Sunday, 21 August 2016

অন্তলীন

আদি অনন্তের মহাবিন্যাসের মাঝে দ্রাব্য কিছু অনুভব যখন মানবিক বন্ধনের মধ্যে লীন হতে চায়, তা তখন বড় অতিমানবিক হয়ে ওঠে।কাঙ্গালের তীব্র হিংস্র ক্ষুধার মত ধাবিত হয় এক অযাচিত তমসার দিকে যা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই কারো।

প্রসারিত বক্ষযুগলের বামদিকে এক অদ্ভুত জৈবিক যন্ত্র এই হৃৎপিন্ড। তার সিস্টোল-ডায়াস্টোলের ছন্দোবন্ধে রক্তমাধ্যমে মস্তিষ্কে সঞ্চারিত হচ্ছে এক দুর্নিবার রসায়ণ যা থেকে নিঃসৃত হয়ে মানুষ হিসেবে নিজেকে শত বিস্মৃতি আর কল্পনার মধ্যে কোথাও একটা নিঃস্বার্থ মানব-সাগরে দ্রবীভূত করেছি। সেই লীন হয়ে যাওয়া বড় সহজ ছিল না।

তাই আজ আর হঠাৎ করে অদ্রাব্য হিসেবে অধঃক্ষেপ হয়ে পড়ে থাকাটা নিজের কাছেই এক অবিমৃশ্যকারীতা (indiscretion)। 

নিজেকে ক্ষমা করার সাবলীল শক্তির সঞ্চয় আসে মোহমুক্ততা থেকে। সেখানে তঞ্চকতা কোথাও নিজের কাছেই নিজেকে স্থির থাকতে দেয় না। সেই অপার স্থৈর্যের পারংগমতা শুধু নিজের নয়, কোনো মানুষকে ঘিরে প্রতিটি মানুষের জীবনে শান্তি টুকুই নিশ্চিত করে।

তাই সে বড় বেদনার ও লজ্জার, যখন নি:স্বার্থ ভাবে ভালবেসে নি:স্ব কোন মানুষের কাছে তার ভালবাসার মানুষ ক্ষমাভিক্ষা করে চলে।

Rendezvous

Is it the same star
That watches you and me?
What an ecstacy!
Is it the same sudden-eclipsed-moon
That you and me can see?
What an individuality!
Is it the same sky
In which you flew, and me, faltered?
I crashed on the ground, banged, bled, unaltered.
Is there anything more the same
For our soulful rendezvous?
I will love you
Until I can't breathe,
And that's all I can do.