Friday, 4 July 2025

টেনিদা অন দ্য রকস!!! (রকবাজ টেনিদা)

 


- টেনিদাকে প্যালা জিগ্গেস করল,

-  -আচ্ছা টেনিদা, এই যে তুমি সব সময়ে রকে আড্ডা দিচ্ছ, এর ইংরেজি ট্রান্স্লেশন কি হবে?

-       -কেন, ভেরি সিম্পল!  

-       -তাই?

-       -হ্যাঁ

হাবুল বলল,

-       -কও দিনি দেহি, কি হইব!

-       -এই তোরা আমকে কি মনে করিস! এরকম মেফ়িস্টোফ়িলিস সহজ প্র্শ্নের উত্তর দিতেই আমার লজ্জা করছে! এটা একটা আমাকে দেওয়া ট্রান্স্লেশনের মত যোগ্য প্রশ্ন হল?

ক্যাবলা বলল,

-       -চার বার মাধ্যমিকে ব্যাক পেয়েও যখন লজ্জা পাও নি, তখন আর এইটুকুতে লজ্জা না পেয়ে বলেই ফেল

-       -আমাকে খোঁটা দিলি তুই, ক্যাবলা? গুরুজনদের এভাবে অপমান! বাংলার ঘরে ঘরে মা, কাকিমা, মামিমা, জেঠিমা, দিদিমা, ঠাকুমা কʼজন মাধ্যমিক কেলাস অব্দি পড়েছে র‍্যা! অথচ দ্যাখ, তাঁরাই আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক! আমি তাই তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত! টুক করে মাধ্যমিক পাশ করে ফেলা মানে এনাদের অপমান করা। তাই আমি ইচ্ছে করে ফ়েল করি। তুই শুধু সব ক্লাসে ফ়্রার্স্ট হোস! সেলফ়িশ! স্যাকরিফ়াইসের তুই কি বুঝ্বি?

-       -ফ়েল করে, স্যাকরিফ়াইস!!!!!  

-       -হ্যাঁ, হ্যাঁ, না তো কি! আমি যে কিছু জানি না তা নয়, ইচ্ছে করে নিজের বিদ্যা ঢাক পিটিয়ে জাহির করতে যাই না, যে টপাটপ পাশ করব।

-       -অ!!! তা বেশ, তাইলে এহন কও, হেই ট্রান্স্লেশনের উত্তর কি হইব!

-       -কেন? -- টেনিদা অন দ্য রকস!

-      -এ‍্যাঁ??????? টেনিদা অন দ্য রকস !!!! আরে ʼরকʼ মানে তো পাথর, শিলা

-       -আরে এ রক সে রক ন‍য়, এখানে রক মানে বাংলা রক।

-       -, তা তুমি আবার কবে থেকে বাংলা ব্যাণ্ড নিয়ে পড়লে?  

-       -হতভাগা, এ রক মানে বাংলার পাড়ার রক।

-       -

-       -আচ্ছা, বল দেখি, কেমন পারিস, ʼওই বেড়ালটি টেবিলের ওপরে আছেʼ, ট্রান্স্লেশনে কি হবে?

-       -কি হইব?

-       -দ‍্য ক্যাট ইজ় অন দ‍্য ঠেবল।

-       -হ্যাঁ। তার সাথে রকের কি সম্পর্ক?

-    -মাথায় এরকম গোবর নিয়ে যে কি করে ফ়ার্ষ্ট হোস কে জানে! এটা স্যাম্পেল বা রেফ়ারেন্স বা এক্সাম্পল। ঠিক ওরকম ভাবে এই টেনি শর্মা যদি রকে বসে থাকে তাহলে কি দাঁড়ায়? – টেনিদা অন দ‍্য রকস।

-       -ওই জ়ন্যই তোমার ট্রেন টা ক্লাস টেনে-ই দাঁড়ায়ে গেসে।

-       বেশি ডেঁপোমি করলে, মারব টেনে এক চড়.

*****

না নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এটা লেখেন নি। আমি বেমক্কা স্বপ্ন দেখছিলাম।

রোববার দুপুরে মটন-ভাত-আমের চাটনি সাঁটিয়ে ভাত-ঘুমে এই স্ৱপ্নটা দেখ্ছিলাম, সেটা ভেঙে গেল।

 

কি আর করি, কোনো কাজ নেই সেরকম! ভাবলাম যাই, বেরিয়ে এট্টু আঁতলামি করে আসি। আঁতলামো করার জায়গা কলকাতায় আর কটাই বা আছে বলুন! সবই গেছে। তবে কিছুটা হলেও পড়ে আছে সেই একাডেমি অফ ফাইন আর্টস-রবীন্দ্রসদন চত্বর। বৃষ্টি ভেজা একটা দুপুর। একদম হাত-পা-ঝাড়া হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। 

 

অ্যাকাডেমির সামনে গিয়ে দেখি ফ়ুল টেলিপ্যাথি!!! কি কাণ্ড!!!!

