luncheon was bellyful. As I was licking my lips with the awfully good taste of the palak paneer, in consummate camaraderie of a wink of whisky, suddenly I was drifted by the marvel of the brown, steep and jagged mountain range of the Karakoram. The entire range is quite devoid of any vegetation. The sharpened mountain tops were so very thin that they may split though the hardest of objects with one blow. This continued for almost the entire stretch the only shift being that the Karakoram was followed by the Hindukush. A part of the Hindukush was defined with a sharp line that separated the stretch that was full of snow and without snow. Once the snow-capping had started, it never ended till we reached the city of Almaty which it self is entirely surrounded by the Trans Ily Alatau Range, a chunk of the infamous Tien Shan mountain range. When the gate of the flight opened and we kept our feet on the foreign land a gush of wind told us that the temperature there was less than 10 degrees Celsius and we need to put on the warmers immediately.

Visiting Almaty requires NO PRIOR VISA. IT IS ON ARRIVAL AND FREE FOR TWO WEEKS. 

Almaty airport is a small airport where there was almost no one but the boarders in that flight that reached the land. After getting off the flight and clearing off the frisking and immigration. we were given an opportunity to avail a free local mobile SIM card which may instantly be registered on our mobile phone against our passport details. This SIM Card provided us 1GB of free data and quite a good calling time.

THIS IS VERY ESSENTIAL BECAUSE INTERNATINAL ROAMING MAY NOT WORK AT SOME PLACES. For directions and language translations and booking the cabs one will feel helpless for not availing this facility. We did take it and throughout the trip it was a real help.

Osman, the owner of the apartment, was waiting for us to pick us up and reach the apartment that Indrani had booked through booking.com. The details of her card needed to be given while booking the apartment, but no money was debited from there. Osman informed us that in Almaty booking.com may take the card details but according to the government policies no money can be deducted from the account. The only way Booking.com and the similar travel sites may get the commission is that the person who gets the money gives them the commission. These third party sited cannot debit any single amount from anyone’s account. What he had told us proved to be true as we cancelled our booking and directly rescheduled our stay with the Airbnb apartment owned by Osman and his company.

It took us half-an-hour to reach there. The apartment was around 400 sq ft. with a good size washroom and a open kitchenette. For living a household life it was well-furnished and well equipped apartment.

 The only thing that proves to be essential here is to carry one

INTERNATIONAL PLUG CONVERTER/ADAPTER.

The temperature outside was around 6 degrees when we had some hot cup noodles as our dinner and went off to sleep because last morning, we had to wake up too early at 4am to catch our flight to Delhi from Kolkata.

It is highly suggested that while booking the flights, to and fro, one must maintain the gap between the domestic and the international ones at least of four hours. Many things may happen in between among which the vital one the change of Terminals in Delhi. T1-T2 and T3 all are located at a distance of at least 8 kilo meters from one another. This will take one at least half an hour to reach from one to the other, if there is a change. This change may happen even in the last hours.

With the finest memories of snow-capped mountains almost licking the bottom of our flight we went off to sleep wondering how could Alexander cross such a terrific terrain which appears almost impossible to cross as the stretch expands through almost 300 sq kilometres splitting apart Asia and Europe!

 Eyelids were heavy and in my dreams I could see myself in armours with a straight-sword and a spear, standing on a mountain top on a black-horseback, watching the land of the Indics to invade…..

 (continued…)

Click here for : Vlog: Episode 1