Saturday, 24 November 2018

আদিরস

মাকড়সার রস
গায়ে মাখলে কি
নিয়ন আলো পিছলে
শৈশবের সন্ধ্যার হ্যারিকেন হয়ে যায়!
শেষবারে ধিক্কার শুনেছিলাম।
বাদামভাজার খোসা ভেলপুরী হয়ে
গংগার ঘাটে
উপহারের পার্কার কলম বেয়ে
মিথ্যে শব্দের শবদেহ।
অবগাহন স্নানের তর্পনের কুশীতে
ঘেঁটে যাওয়া তিলের কাজলে
আয়নার দাগ--
প্রতিবিম্বে তাজমহল।
শ্বেতপাথরের বিমূর্ত
নিভৃত জঠরে
ভবিষ্যতের হত্যা-
ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে ধর্মযুদ্ধের ডাক।

চায়ের কাপে এখন ড্রাকুলা,
সুন্দরের গলার ধমনী খুঁজি।
ঊষ্ণ রক্তের স্বাদ বড় মধুর --
কয়েদখানার পাথরের গায়ে জমা
কষা নোনতা পেচ্ছাপের মত।
তেষ্টার জিভে অমৃত!
ফতোয়া -- আগে পুরুষ হও!
বিক্ষিপ্ত নেশায়,
আগুনের হল্কায় সেঁকে নিলাম
অন্তরের বার্বি কিউ।
ক্ষাত্রধর্ম! --
কোটি কোটির মাঝে
ব্রাহ্মনের তুচ্ছ হাজারের হিসেব!
"ক'য়ের পিঠে ক'য় আট?
এই বেয়ারা!! ব্যালেন্সশীট পাত!!
গোমাংস খাব,
গোলাপের কাঁটাচামচ দিয়ে!"
ফিরতি পথে
হাতে পেন্সিলের বদলে
সুদর্শন চক্র।
ন'পাকের পৈতেতে
সাইকেলের চাকার কঙ্কাল
থার্ড গিয়ারে ত্রিশূল হয়ে
নিঃশব্দে ফিশন --
গতির বিষ্ফোরণ!
কেঁপে উঠল ডি-এন-এ।
জন্ম-জন্মান্তরের বিশ্বাস,
তিরিশ ওয়াটের বালবের নিচে
লেখণীর অনাবৃত মসি!
আমার সুরাচ্ছন্ন পাণ্ডুলিপিতে
তোমরা সবাই মিলে
আর অভিশাপ দিও না!
মৃত্যুর অভিশম্পাতে জীবন
আজকাল বড্ড বেশি বাঁচে।
ভয় হয়,
শেষে অমর না হয়ে যাই!