কেন তোমাকেই দেখি বার বার?
মাথায় ঘুন ধরেছে
হৃদপিণ্ডে উইপোকা
চামড়া জুড়ে কাঁকড়া বিছের দংগল।
বিদ্যুতের স্রোত!
কাঁপুনির অশান্তিতে
যদি ওরা সব নেমে
সনাক্তকরণ-প্যারেডের লাইনে এসে দাঁড়ায়!
তার আগে মনটাকে বাংলায় চুবিয়ে
কবরে পুঁতে ভিনটেজ করি!
স্নায়ুপ্রবাহে ঘেন্না বয়ে যাক খানিক!
তবে না 'আসল' চিনতে পারব।
তখন যে মুখই দেখব মনে হবে,
ও তো তুমি-ই।
পুড়লে তবে না জ্বলবে আগুন,
তবে না হবে আলো।
আমার রাজার অসুখ।
সারাক দেখি কেউ,
এই সব অদৃশ্য,
আগুন-গেলা ফোস্কা!
ড্রয়িং রুমে ল্যাম্পশেড জ্বেলে বিশ্বকাপ --
জ্বর-গায়ে মুখে বিড়ির লীনতাপ,
বা থার্মোমিটারে জমে থাকা পারদ থেকে
খানিকটা উত্তাপ নিতে পারো।
ভালবাসার কপালে
রাত জেগে অনেক জলপট্টি দিয়েছি,
বাঁচাতে পারি নি।
বমি উগরে মরেই গেল।
কাটাছেঁড়া করে কিছু পাওয়া গেল না,
ন' মিলিগ্রাম অভিমান ছাড়া।
তারপর থেকে এখানেই...
খোলা আকাশ দরজা হয়েছে-
গায়ে কাঁচ লাগানো চৌকো একটা খোপ।
ও পারে সেই তুমি-ই,
তোমার মুখ।
জানি, তুমি নেই
কেউ নেই।
চাইও না!
আঙুল গুলো যে রোজ কেঁপে কেঁপে বেঁকে গেছে,
তোমায় ছুঁতে চেয়ে।