Thursday, 21 June 2018

পাগলের প্রলাপ

কেন তোমাকেই দেখি বার বার?

মাথায় ঘুন ধরেছে
হৃদপিণ্ডে উইপোকা
চামড়া জুড়ে কাঁকড়া বিছের দংগল।
বিদ্যুতের স্রোত!
কাঁপুনির অশান্তিতে
যদি ওরা সব নেমে
সনাক্তকরণ-প্যারেডের লাইনে এসে দাঁড়ায়!
তার আগে মনটাকে বাংলায় চুবিয়ে
কবরে পুঁতে ভিনটেজ করি!
স্নায়ুপ্রবাহে ঘেন্না বয়ে যাক খানিক!
তবে না 'আসল' চিনতে পারব।

তখন যে মুখই দেখব মনে হবে,
ও তো তুমি-ই।

পুড়লে তবে না জ্বলবে আগুন,
তবে না হবে আলো।
আমার রাজার অসুখ।
সারাক দেখি কেউ,
এই সব অদৃশ্য,
আগুন-গেলা ফোস্কা!

ড্রয়িং রুমে ল্যাম্পশেড জ্বেলে বিশ্বকাপ --
জ্বর-গায়ে  মুখে বিড়ির লীনতাপ,
বা থার্মোমিটারে জমে থাকা পারদ থেকে
খানিকটা উত্তাপ নিতে পারো।
ভালবাসার কপালে
রাত জেগে অনেক জলপট্টি দিয়েছি,
বাঁচাতে পারি নি।
বমি উগরে মরেই গেল।
কাটাছেঁড়া করে কিছু পাওয়া গেল না,
ন' মিলিগ্রাম অভিমান ছাড়া।

তারপর থেকে এখানেই...

খোলা আকাশ দরজা হয়েছে-
গায়ে কাঁচ লাগানো চৌকো একটা খোপ।
ও পারে সেই তুমি-ই,
তোমার মুখ।

জানি, তুমি নেই
কেউ নেই।
চাইও না!

আঙুল গুলো যে রোজ কেঁপে কেঁপে বেঁকে গেছে,
তোমায় ছুঁতে চেয়ে।

Wednesday, 20 June 2018

ছবিঘর

গায়ে পোশাক নেই।
মনের গায়েও নেই।
নুডিস্ট কলোনীতে বসে
পোস্ট-মডার্ণ বিমূর্তির ফ্রেম ঘাঁটতে ঘাঁটতে
নখের ডগায় উঠল পরমাণু।
পোখরাণ নয়,
শরীরের ওয়েসিসে ফাটল ফিশন।
সভ্যতার বর্জ্যে গুলিয়ে উঠল গন্ধ --
শিল্পী তোমরা সকলে এক হলে না কেন!
খুব কি হত মন্দ!
শুধু কালো মিছিলে হাঁটলেই একতা!
কে বলেছিল তোমাকে,
চেতনার গু-মূত ঘেঁটে
সমাজ সাফাই করতে!
কে বলেছিল,
প্রেমের কবিতা লিখে
সন্ত হতে!

হাসাবে আমাকে?
কেন? নিজেরা ভুলেছ হাসতে!
রক্ত দিলে ব্যাংক-ব্যালেন্সে,
আর সব দোষ হল
ব্যর্থ বিপ্লবের!
আজ আর যতই কাতুকুতু দাও,
আমি দৃশ্যকলা।
এখন আমার সাধনা --
চলচ্চিত্রে মৃত্যুযোগ!
ক্যামেরা চলছে,
সাদা-কালো ছবিতে
তারা-হাতুড়ি-কাস্তে।
রঙ চড়ানো চরিত্র সব,
আর্ট-ফিল্ম,
তাই, আস্তে!