সেদিন বিকেল তিনটের নাটকের নাম ʼটেনিদাʼ

টেনিদাকে নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়ে গেছে। খুব বেশি কিছু করা যায়নি। ওরকম টেক্সচ্যুয়াল কনটেন্টকে ভিস্যুয়াল কনটেন্টে  কনভার্ট করে সাকসেসফুলি নামানো কিন্তু মুখের কথা নয়। 

ভাবলাম অনেকরকম টেনিদা তো দেখলাম, এটাও দেখি, কেমন কি করেছে! টিকিট কাউন্টারে গিয়ে বহু পরিচিত সজলদাকে বললাম

- একটা টিকিট দিন। দেখে আসি। 

টিকিট কেটে ঢুকতে গিয়ে দেখি কি না আমাদের বহু পরিচিত দু-চারজন বন্ধুও হলের সামনে দাঁড়িয়ে। 

- কি ব্যাপার তোমরা এখানে ভরদুপুরে

- আমরাও টেনিদা দেখতে। 

- এটা খুব ফেমাস নাটক বুঝি

- না আমার এই একটু কাছেই প্রতি রোববার একটা পড়ানো থাকে। তার আগে একটু নাটক-টাটক দেখে নিই। 

সঙ্গে দাঁড়িয়ে আমাদের বহু পরিচিত মাস্টারমশাই ও  নাট্যজগতের ব্যক্তি প্রসেনজিৎ-দা (চক্রবর্তী)।

জিজ্ঞাসা করলাম 

- তুমিও কি দেখতে যাবে নাকি?

- অনেকদিন আগে দেখেছিলাম। যাই একবার সিলেবাস রিভাইজ় করে আসি।

 

নাটকের অ‍্যাডভার্টাইজমেন্টের ফ্লেক্সে আর থার্ড বেলের পোস্টার খুলে দেখলাম নাটক সম্পর্কে লিখতে গিয়ে দেওয়া আছে এটির পরিচালক হচ্ছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। প্রসেনজিৎ-দাকে জিজ্ঞেস করলাম,

এই অনির্বাণ কোন অনির্বাণ

এখন ইন্ডাস্ট্রিতে অনির্বাণের ছড়াছড়ি। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ! তার ওপর এই ʼঅনির্বাণʼ নামে আমাদের জেনারেশনে বহু ছেলে রয়েছে। একশো জনের মধ্যে তিরিশ জনের নাম হয় ʼঅনির্বাণʼ নাহলে ʼঅরিন্দমʼ তো হবেই। তা প্রসেনজিৎ-দা বলল যে এই অনির্বাণ হচ্ছে পুরনো অনির্বাণ। তখন মনে পড়ল হ্যাঁ ওই নামে একজন সৌম্যদর্শন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিকে আমি চিনতাম বটে, যখন এই নতুন অনির্বাণদের উদয় হয় নি। বুঝতে পারলাম যে এই অনির্বাণ কোন অনির্বাণ। ইনি বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালে মাঝেমধ্যে মুখ দেখিয়েছেন। খুব সরল সাদা-সাপ্টাএকজন ব্যক্তি। 

যাই হোক নাটক দেখতে ঢুকলাম। এক্সপেক্টেশন লেভেল জিরো। কারণ স্থির বিশ্বাস, --

টেনিদাকে স্টেজে!!! অসম্ভব! 

আর সেটাই যেন সত্য প্রমাণিত হল পর্দা সরতেই। 

নাটকের শুরুতেই একটা shock! 

এ কি রে! টেনিদা বলতে যে বয়সের চরিত্রদের আমরা বইয়ে পড়ে এসেছি, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি, তাদের সাথে কিন্তু স্টেজের চরিত্রগুলোর বয়স এক্কেবারে মেলে না!  আর সঙ্গে যিনি টেনিদা হয়েছেন, ( উদ্ভাস রায়) তিনি বেশ গোঁফ লাগিয়ে একটা পঁচিশ বছরের যুবক হয়েছেন। বাকিরা মানে হাবুল ক্যাবলা আর প্যালা ও তাই। আর যাই হোক এরা স্কুলে তো পড়ে না। তাই নিতে পারলাম না, প্রথম ধাক্কাটা।

সঙ্গে টেনিদার গলা আবার খুব মিহি। অভিনয়ে চিন্ময়-বাবুকে নকল করার প্রবণতা প্রকট। প্রথম অন্তত ১০-১৫ মিনিট টেনিদা-হাবুল-পেলা-কেবলাকে accept করে নিতে বেশ কষ্ট হল।  

 

কিন্তু বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, এমন তাদের অ্যাক্টিং স্কিল এবং এমন সুন্দর করে গল্পগুলোকে বাঁধা হয়েছে, এমন ঝরঝরে ও সাবলীল যে না হেসে আর আগে থেকে ভেবে আসা ধারনাগুলো ফেলে না দিয়ে থাকা গেল না। ওদের সবাই কেমন যেন নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে জায়গা করে নিল। কখন যে অ‍্যাকসেপ্ট করে নিলাম, বুঝতে পারলাম না ঠিক। 

 

সরল, নির্জলা, নিপাট অভিনয়। এক ঘন্টা কুড়ি মিনিট কেউ বুঝতেই দিলেন না যে কোথা দিয়ে কিভাবে কেটে গেল। চোখ বা কান সরালেই দারুন মিস! 

 

মূল গল্প অবশ্যই ʼকম্বল নিরুদ্দেশʼ, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস্বরূপ। কিন্তু সেটাকে নির্ভর করে পুরো নাটকটা রচিত হয়নি। ওটা শেষে আনা হয়েছে। নাহলে নাটকটা শেষ করা যেত না। নাটককার উজ্জল মন্ডল বেশ পড়াশোনা করে, বুদ্ধি খাটিয়ে অনেকগুলো গল্পকে একসাথে বেঁধে এবং তার সাথে আবার একটা টেনিদার ছোট্ট প্রেমের টাচ দিয়ে যেভাবে টেনিদাকে নতুন করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। 

 

তবে নাটকটার মধ্যে কিছু জিনিস একটু চোখে- কানে লেগেছে। সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ আছে বলেই আমার মনে হয়। যেমন যিনি ক্যাবলা-র পিসেমশাই-এর চরিত্রে অভিনয় করে টেনিদা কে গল্পের ফানুস বোনার লেভেল, যাকে আমরা রোয়াকি ভাষায় ʼঢপʼ বলে থাকি, সেটা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন, বাঘের দুধের দই খাবার গল্প বলে, তিনি বাকিদের তুলনায় অভিনয়ে একটু কাঁচা মনে হয়। সেখানে এত ভাল দৃশ্যটা একটু ধাক্কা খেয়েছে। সকলে হেসেছেন, হাততালি দিয়েছেন স্ক্রীপ্টের জোরেঅভিনয়ের জন্য নয়। ফলে এই পর্যায়ে নাটকটা যে উচ্চতায় উঠেছিল এবং চলছিল, সেখান থেকে একটু নেমে আসে। কম্বলের চরিত্রে যে বাচ্চাটি অভিনয় করেছে অবশ্যই  প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সে এখনো স্টেজের আড় ভাঙতে পারেনি। সেই আড়ষ্টতা বা জড়তা যত শীঘ্র সে কাটিয়ে ওঠে নাটকটার জন্য ততই মঙ্গল।

 

দ্বিতীয় খেয়াল করার বস্তু হচ্ছে যে ডায়লগগুলো অবশ্যই পরিচালক এবং যে অভিনেতারা করছেন তাঁরা জানেন যে কোথা‍য় কোথায় অডিয়েন্স হাসবে বা হাততালি দেবে। সেই জায়গাগুলোতে বাস্তবতা যতটাই স্বয়ংক্রিয়তা বা ফ্লো দাবী করুক না কেন, সেটা এড়িয়ে গিয়ে ওই সময়টুকুর মধ্যে পরের ডায়লগটা বলা যাবে না। অন্তত কোন একজন অভিনেতাকে ওই তিন চার সেকেন্ডের জন্য একটা সাইলেন্ট রিঅ‍্যাকশন বেছে নিতে হবে যাতে দর্শক রিঅ‍্যাকশন দেওয়ার জন্য সময় পান। কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও নয়। দর্শকদের হাসতে দিন, তার পরে যৈন নেক্সট ডায়লগটা ডেলিভারড হয়। তিন চারটে এরকম জায়গা আছে যে আগের ডায়ালগে অডিয়েন্স-রিঅ্যাকশনের জেরে পরের গুরুত্বপূর্ণ ভয়লগ হারিয়ে গেছে ।

 

আমি এই নাটকের যে শো-টিতে কাকতালীয় ভাবে ঢুকে পড়েছিলাম সেটি নাটকটির ৭৬ তম শো ছিল। কোভিড না থাকলে এতদিনে এটি একশো ছাড়িয়ে যেত। যাঁরা আগেই নাটকটা দেখেছেন, যেমন প্রসেনজিৎ-দা, কমল-দা (কমল চট্টোপাধ্যায়, সেদিন পরের নাটকটাই ওনার), নাটকটা দেখে বেরিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসা করলা যে কেমন লাগলো,

দুজনে আলাদা করে মোটামুটি একই কথা বললেন যে আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর, পরিণত ও টাইট হয়েছে। আমি আগে দেখিনি। প্রথম দেখলাম এবং অভিজ্ঞতা অনুসারে একজন খুব সাধারণ অডিয়েন্স হিসেবে এখানে দশে আট দেওয়াই যায়।

 

এই নাটকের পরের শো-টি কবে-কোথায় হবে তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে ʼদৃশ্যপটʼ-এর একটা ফ়েসবুক পেজ আছে। সেখানে লক্ষ্য রাখলেই আমরা জানতে পারবো যে এই নাটকের পরের শো কবে কখন কোথায় হবে।

 

নাটকের কোন চরিত্রে কে অভিনয় করেছেন তা এখানে দিলাম। টনিদার চরিত্রে উদ্ভাস অসামান্য। তবে এঁদের মধ্যে অভিনয়ে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন নাটককার নিজে,হাবুলের চরিত্রে অভিনয় করে। উজ্জ্বল মণ্ডল।

 

এরকম নির্মল হাসির নাটক বহুদিন পরে দেখলাম, যাতে মানসিক জটিলতা নেই, সম্পর্কের টানা-পোড়েন নেই, কোন গভর্নেন্স নেই, কোন পলিটিক্সের ছায়া নেই, কোন সোশ্যাল মেসেজে নেই। 

 

অনেকে বলতেই পারেন -- ও বাবা! নাটকে মেসেজ নেই, নাটক নিয়ে ছেলেখেলা হচ্চে! অ‍্যাঁ? এরকম একটা স্ট্রং মিডিয়ামের এ‍্যাক্কেরে এরকম, অপব্যাবহার!  এইসব ছ্যাবলামি নিয়ে আবার নাটক হয় নাকি!! 

কিন্তু, যারা নির্মল হাসির মানে জানে না সে সব শত্তুরের মুখে ছাই!! 

 

আসলে আমরা জটিল হতে হতে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছি যে আমরা সরল, সাদাসিধে, সোজা সাপটা কিছুই আর পছন্দ করি না। সবকিছুর মধ্যেই একটা পচা টকটক গন্ধ খুঁজি। 

সুকুমার রায় আমার কাছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে একজন। কারণ, তিনি অ‍্যাবসার্ডিটির আড়ালে যে বাস্তবতা আর জটিল মানব মনস্তত্ব-কে কেচে-ধুয়ে দিয়েছেন, তা বুঝতে গেলে হুঁকোমুখো হলে চলবে না, পাতি পাগলা দাশু হতে হবে। তাই তাঁর মনে এরকম সবেতে অকারণে খুঁত খোঁজা মানুষদের জন্য এই লাইনটা বেজে উঠেছে:

আকাশের গায়ে নাকি টক টক গন্ধ! 

 

দৃশ্যপটের ʼটেনিদাʼ নাটকের মধ্যে কোন ʼটকʼ নেই। আছে শুধুমাত্র অদ্ভুত সরল, নির্মল মিষ্টত্ব। সবাইকে নিয়ে হই হই করে দেখতে যাওয়ার মত একটি নাটক এটি। 

 

মঞ্চে চরিত্ররা:

টেনিদা: ঊদ্ভাস রায়; হাবুল উজ্জ্বল মণ্ডল; প্যালা: উৎসব রাউত; ক্যাবলা: অত্রি ভট্টাচার্য; নিশা: তারাশঙ্কর ভ্ট্টাচার্য; কালী: প্রদীপ কুমার কাহালি; মেশো: পার্থ প্রতীম নাথ; দস্যি: সাহানা সেন; ঝুমকো: মধুমিতা; বদ্রি বাবু: রিষভ মান্না; লতা: পিউ কুণ্ডু; পাতা: পৃথা রায়চৌধুরী, ভজা: সন্দীপ সাহা; গজা: তুহিন কুমার ভট্টাচার্য; সাধুবাবা: অনির্বাণ ভট্টাচার্য; পুলিস অফ়িসার: গৌরব দাশগুপ্ত; কম্বল: দেবাংশু্

মঞ্চের পিছনে অদৃশ্য চরিত্ররা:

 

নাটককার: উজ্জ্বল মণ্ডল: আলো: কল্যান ঘোষ; পোশাক: উৎসব রাউত; সাজসজ্জা: শেখ ইসরাফ়িল; আবহ: সন্দীপ সিংহ; মঞ্চসজ্জা: পার্থ মজুমদার; গানের কথা: আকাশ চক্রবর্তী; কণ্ঠে: সপ্তক (সানাই) দাস